অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২০)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা এবং বিশ্বাস সবাই ভালো আছেন। যদিও গরমের মাত্রা পুনরায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন আগের রূপে আর গরম বৃদ্ধি পাওয়া মানেই জীবন যাত্রার স্বাভাবিক মান বাধাগ্রস্থ হওয়া। তাই গরমের পুরনো রূপ ফিরে আসাটা কারোর কাছেই কাম্য হতে পারে না। যাইহোক, কলকাতা ভ্রমণের সবগুলো স্মৃতি মানে ফটোগ্রাফি এখনো শেয়ার করা হয়ে উঠেনি, অনেক ফটোগ্রাফি এখনো রয়েগেছে। তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করছি একটু একটু করে শেয়ার করার জন্য। আজকে কলকাতা ভ্রমণের ২০তম পর্ব শেয়ার করবো আর এগুলোও ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি। আজকে বন্য প্রাণীদের ভিন্ন ভিন্ন কিছু দৃশ্য শেয়ার করবো।
আজকে যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করবো সেগুলোও হয়তো অনেকেই চিনেন কিংবা দেখেছেন, না না না বাস্তবে দেখার কথা আমি বলি নাই হয়তো মুভিতে কিংবা টিভিতে অথবা চিড়িয়াখানায় হি হি হি। এশিয়াটিক ব্ল্যাক বেয়ার এগুলো যেমন দেখতে কালো ঠিক তেমনি দেখতে বেশ ভয়ংকরও লাগে আমার কাছে। জাভান রাইনোসেরাস ও ইন্ডিয়ান রাইনোসেরাস, এগুলো দেখতে বেশ অদ্ভুত লাগে আমার কাছে। সিংহ ও বাঘ, এগুলোর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই হি হি হি। ইন্ডিয়ান এলিফ্যান্ট, বেশ দারুণ লাগে দেখতে এগুলো। সত্যি এগুলোকে বেশ সুন্দরভাবে যেমন সাজিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে ঠিক তেমনি প্রতিটি দৃশ্যের সাথে সুন্দর একটা ব্যাখ্যাও যুক্ত করা রয়েছে, মোটামুটি একটা ধারনা নেয়ার জন্য।
আমরা আসলে খুব দ্রুত সব কিছু ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম বলে সবগুলো দৃশ্য যথাযথভাবে ক্যাপচার করতে পারি নাই। প্রতিটি প্রাণীর একাধিক দৃশ্য ছিলো সেখানে, ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে সেগুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছিলো। আমরা জাস্ট দ্রুত ফটোগ্রাফি করে হাঁটা শুরু করেছিলাম, যার কারনে প্রতিটি নোটও যথাযথভাবে দৃশ্যের মাঝে আনতে পারি নাই। না হলে হয়তো দৃশ্যগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিছু শেয়ার করতে পারতাম। আসলে কিছু বিষয় থাকে এমন যখন সেগুলোকে দেখা হয় তখনই কেবল অনুভূতিগুলো ক্রিয়াশীল থাকে, তারপর আর মনে থাকে না। যার কারনে চাইলেও পরবর্তীতে সব অনুভূতি শেয়ার করা যায় না, এটাই বাস্তবতা।
আগের পর্বে শৈশব এর কিছু কথা বলেছিলাম, আমরা যতটা প্রাণী জগত সম্পর্কে আগ্রহী ছিলাম কিংবা আকর্ষণবোধ করতাম বর্তমান প্রজন্ম সেটা করেন। এই সম্পর্কে সেদিন ফেসবুকে একটা দারুণ পোষ্টার দেখেছিলাম। অবশ্য সেটা দেখে কিছুটা আফসোস যেমন হয়েছিলো ঠিক তেমনি কিছুটা হাসিও পেয়েছিলো, নিজের শৈশবকে স্মরণ করে। গাছের কুলগুলো এখন আপনা আপনি পড়ে যায় কারো ঢিলের জন্য অপেক্ষা করে না। সত্যি আমরা কতটা দুষ্ট ছিলাম কুল পাকার আগেই সেগুলোকে ঢিলের আঘাতে পেড়ে নিতাম। আর বর্তমান প্রজন্ম এসব করার সময় কই, গেম খেলতে খেলতে তাদের রাত হয়ে যায়।
