মা ও বোনকে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে মা ও বোনকে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা কিছুদিন আগে আমি দুটি ব্লগ শেয়ার করে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে, আমার ছোট বোন অসুস্থ থাকায় ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে এসেছে। আমি নিজে অফিস থেকে দুইদিন ছুটি নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বোনকে ডাক্তার দেখিয়েছি। অনেক গুলো টেস্ট করিয়ে, ডাক্তার ওষুধ লিখে দিলেন। সেই ঔষধ খেয়ে এখন মোটামুটি ভালোই আছে,আলহামদুলিল্লাহ। তো কয়েক দিন আগে মা আর বোন গ্রামে চলে গেছে। তাদেরকে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে কমলাপুর স্টেশনে গিয়েছিলাম।
মা আর বোন আসার সময় বাসে এসেছিলো। মা না কি বাসে উঠে কিছুটা অস্বস্তিবোধ করেছে। বমি বমি ভাব হয়েছে। সে জন্য আগেই বলেছে যাওয়ার সময় ট্রেনে যাবে। আমি অবশ্য মাকে রমজানের জন্য রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাড়িতে ছোট বোন, বাবার খাবারের সমস্যা হবে, তা ছাড়া মার কিছু হাঁস মুরগি, সবজি গাছ আছে, সে গুলোর টানে মা চলে যেতে বাধ্য হলেন। সংসারে মা না থাকলে সব কিছু থেকেও সংসার মরুভূমির মত মনে হয়।
যায়হোক গত রবিবারে মা আর বোন চলে গেলেন। আমি তাদেরকে বলে রেখেছি, ট্রেনে যেতে হলে সকাল সকাল যেতে হবে। আমি সকাল সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে গেলাম। তারা আগে ঘুম থেকে উঠলেও সব কিছু গুছাতে গুছাতে আটটা বেজে গেছে। বাসা থেকে বের হয়ে অটো নিয়ে সাইনবোর্ড গেলাম। সেখান থেকে লাব্বাইক বাসে কমলাপুর।
বাসে যাওয়ার সময় জ্যামে পড়ে কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে। আবার টিকেটও কাটা ছিল না। ৯.৪৫ মিনিটে তিতাস ট্রেন ছাড়ে। টিকেট ছাড়া স্টেশনের ভিতরেও প্রবেশ করা যায় না। আর টিকেট না নিলে সিট ছাড়া মা যেতেও পারবে না। আমি সাড়ে নয়টার সময় টিকেটের জন্য সিরিয়ালে দাড়ালাম। ইয়া লম্বা টিকেটের সিরিয়াল। হাতে টিকেট পাওয়ার আগেই ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। কেউ কেউ দৌড়ে গিয়ে ট্রেনে উঠলো। কিন্তু মা আর বোন তো দৌড়াতে পারবে না।তাদের তিতাস ট্রেন মিস হলো।
তিতাস ট্রেন মিস করায় মা আর বোন কিছুটা টেনশনে পড়ে গেলো। আমি তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম টেনশনের কিছু নেই, এক ঘন্টা পরে আরেকটি ট্রেন আছে। জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, এটা তিতাসের আগে যাবে। আমার এই কথা শুনে তারা কিছুটা আশ্বস্ত হলো। তাদেরকে এক জাগায় দাড় করিয়ে আমি গিয়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাড়ালাম।
সেখানে আবার সিট শেষ, স্ট্যান্ডিং টিকেট দিচ্ছে। কিছুক্ষণ দাড়িয়ে কোনভাবে সিট পাওয়া যায় কিনা, চেষ্টা করলাম। কিন্তু পেলাম নাহ, ব্যর্থ হলাম। এদিকে স্ট্যান্ডিং টিকেটের আবার লিমিট শেষ হয়ে আসছে। সে জন্য দুটি স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়ে ট্রেনে গেলাম। তারপর ট্রেনে যারা স্টাফ আছে, তাদের সাথে কথা বলে মায়ের জন্য একটি সিটের ব্যবস্থা করলাম। ১৫০ টাকা টিকেটের মূল্য, আর তাদের নির্ধারিত সিটে কিছুক্ষণ বসবে, সে জন্য ৪০০ টাকা অতিরিক্ত চাই। অবশেষে ৩০০ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করলাম।
ট্রেন ছাড়লো ১১.১৫ মিনিটে। আমি তাদেরকে ট্রেনে উঠিয়ে অফিসে চলে আসলাম। দুপুর একটার সময় ফোন দিলাম। তারা সুষ্ঠুভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে পৌঁছেছে। তিতাসের আগেই জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস চলে গেছে। আল্লাহ তায়ালা যা করে বান্দার ভালোর জন্যই করে। ঢাকা টু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অনেক ট্রেন রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আট থেকে দশটি ট্রেন যায়। তাই আমাদের যাতায়াতে তেমন কোন সমস্যা হয় না।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২৫-০২-২০২৫ |
সময় | সকাল ১০.৩০ মিনিট |
স্থান | কমলাপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আপনি আপনার মা বোনকে কালামপুর ট্রেনে উঠাতে এসে সেখানে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন পাশাপাশি বেশ কিছু চিত্রধারণ বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন। এ থেকে ভালো লাগলো অনেক কিছু জানতে পেরে। বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছি কালামপুর সম্পর্কে।
আত্মীয় স্বজনরা আসলে কমলাপুর আসতে হয়।