ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৪৪ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-০২-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৪৪ তম পর্ব। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে বেশকিছু সময় বসে ছিলাম। আসলে একা একা সারাদিন বসে থাকা মোবাইল ফোন টেপা তা ছাড়া কোনো কাজ নেই মোবাইল ফোন টিপতে টিপতে মাঝে মাঝে একটু বিরক্ত হয়ে যায়। কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারি না। তখনই হঠাৎ মোবাইলের গ্যালারিতে ঢুকে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ছবি সিলেক্ট করলাম। আপনাদের মাঝে চলে আসলাম আজকে আবারো সিলেট ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আমি যখন কলেজে পড়তাম তখন আমাদের কলেজ থেকে সিলেট ভ্রমণে যাওয়া হয়েছিল। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা একটি গ্রুপ ফটো ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে গ্রুপ ফাটার মধ্যে এখনো আমাদের অনেক বন্ধু বান্ধবী এবং কলেজের স্যার ম্যাডাম তারা বাইরে ছিল আমরা শুধুমাত্র কয়েকজন ছেলে এবং স্যারের ওয়াইফ মিলে গ্রুপ ফটো ধারণ করেছিলাম। সত্যি এই জায়গায় সবাই মিলে তখন একসাথে ছবি তুলেছিলাম এবং গোসল করেছিলাম বেশ দারুন একটা অনুভূতি ছিল সকলের মাঝে। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই সুন্দর ভাবে দুইটি ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। জাফলং আমরা সকলে বন্ধু-বান্ধব এবং কলেজের স্যার ম্যাডাম একসাথে গোসল শেষ করে সেখানে বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। আমি এবং আমার বন্ধু গোসল শেষ করে দুজন ড্রেস চেঞ্জ করে বেশ দারুণভাবে সেখানে স্মৃতি হিসেবে বেশ কিছু ছবি আমি আমার মোবাইলে ধারণ করে রেখেছিলাম এবং সেখানে আমরা ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাড়া নিয়েছিলাম সেখান থেকেও বেশ কিছু ছবি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সিলেট ভ্রমণের অনুভূতিগুলো ছিল অন্যরকম। সত্যি সেখানে বেশ দারুন স্মৃতির রয়েছে আমার। তবে সিলেট ভ্রমণে গিয়ে আমি আমার এক জোড়া জুতা হারিয়ে ফেলেছিলাম সত্যি এটা ছিল আমার কাছে খুব কষ্টদায়ক। সিলেটে যাওয়ার জন্য আমি নতুন জুতা কিনেছিলাম শুধুমাত্র প্রথম দিন পায়ে দিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম তার পরের দিন জুতা আমার ব্যাগ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাটি ছিল আমার কাছে সব থেকে বেশি কষ্ট দায়ক। তবে সব মিলিশ এখানে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম আমার।
এবার আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও দুটি চমৎকার ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। প্রথম দিন আমরা শুধুমাত্র সিলেট জাফলং জায়গা ঘুরে দেখেছিলাম এবং সন্ধ্যা বেলায় আমরা সিলেট শহরে গিয়ে হোটেলে রাত্রি যাপন করেছিলাম। সেখানে রাতে গিয়ে রাতের খাবার খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুম দেখে আমরা সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তার পরের দিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হোটেল থেকে নাস্তা শেষ করে আবারো আমরা ঘুরতে বের হয়ে পড়ি। দ্বিতীয় দিন আমরা প্রথমেই সিলেট ইকোপার্কে গিয়েছিলাম। এই জায়গাটি ছিল সম্পূর্ণ সরকারি পার্ক। সেখানে পার্কের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য আমাদেরকে ২০ টাকা মূল্যে টিকিট কাটতে হয়েছিল। সেখানে টিকিট সংগ্রহ করার পর আমরা প্রত্যেকেই ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম এবং সেখানে গিয়ে অবিশ্বাস্য সুন্দর সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখতে পেয়েছিলাম। পাহাড়ি প্রাকৃতিক ঝর্ণা দেখে সত্যিই আমি বেশ মুগ্ধ হয়ে ছিলাম। পাহাড়ের উপর থেকে পানি গুলো যখন গড়িয়ে নিচে পড়ছিল দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। এখানে আমার বন্ধু পারভেজকে আমি বেশ কিছু ছবি তুলে দিয়েছিলাম আমার মোবাইল ফোন দিয়ে। আসলে এখানেও বেশ ঘোরার জায়গা ছিল আমার সকলে বেশি দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আবারো আমি দুইটি ছবি আমার মোবাইলে খুবই সুন্দর ভাবে ক্যামেরা বন্ধি করে শেয়ার করেছি। ইকো পার্কের মধ্যে প্রাকৃতিক ঝর্ণা দেখার পরে আমরা প্রাকৃতিক গুহা দেখার জন্য চলে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা গুহার মধ্যে প্রবেশ করতে সত্যি বেশ ভয় লাগছিল। মনে হচ্ছিল গুহার মধ্যে নামলেই চারিদিকের পাহাড়ি মাটি গুলো এসে আমাদের গায়ের উপরে চাপা দিবে। আসলে সেখানে আমি ভয়ে নামতে চাচ্ছিলাম না শুধুমাত্র কয়েক মিনিট ভিতরে থেকে আমি আবার উপরে উঠে এসেছিলাম। কিন্তু আমি বাইরে থেকেই বেশ কিছু ছবি তুলে দিয়েছিলাম বন্ধুদের। ছবিগুলো দেখলেও আপনারা বুঝতে পারবেন মনে হচ্ছে পাহাড়ে মাটি গুলো মাথার উপরে এসে পড়বে। সব মিলিয়ে সেখানে বেশ দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম এবং বন্ধুদের সাথে হাসি খুশি আনন্দে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম। এভাবেই সিলেট ভ্রমণ প্রায় শেষ করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
পোস্ট তৈরির বিবরণ
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/kibreay001/status/1891707279545610604?t=izHryGRIesxiUEDqXmkjyQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গত বছর সিলেট যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সময় সল্পতার কারণে আর যাওয়া হয়নি। তবে সিলেট যাওয়ার খুব ইচ্ছে রয়েছে ভাইয়া। আপনাদের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে ইচ্ছেগুলো অনেকটাই বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সময় করে সিলেট ঘুরে আসেন আপু আসলে সিলেট সত্যি দেখার মত একটি জায়গা। বাংলাদেশের লন্ডন বলা হয় সিলেট শহরকে।
জ্বী ভাইয়া সিলেট শহর ঘোরার খুবই ইচ্ছা আছে। তবে দেখি সময় করে যাব।
আজকে আপনি সিলেট ভ্রমণের ৪৪ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।আপনার এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং মুহূর্তগুলো পড়ে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে ।তবে একটু খারাপ লাগলো যে আপনার জুতা হারিয়ে গেছে শুনে ।আপনি ঘুরতে যাওয়ার জন্য এক জোড়া জুতা কিনেছিলেন আর সেটা মাত্র একদিন পায়ে দিয়েই। ধন্যবাদ এই মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে নতুন জুতা হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টা সত্যি আমিও মেনে নিতে পারেনি খারাপ লেগেছিল।
সিলেট ভ্রমণের আরো একটা পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত অনেক ভালো ছিল দেখছি। সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছিলেন। আশা করি এভাবে পর্বের মাধ্যমে পুরো মুহূর্ত গুলো শেয়ার করবেন। তবে আপনার জুতা হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টা সত্যি অনেক দুঃখজনক ছিল। যাইহোক ঘুরাঘুরি করার সময় মনে হচ্ছে এই দুঃখটাও চলে গিয়েছে।
আসলে সবাই মিলে বেশ দারুণ মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সিলেট ভ্রমণে। তবে আমার নতুন জুতা হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টা সত্যি প্রথম দিকে আমিও মেনে নিতে পেরেছিলাম না। ধন্যবাদ পোস্ট পড়ে মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।