স্পিডবোট এ করে প্রথমবার মহেশখালী যাওয়ার অনুভূতি।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
স্পিডবোট এ করে প্রথমবার মহেশখালী যাওয়ার অনুভূতি। |
---|
স্পিডবোটে করে আসলে তেমন একটা ঘোরা হয়নি। তবে প্রথমবার যখন মহেশখালীর উদ্দেশ্যে গিয়েছি, তখন যাওয়া হয়েছে। যদিও কক্সবাজার অনেকবার গিয়েছি তবে স্পিডবোটে ওঠা হয়নি। যখন মহেশখালী যাব চিন্তা করলাম তখন দেখা গেল যে সেখানে স্পিডবোট ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্পিডবোটে করেই যেতে হলো।
আর সত্যি বলতে সেখানে যেতে হলে প্রথমে বার্মিজ মার্কেট এরিয়া পের হয়ে বড়ঘাট রয়েছে সেখানে যেতে হয়। সেই ঘাটে অনেকগুলো স্পিডবোট এবং নৌকা রয়েছে। কেউ কেউ নৌকায় করে যায়,আবার কেউ কেউ স্পিড বোটে করে যায়। তবে স্পিড বোটের মধ্যে কিছু রিজার্ভ সিস্টেম রয়েছে আবার কিছু লোকাল সিস্টেম রয়েছে। তবে মহেশখালী যাওয়া আসার সবচাইতে বড় মজা হচ্ছে স্পিডবোটে।
স্পিডবোট যখন চলতে শুরু করে তখন পানির ঢেউগুলো এবং পানির ছিটকে গুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগে। যেদিকে তাকাই শুধু সাগরের পানি আর পানি। আর পানির মধ্যে যখন স্পিড বোট জাম্পিং করতে লাগে তখন অনেক বেশি মজা লাগে,আবার ভয়ও লাগে। মাঝে মাঝে ঢেউ বেশি থাকলে তখন স্পিডবোট এত বেশি জাম্পিং করে মনে হবে মানুষের শরীরের হাড্ডি নড়ে যাচ্ছে এমন মনে হয়।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে দুদিকে দেখতে অসাধারণ লাগে। পানির কালার এবং আকাশের নীল কালারের সংমিশ্রণ দেখতে ভালই লাগে। কিছু ফটোগ্রাফি করেছি কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে। তবে ভয়ে ভয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করলাম। যদি মোবাইলটি পানিতে পড়ে যায় সেই ভয়ে খুব কেয়ারফুলি কিছু ফটো তুলে নিলাম। আর সেগুলো আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
মহেশখালীতে দেখার অনেক কিছুই রয়েছে আর কক্সবাজার তো রয়েছেই। তবে এই দুটোর মাঝে আসা যাওয়াতে শুধু নদীতেই স্পিডবোটে অন্যরকম মজা উপলব্ধি করা যায়। কেউ যদি মহেশখালী যেতে চান আমি বলব স্পিডবোট এ করে যাবেন এতে করে অনেক মজা পাবেন। প্রতিদিন অনেকগুলো স্পিড বোট আসা যাওয়া করে একই পথে। কিছু বোট যাচ্ছে আবার কিছু আসতেছে এই দৃশ্যও দেখতে অনেক চমৎকার লাগে।
যখন অন্য বোট চোখের সামনে দিয়ে আমাদের টাকে ক্রস করে তখন বোঝা যায় কত স্পিডে ক্রস করতেছে একটা বোট আর একটা স্পিডবোটকে।আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন আকাশ নীল ছিল এবং পানি ও আকাশ দুটির সংমিশ্রণে অনেক সুন্দর আবহাওয়া ক্রিয়েশন হয়েছে। আর সেটাই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরতে চেষ্টা করলাম।
যদিও স্পিড বেশি থাকাতে ফটোগ্রাফি এমন হয়েছে। যদি স্পিড আরেকটু কম থাকতো আরো হেব্বি ফটোগ্রাফি তোলা যেত। কারণ রানিং অবস্থায় এত ভালো ফটো আসে না। তবুও চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো ফটোগ্রাফি তুলে ধরতে।যাইহোক আগামী পর্বে স্পিড বোটে করে জাওয়ার পরে সেখানে গিয়ে কি কি করেছি সেগুলো শেয়ার করবো। তবে আজকে শুধু স্পিড বোটে এত মজা সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
যাই হোক আশা করছি বিষয়টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা না বাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1896788467562279278
কক্সবাজার বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে, কিন্তু মহেশখালী একবারও যাওয়া হয়নি আমার। যাইহোক স্পিড বোট রানিং অবস্থায় আপনি দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন ভাই। সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপনি। প্রথমবার আপনি স্পিডবোটে করে মহেশখালী যাতায়ত করলেন। সেই সুন্দর মুহূর্তটি আপনি আমাদেরকে শেয়ার করলেন বিস্তারিত। সত্যি বলতে স্পিডবোট দিয়ে যখন নদীতে ভ্রমণ করা যায় যাতায়াত করা যায় সে সময় খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এমন দৃশ্যগুলো চোখে পড়লে মনটা একদম জুড়িয়ে যায়। ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি আর সাথে সুন্দর বর্ণনা।
স্পিডবোটে করে তো পুরো সমুদ্র ঘুরেছেন মনে হচ্ছে।সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আপনার তোলা ফটোগ্রাফিগুলি।জল ও নীল রঙের আকাশের সংমিশ্রণ দেখে মুগ্ধ হলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
দুই বছর আগে প্রথমবারের মতো স্পিডবোটে মহেশখালী যাওয়ার স্মৃতি এখনো চোখের সামনে ভাসে। পানির বুকে স্পিডবোটের ছুটে চলা, ঢেউয়ের আঘাত, আর বাতাসের শীতল পরশ সব মিলিয়ে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। আপনার পোস্ট পড়ে সেই মুহূর্তগুলো আবার মনে পড়ে গেল।অসাধারণ একটি মুহূর্ততে বাহিত করেছেন এবং সেই সাথে চমৎকার সব ফটোগ্রাফি করেছেন। দারুন এই অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে মহেশখালী যাওয়ার সেদিনের দৃশ্যটি চোখে লাগার মত ছিল। স্পিডবোটে করে প্রথমবার মহেশখালী যাওয়ার অভিজ্ঞতা সত্যিই রোমাঞ্চকর। বাতাসের শীতল পরশ আর ঢেউয়ের তালে তালে বোটের দোলানো অনুভূতি ছিল অসাধারণ। চারপাশের সৌন্দর্য মনকে প্রশান্তি দিয়েছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মাঝে ছুটে চলার আনন্দই আলাদা।ধন্যবাদ তোমাকে আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।