ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ২৮ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-০৯-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ২৮ তম পর্ব। আজকে সকালবেলা থেকেই আমি বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রত্যেক দিনের ন্যায় আজকেও মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দেখি তুহিন মামা আমার মোবাইল ফোনে অনেকবার ফোন দিয়েছে। আমি মামাকে ফোন ঘোরানোর পরে মামা কুষ্টিয়াতে যেতে বলে। আসলে গতকালকে তুহিন মামার ছেলে হয়েছে সেই কারণে যেতে বলেছিল। কিন্তু আমি সেই সময়ে ছিলাম আমার ফুপু অসুস্থ আমি ফুপুকে নিয়ে হাসপাতালে। তাই মামাকে বলেছিলাম আজকে যাওয়া হবে না। আজকে সারাদিন হাসপাতালে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছিল। কিন্তু দুপুরবেলায় হাসপাতলে বসে আমি বেশ কিছু কমেন্ট করেছিলাম। তারপরে জুম্মার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম সেখানেই। এভাবে প্রায় বেশ কিছু সময় সেখানে থাকার পর অনেক আত্মীয় এসেছিল তাদেরকে আমি ঔষধ বুঝিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে এসেছি। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলেন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকার ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি এই দুটি ছবি তুলেছিলাম ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে। আমরা ছেলেমেয়েরা সব বাস থেকে নামার পরে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখান থেকেই বড় বড় পাহাড় দেখা যাচ্ছিল ইন্ডিয়ার। সত্যি সেই দুপুর বেলার মুহূর্ত এখনো বেশ মনে পড়ে বেশ অসাধারণ দৃশ্য এর আগে কখনো নিজের চোখে এত সুন্দর দৃশ্য দেখেছিলাম না। এরপর আমরা কয়েকজন বন্ধুরা এসে নৌকা ভাড়া করেছিলাম আমরা সাদা পাথর স্পটে যাওয়ার জন্য। আমরা সেখানে বন্ধুরা মিলে ১১ জন একটি নৌকাতে উঠেছিলাম। কিন্তু সেখানে দশ জনের বেশি নৌকাতে ওঠা নিষেধ ছিল। কিন্তু আমরা সেখানে ১১ জন বন্ধু সব সময় একই সাথে চলাফেরা করছিলাম তাই সবাই মিলে এক নৌকাতে উঠেছিলাম। এভাবে বেশ কিছু পথ পাড়ি দিয়েছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আরো একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমরা বন্ধুরা যখন সবাই মিলে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর যেতে ছিলাম। আমরা যেই নৌকায় যাচ্ছিলাম সেই নৌকায় আলা আমাদের এই দৃশ্যটি দেখিয়ে বলে এটি হচ্ছে নদীর মধ্যে ভাসমান একটি রেস্টুরেন্ট। কিন্তু আমরা যেই দিন গিয়েছিলাম এই রেস্টুরেন্টে বন্ধ ছিল। সত্যি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল এর আগে আমি কখনো ভাসমান রেস্টুরেন্ট দেখেছিলাম না। তখনই ভেবেছিলাম যদি আসার পথে রেস্টুরেন্ট খোলা পায় আমরা এখানে সবাই মিলে খাবার খাব। কিন্তু আমাদের সকলের দুর্ভাগ্য ছিল সেই দিন রেস্টুরেন্ট খোলা ছিল না। এভাবে আমরা বেশ কিছু সময় নদীপথ পাড়ি দিয়ে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর গিয়ে পৌঁছে ছিলাম। সেখানে অপরূপ সৌন্দর্য দৃশ্য আমাকে সত্যি বেশ মুগ্ধ করেছিল।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। প্রথমে আমি একটি নদীর উপরে ছবি তুলে শেয়ার করেছি তারপরে সেখানে কিছু নৌকার ছবি তুলে শেয়ার করেছি। এই জায়গাটা ছিল লালাখাল যাওয়ার নির্দিষ্ট একটি পথ। এখান থেকে নৌকা ভাড়া করে আমাদের লালা খালের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়েছিল। আসলে সিলেট ভ্রমণের প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় নৌকায় পথ পাড়ি দিতে হয়। নির্দিষ্ট স্পট পর্যন্ত সেখানে কোন গাড়ি-ঘোড়া যায় না। আমরা যখন লালা খালে যাচ্ছিলাম তখন নৌকায় বসে বন্ধুরা মিলে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। এভাবেই পর্যায়ক্রমে সবাই ছবি তোলা শেষে আমি নিজেও বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। সন্ধ্যাবেলায় সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছিল তখন ছবিগুলো সত্যি বেশ দারুন ভাবে ক্যামেরা বন্দী করেছিলাম। আসলে যে কোন জায়গায় বন্ধুবান্ধব মিলে যদি ভ্রমণ করা যায় সত্যি বেশ ভালো লাগে। আমরা এখানে আমাদের কলেজ থেকে ঘুরতে গিয়েছিলাম এই কারণে সব থেকে বেশি আনন্দ করেছিলাম।
