পর্বঃ০৩ || সাফারি পার্ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা
03-01-2025
২১ মাঘ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে সাফারি পার্ক ভ্রমণের তৃতীয় পর্বটি শেয়ার করার জন্য।
২য় পর্বের পর
দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা চলে গেলাম মেইন গেইটের কাছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম অনেক মানুষ সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ ভিতরে প্রবেশের জন্য। সাফারি পার্কের ভিতরে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, জিরাপ,হরিণ আরও বেশ কিছু প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেটা হেটেঁ হেটেঁ নয়! আপনাকে বাসের মাধ্যমে ঘুরিয়ে দেখাবে। এক পলকে যাই দেখতে পারেন। আমি তো শুরুতে বেশ এক্সাইটেড ছিলাম। স্বচক্ষে বাঘ মামাকে দেখতে পারবো। তবে কথা হলো এতো বড় সিরিয়াল শেষ হবে কখন? দুপুর একটা থেকে লাইনে দাড়াঁনো। একটার পর একটা বাস এসে দাড়ায়ঁ। যাত্রী নিয়ে ভিতরে চলে যায়। আমরা কয়েকজন লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। ভীড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতেি বিরক্ত লাগছিল। তবে পার্কে যখন আসছি বাঘ না দেখে যাবো না ।
মেইন গেইট অবধি যেতে প্রায় দেড় ঘন্টা লেগে যায়। তারপর সেখানে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়েছিলাম সেখানে। তবে সেখানেও দেখি ভীড়। টিকেট নিয়ে এক জন একজন করে ভিতরে প্রবেশ করছিল। প্রতি টিকেট এর মূল্য ১৫০ টাকা করে। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ৫০ টাকার টিকেট সংগ্রহ করেই ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। আমার এখনো স্টুডেন্ট কার্ড হয়নি । তাই আমার টিকেটটা নিতে হলো ১৫০ টাকা দিয়ে। বাকি যারা ছিল ওদের ৫০ টাকা করে লেগেছে। তো পাচঁটা টিকেট সংগ্রহ করে চলে গেলাম ভিতরে। ভিতরে গিয়ে দেখি আবারে মানুষের সিরিয়াল। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে বাসে উঠার জন্য। কারণ বাসের ভিতর বসেই বাহিরের পশুপাখি দেখতে হবে।
ভিতরে খেয়াল করলাম ছয়টা লাইন করা। আর সেখানে মানুষজন দাড়াঁনো। তবে অনেকেই জোর কাটিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বিশেষ করে পরিবারকে নিয়ে দেখলাম অনেকেই এসেছিল এখানে ঘুরতে সাথে ছোট বাচ্চারাও ছিল। পার্ক মূলত পরিবারকে নিয়েই ঘুরার জন্য। আমি তো ভাবছিলাম বাস হয়তো বাঘের সামনে দিয়ে যাবে, দেখতে পারবো ভালো করে। আমরা প্রায় এক ঘন্টা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর একদম সামনের সারিতে চলে গেলাম। আমাদের বাস যখন আসলো তখন আমরা উঠে গেলাম। একটা বাসে সর্বোচ্চ ২৪ জনের মতো মেবি বসতে পারে। আমরা গাড়িতে উঠার পরেই গাড়ি ছেড়ে দেয়।
বাস যতই ভিতরে যাচ্ছিল ততই যেন জঙ্গল চোখে সামনে ভাসছিল। মনে মনে ভাবছিলাম এসব দেখার জন্য এতোক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর সামনে যেতেই চোখে পরলো বেশ কিছু হরিণ দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আরও সামনে যেতে চোখে পরলো বেশ কিছু গাধা! দূর থেকে আসলে স্পষ্ট দেখাও যাচ্ছিল না। তারপর দেখতে পেলাম বড় আকারের জিরাফ! বিশাল আকারের লম্বা জিরাফ। কিন্তু সামনে যেতেই দেখতে পেলাম সিংহ! গাছের নিচে শুয়ে আছে! তবে কিছুদূর আগাতেই চোখে পরলো আমাদের কাঙ্খিত বাঘ! সেটাও আবার অনেক দূরে! জঙ্গলের অনেক ভিতরে খেয়াল করলাম বাঘ দাঁড়িয়ে আছে। আমি ভাবছিলাম হয়তো আরও কাছ থেকে দেখতে পারবো। পুরাই হতাশ হয়েছিলাম আসলে। কারণ এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে এভাবে প্রাণী দেখার জন্য বাসে উঠেছিলাম।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | W3w |
চলবে,,,,,
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
পার্ক ভ্রমণ সহ সুন্দর সুন্দর স্থান গুলো ভ্রমণ করা আমার খুবই শখ। কিন্তু স্বভাব তো হয়ে ওঠে না। তবে আপনাদের ভ্রমণ পোস্টগুলো দেখে ভালো লাগা সৃষ্টি করি। অনেক ভালো লাগলো আপনার সাফারি পার্ক ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব দেখে। একটি বাসের ২৪ জন বসতে পারে। অনেক ভালো লাগলো বিস্তারিত সব জানতে পেরে।
আপনার পার্ক ভ্রমণের বন্যা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আমি বেশ কয়েকবার এই পার্কে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু তখন তো আর ব্লগের বিষয়টা আমার জানা ছিল না যার জন্য তেমন ফটো ধারণ করা নেই। সুযোগ বুঝে আবারো উপস্থিত হবো এখানে। আপনাদের ব্লগ দেখে বেশ অনুপ্রাণিত হতে পেরেছি আমি। প্রতিনিয়ত অনেকে কত সুন্দর ভাবে ভ্রমণ পোস্ট করে থাকে।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে সাফারি পার্ক ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। আর আমার কাছে এই পোস্টটা পড়তে অনেক ভালো লেগেছে। ঘুরাঘুরি করার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বিস্তারিত ভাবে সবকিছুই জানতে পারলাম ভালোভাবে। আশা করি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন।
কয়েক মাস আগে গাজীপুরের সাফারি পার্কে আমরাও যেতে চেয়েছিলাম ভাই। তবে যাওয়ার আগে ইউটিউবে যখন সাফারি পার্কের ভিডিও দেখেছিলাম,তখন একেবারেই ভালো লাগেনি আমার। কারণ বাসে বসে বসে ভালোভাবে প্রাণী দেখা যায় না। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলাম ঘুরতে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।