অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-১৭)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। নিশ্চয় আমার কলকাতা ভ্রমণের কথাগুলো মনে আছে। ইতিপূর্বে অবশ্য ১৬টি পর্ব শেয়ার করেছি। প্রতিটি পর্বের মাঝে বেশ ভিন্নতা রক্ষা করার চেষ্টা করেছি শুরুর দিকের। কিন্তু শেষের দিকের গুলোর মাঝে হয়তো অতোটা ভিন্নতা পাবেন না, কারন এগুলো ফটোগ্রাফি দিয়ে সাজানো। যাইহোক আজকে কলকাতা ভ্রমণের ১৭তম পর্ব শেয়ার করবো আর এগুলোও ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি। বিশাল বড় সাইজের মিউজিয়াম তাই অল্প করে ফটোগ্রাফি করলেও অনেকগুলো পর্ব হয়ে যাবে।
যদিও আমি এর আগের পর্বগুলোতে বলেছি খুব বেশী সময় আমরা পাইনি, তাই খুঁটে খুঁটে নিখূঁতভাবে ফটোগ্রাফি করার পর্যাপ্ত সময় আমাদের হাতে ছিলো না, তাছাড়া শারীরিকভাবেও আমরা অনেকটা কাহিল ছিলাম তখন। তাই যতটা দ্রুত সম্ভব আমরা সেখান হতে বের হওয়ার চেষ্টা করেছি এবং দ্রুত আরো একটা স্থানে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা প্রতিটি রুমে প্রবেশ করেছি, যে দৃশ্যগুলো ভালো লেগেছিলো দ্রুত সেগুলোর ফটোগ্রাফি করে বের হয়ে গিয়েছি, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করার এবং আরো ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করার সুযোগ তখন একদমই ছিলো না।
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বৈচিত্রময় নানা দৃশ্য, বিশেষ করে তাদের জীবন প্রণালীর ধাপগুলো। এগুলো অবশ্য মোটেও আমার কাছে ভালো লাগার বিষয় ছিলো না, কারন দৃশ্যগুলো দেখার সময় কেমন জানি আমার গাঁ শির শির করছিলো। তাই যতটা দ্রুত পেরেছি ফটোগ্রাফি করে সেখান হতে বের হয়ে গিয়েছি। দেখুন জীব বৈচিত্রের মাঝে কিছু দৃশ্য রয়েছে সেগুলো হয়তো কারো কারো কাছে খুবই ভালো লাগে কিন্তু সবার কাছে সেটা যে ভালো লাগবে এটা ভাবা ঠিক না। আমার কাছে একদমই ভালো লাগে না।
কিন্তু কি আর করার, আপনাদের কথা চিন্তা করে ফটোগ্রাফিগুলো করেছি, তাও কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে হি হি হি। সত্যি বলছি এই দৃশ্যগুলো যদি প্রতিটি প্রাণীর বৈচিত্রময় ধাপগুলো একটা একটা করে ক্যাপচার করতাম, তাহলে এই এক রুমেরই আমাদের আধঘন্টা সময় লেগে যেতো। তাই সময় বাঁচানোর জন্য এবং দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার জন্য গ্রুপ ফটোগ্রাফি করে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। ফাঁকিবাজি করেছি তবে সেটা ভদ্রভাবে, হা হা হা। যাতে কিছুটা হলেও পয়সা উসুল হয়।
তবে একটা বিষয় এখানে অবশ্যই বলবো সেটা হলো প্রাণীগুলোর জীবন প্রণালী জানার ক্ষেত্রে এই দৃশ্যগুলো সত্যি অনেক বেশী উপকারী। হয়তো অনেকের নিকট সেটা ভালো লাগবে না কিন্তু তবুও এখানে শেখার অনেক কিছু আছে যা সহজেই বোধগম্য হয়ে। আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
আজও দেখছি ভাইয়া আপনি ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের প্রায় ১৬টি ফটোাগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই তো মনে হচ্ছে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম বেশ বড়। আপনি তো কতদিন যাবৎ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন। কিন্তু কই শেষ করতে তো আর পারছেন না। তবে আমাদের কিন্তু এসব দুষ্পাপ্র ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খারাপ লাগছে না। ভারতে গিয়ে তো আর দেখা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ ভাইয়া মূল্যবান কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
হৃদয়ের টানে কোলকাতা,অনুভূতির গল্পের ১৭ তম পর্ব হাজির। ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে ভাইয়া।সময় কম থাকলেও আপনার ফটোগ্রাফার হাত দারুন, এজন্যই এতো সুন্দর পোস্টটি।আপনার ভালো লাগছিল না প্রাণীর বৈচিত্র্যময় দৃশ্য গুলো।তাই দ্রুত ফটোগ্রাফি করেই প্রস্থান করেছিলেন সেখান থেকে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটির জন্য।
দেখতে দেখতে হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-১৭) হয়ে গেল।ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফিগুলি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দূর থেকে হলেও।প্রথমের প্রাণীজগতগুলি দেখলে মনে হয় তার মধ্যে হারিয়ে যাই।কিন্তু শেষের পোকামাকড় গুলি বেশ ভয়ানক।ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে, ধন্যবাদ আপনাকে।