কালের বিবর্তনে সব কিছুর মাঝে পরিবর্তন আসছে, সেটা যেমন আমাদের মাঝে আসছে ঠিক তেমনি প্রাণী জগতের মাঝেও আসছে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, আমরা যে বিষয়গুলোর প্রতি এখন আগ্রহী, হয়তো আগামী প্রজন্ম সেটার প্রতি অনাগ্রহী থাকবে, প্রাণী জগতের প্রাণীগুলো এখন যেভাবে জীবন যাপন করছে হয়তো আগামীতে তারা সেই সুযোগটা পাবে না তখন তাদের জীবনের গতিও পাল্টে যাবে। একটু লক্ষ্য করে দেখুন সবুজ প্রকৃতি যেভাবে ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক বনগুলো যেভাবে উজাড় হচ্ছে, সেটা হওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক। আজ এখানেই শেষ করছি, পরের পর্বে নতুন কিছু দৃশ্য নিয়ে নতুন অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কলিকাতার মিউজিয়াম তো বিশাল বড়। আর এই বিশাল বড় মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি কি সহজে শেষ হওয়ার। আমার তো মনে হয় এই ফটোগ্রাফি গুলো করতে আপনার প্রায় ছয় মাসও লেগে যেতে পারে। এই যেমন আজও দশটি ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। যদি এসব পশুর কোনটিই আমার সামনা সামনি কখনও দেখা হয়ে উঠে নি। তাই আজ আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটালাম এই আর কি।
কলকাতা ভ্রমণের ২০তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে কলকাতার ভ্রমণের স্মৃতিগুলো সারা জীবনের জন্য আপনার মনে জায়গা করে নিয়েছে। সেই স্মৃতিগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ধরে রেখেছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। তবে প্রাণীগুলো কিন্তু সত্যিই অনেক ভয়ংকর। বিভিন্ন মুভি কিংবা চিড়িয়াখানায় এগুলো দেখা যায়। যদিও বাস্তবে খুব একটা দেখা যায় না। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
হৃদয়ের টানে কলকাতায় গিয়ে সেই স্মৃতিগুলো বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি দ্বারা তুলে ধরেছেন। কলকাতা মিউজিয়াম দেখছি বেশ বড়।আপনার ফটোগ্রাফি দ্বারা আজ ও অনেক অনেক প্রানী দেখতে পেলাম।দারুন লাগলো।আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মুভিতে এ ধরনের নানা জাতের প্রানীর ছবি দেখতে পাই।আজ আপনার ফটোগ্রাফিতে আবার দেখতে পেলাম।এদের বিবরন গুলো খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করা আছে।আসলে নোট করে না রাখলে এগুলো মনে থাকার কথা নয়।বেশ ভালো ই লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আসলেই এখন আবহাওয়া দেখলে মনে হয় যেন গ্রীষ্মকাল চলছে।ভাইয়া, বাস্তবে এই প্রাণীগুলো দেখলে হয়তো ওদের পেটের ভিতরে থাকতাম এতক্ষনে,হি হি।আপনার ফটোগ্রাফিগুলি সুন্দর হয়েছে।যদিও এই দৃশ্যগুলি আগে বড় দাদার পোস্টের মাধ্যমে দেখেছিলাম।আবার পুনরায় আপনার পোষ্টে দেখে ভালো লাগলো।বাস্তবে প্রাকৃতিক বনগুলো অনেকখানি হ্রাস পেয়েছে,ধন্যবাদ ভাইয়া।