বাৎসরিক বন-ভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার ভ্রমণ। দ্বিতীয় পর্ব।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি।
বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে অলরেডি কক্সবাজার ভ্রমণ সম্পর্কে একটি পর্ব শেয়ার করেছি। সেখানে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। আমরা রাত আটটার সময় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তারপর রাস্তার মধ্যে যানজট সহ রেস্টুরেন্টে বিরতি দিয়ে সকাল পাঁচটার সময় আমাদের বাস কক্সবাজার ডলফিন মোড়ে গিয়ে পৌঁছেছিল। জার্নি করা অবস্থায় গাড়িতে আমার তেমন ঘুম হয় না, আর বমিও হয় না। তো আমাদের সাথে যারা গিয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র একজন বমি করেছিল। ৪৫ জন মানুষের মধ্যে দুই একজন মানুষের প্রবলেম হতেই পারে। অনেকেই ঘুমাতে পেরেছিল। আমি কেন যেন জার্নি করা অবস্থায় গাড়িতে ঘুমাতে পারিনা। চোখ বন্ধ করে থাকলেও একটু পর পর চোখ খুলে দেখি কয়টা বাজে কোথায় এসেছে আশপাশের পরিবেশ কেমন। যাই হোক সবার অবস্থায় এক রকম হয় না, ভিন্ন প্রকৃতির হতেই পারে।
আমি সুগন্ধা পয়েন্টের সামনে হাইওয়ে রোড থেকে এই দুইটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা যখন গাড়ি থেকে নেমেছি তখন মাত্র ফজরের আযান দিচ্ছিলো। আমরা মোটামুটি ধারনার অনেকটা আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো সকাল আটটা বাজবে। কিন্তু আমরা প্রায় তিন ঘন্টা আগে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। গাড়ি থেকে নেমে সবাই সুগন্ধা পয়েন্টের মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে চলে গেলো। আমি আর আমার এক কলিগ আমাদের হোটেলের খোঁজে চলে গেলাম। আমাদের হোটেল আগেই বুকিং করা ছিল, তবে লোকেশন টা আমাদের তেমন কারো জানা ছিল না। আমরা হোটেল ম্যানেজারের নাম্বারে ফোন দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করে হোটেলে গেলাম। তারপর দুইজন থেকে একজন গিয়ে সবাইকে হোটেলে নিয়ে আসলাম।
সবাই হোটেলে আসার পরে সবাইকে তাদের রুম বুঝিয়ে দিলাম। তারপর সবাই ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলো। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেলাম নাস্তা করার জন্য। আপনারা উপরের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন সবাই একসাথে বসে নাস্তা করতেছে। এখানে একটি টেবিল এমন ৫টি টেবিলে সবাই একসাথে নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা শেষ করে সবাই ড্রেস চেঞ্জ করে বিচের দিকে রওনা দিলাম।
আমরা যাওয়ার সময় ফুটবল নিয়ে গেছিলাম। কারণ আমরা সবাই জানি যে কক্সবাজার বিচে অনেক জায়গা রয়েছে। সেখানে আমরা আগে ফুটবল খেলবো তারপরে বিচে গোসল করতে নামবো। আমাদের হোটেলটি ছিল লাবনী পয়েন্টের দিক দিয়ে। জল তরঙ্গ রিসোর্টের পাশে আমাদের হোটেলটি ছিল। আমি বিচে যাওয়ার সময় দুটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। আমি এই নিয়ে দুইবার কক্সবাজার গিয়েছিলাম। মোটামুটি সবকিছুই আমার চেনা জানা। রাস্তাঘাট আমার পরিচিত।
আমাদের সাথে যারা গিয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই কক্সবাজার যায়নি। এটাই তাদের প্রথম কক্সবাজার ভ্রমণ ছিল। আমরা যখন বিচে যাচ্ছিলাম, তখন প্রায় 9 টা বেজে গেছিল। আর রোদও উঠে গিয়েছিল। আমাদের হোটেল থেকে বিচে যেতে পাঁচ মিনিটের মত সময় লেগেছিল। তো বন্ধুরা তৃতীয় পর্বে আপনারা সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখতে পারবেন। কত সুন্দর কক্সবাজার বীচ, কত সুন্দর আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি, কত সুন্দর প্রকৃতি। কত সুন্দর পরিবেশ। একবার দেখলে বারবার দেখতে মন চায়। তৃতীয় পর্বে আপনাদের জন্য অনেকগুলো সমুদ্রের ফটোগ্রাফি রয়েছে। তো আজকে আর কথা বাড়াচ্ছি না। এখনই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৭-০১-২০২৫ |
সময় | সকাল ৮.০০ |
লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
কক্সবাজার আমারও অবশ্য যাওয়া হয়নি একবারও ঠিক আপনার কলিগদের মতই। তবে সেখানে ফুটবল নিয়ে যাওয়া বিষয়টি বেশ ভালই করেছেন। আগে ফুটবল খেলে গা গরম করে নিবেন তারপর গোসল করবেন। শীতের দিনে সুন্দর একটি আইডিয়া। ফটোগ্রাফি দুটি দারুন দেখাচ্ছে কিন্তু ভাই। আশা করব পরবর্তী পর্বে আরো চমৎকার ফটো দেখতে পারবো।
জী ভাই আগে ফুটবল খেলা পরে গোসল। তাতে শীত লাগে না। ধন্যবাদ।
সকলে মিলে কক্সবাজার গিয়ে দারুন সুন্দর আনন্দ করেছেন ভাই। কক্সবাজার জায়গাটা এমন সুন্দর যেখানে বেড়াতে যেতে খুব ভালো লাগে। আর আপনারা সকলে গেছিলেন বলে আরো বেশি এনজয় হয়েছে এটুকু বুঝতে পারছি। তবে আপনি বাসে ঘুমাতে পারেন না বলে আপনার একটু বেশি কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে এক রাত্রি ঘুম না হলে তার প্রভাব অনেক দিন ধরে শরীরে পড়তে থাকে।
দুই রাত ঘুম হয়নি। এক সাপ্তাহ ধরে ঘুমাতে হচ্ছে। ধন্যবাদ।
Task done