এবার আমি আপনাদের মাঝে সবার শেষে আমার নিজের এবং আমার বন্ধু পারভেজের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে কলেজ লাইফে আমার সবথেকে কাছের বন্ধু হচ্ছে পারভেজ। আসলে আমার জীবনে অনেক বন্ধু এসেছে কিন্তু আমার প্রকৃত বন্ধু পারভেজ। আমি মনে করি প্রত্যেকটা মানুষ বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না। আমরা দুজন সব সময় চেষ্টা করতাম একে অপরের খারাপ সময় এবং ভালো সময় পাশে থাকার জন্য। এ কারণে পারভেজকে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। এবার আমি যে ছবি দুটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি এই দুইটা হচ্ছে জাফলং থেকে তোলা। আমরা প্রথম দিন সর্বপ্রথম জাফলং এ ঘুরতে গিয়েছিলাম। জাফলং ঘোরাঘুরি শেষে আমরা পাহাড়ের উপরে উঠে যখন সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করেছিলাম। সেখানে ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাড়া করে আমরা বন্ধুরা মিলে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। সেই ছবি থেকে আমি দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আজকে আপনি আপনার এই ভ্রমণের আরো একটি পর্ব শেয়ার করেছেন এবং এই পর্বের মধ্যে আপনি খুব সুন্দর কিছু বিষয় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ একই সাথে এখানে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি সবকিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি শেয়ার করার জন্য৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম।
চেষ্টা করেছি সবকিছু আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ধন্যবাদ ভাই মতামত দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
x-promotion
আপনার মামার ছেলে হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার ভ্রমণ পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি সবার একটা প্রিয় বন্ধু থাকা দরকার। আপনি সিলেটে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
সিলেট ভ্রমনের খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনি একের পর এক অনেকগুলো পোস্ট শেয়ার করেছেন। আর সে পোস্টগুলোর মধ্য দিয়ে আমি অনেক কিছু দেখার ও জানার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজকেও বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখে। যেখানে সিলেটের বেশ কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে।
যদি পোস্টগুলো পর্যায়ক্রমে দেখতে থাকেন আশা করি আরো অনেক কিছু দেখার সুযোগ পাবেন।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের আরো নতুন একটি পর্ব নিয়ে শেয়ার করেছ। ইতিপূর্বে তোমার প্রতিটা পর্বই আমি দেখেছি। আসলে বন্ধুদের সাথে এখানে ভ্রমণ করে তুমি খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছ। তবে এর মাঝে বেশ কয়েকটা ছবিও তুলেছো। তোমার বন্ধু পারভেজ আর তোমার চশমা ধরার স্টাইল ছবিটা কিন্তু দারুণ হয়েছে। নিমিষে মেয়েরা ক্রাশ খেয়ে যাবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেকে বলে ওই ছবিটা সবার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য
বেশ কয়েকটি পোস্ট পড়ে বুঝতেই পারছি আপনার বন্ধুর সঙ্গে সিলেট ভ্রমণ খুব উপভোগ্য হয়েছে। অসাধারণ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন যা থেকে সম্পূর্ণ ভ্রমণের একটি সার্বিক চিত্র ফুটে উঠেছে। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর জায়গাটি সত্যি খুব সুন্দর।। আর সব থেকে আকর্ষণীয় লাগলো নদীতে ভাসমান রেস্তোঁরা। আরো সুন্দর সুন্দর ছবি দেখবার অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন আপনি ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর আসলেই দেখতে বেশ সুন্দর।
পূর্ব দিনের মতো আজকে আবারো সিলেট ভ্রমণ দেখতে পারলাম। বেশ অনেকগুলো পোস্ট ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা পোষ্টের মধ্যে দিয়ে কিন্তু বেশ দারুন দারুন অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং বর্ণনার সাথে অনেক কিছু তুলে ধরেন। আর এই থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ মিলে।
ঠিক বলেছেন মামা প্রত্যেকটা ভ্রমণ পোস্টের মাধ্যমেই প্রত্যেকটা অক্ষর তার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে।