অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কোলকাতা (পর্ব-১০)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সময়গুলোকে দারুণভাবে উপভোগ করছেন। আমি বেশ ভালো আছি সেটা বলতে পারছি না তবে ভালো থাকার প্রচেষ্টা বেশ সুন্দরভাবে গতিশীল রাখার চেষ্টা করছি। আসলে আমরা চাইলেই সুন্দর বা ভালো থাকতে পারি না, কারন আমাদের চারপাশের পরিবেশ দারুণভাবে আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে, চাই সেটা মানসিকভাবে হোক কিংবা অন্য কোন ভাবে হোক। যার কারনে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের চেষ্টাগুলোকে গতিশীল রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। না হলে বাস্তবতার নির্মমতায় ভালো থাকাটা বেশ কঠিন ও দুষ্কর হয়ে যাবে। তাই যে অবস্থায় থাকি আমাদের ভালো থাকার এবং নিজেকে ভালো রাখার প্রচেষ্টাকে গতিশীল রাখতে হবে।
আজে অনুভুতির গল্প-হৃদয়ের টানে কোলকাতার দশম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন দারুণ একটা উত্তেজনা নিয়ে আমরা অপেক্ষা করতেছিলাম কিংপ্রস ভাইয়ের কারন ভাই টিকেট নিয়ে আসলেই আমরা ভিতরে প্রবেশ করবো। ততোক্ষণ অবশ্য বাহির থেকেই আমরা ফটোগ্রাফি শুরু করেছি, সুমন ভাইয়ের বিশেষ ক্যামেরার কল্যাণে বিশেষ স্টাইলে আমরা ফটো সেশন শুরু করে দিলাশ। কিংপ্রস ভাই টিকেট নিয়ে আসার সাথে সাথে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে মানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে পার্কে সীমানায় প্রবেশ করলাম। বিশাল এলাকাজুড়ে সুন্দর পরিবেশে পার্কটি, বেশ মানুষ রয়েছে ভেতরে সবাই মনে হচ্ছে সুন্দর পরিবেশে কিছুটা বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করছেন। আসলেই এই রকম সুন্দর পরিবেশে সময়টা সব সময়ই বেশ সুন্দর ও সতেজ হয়ে থাকে, তার উপর সবাই যেহেতু টিকেট কেটে প্রবেশ করেছে সেহেতু দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার কোন মানেই হয় না, হি হি হি।
আমরা ভেতরে প্রবেশ করেই, চারপাশটা এক নজর দেখে নিলাম যেহেতু আমাদের খুব বেশী সময় নেই আরো কয়েকটি স্থান ভিজিট করতে হবে। তাই এখানে খুব বেশী সময় ব্যয় করা যাবে না। তাই আমরা পার্কগুলোর পরিবেশ দূর হতেই দেখলাম কিন্তু সেদিকে গেলাম না। সুন্দর ব্যাঞ্চ রয়েছে বসার জন্য, অনেকেই সবুজ ঘাসের উপর বসেছে। বেশ কিছু কাঠবিড়ালি দেখলাম। বুঝতে পারলাম সুন্দর পরিবেশ এবং প্রচুর পর্যটক আসার কারনে তাদের খাবারের কোন সমস্যা হয় না, তাই তারাও বেশ চঞ্চলভাবে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে মনের আনন্দে। আমরা সবুজ পার্কের রাস্তা এড়িয়ে পাথরের উপর দিয়ে হাঁটতে লাগলাম এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মূল আকর্ষণ পুরো ভবনের দৃশ্যটি ক্যাপচার করার চেষ্টা করলাম। তবে শুরুতেই সম্মুখে থাকা মূল ফটকটির দৃশ্য ক্যাপচার করলাম।
বেশ দারুণ শ্বেত পাথরের তৈরী এই স্থাপনাটি এখন কোলকাতার অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্পট। কেমন একটা অদ্ভুত অনুভুতি কাজ করতেছিলো তখন, যা পত্রিকায় কিংবা টিভিতে দেখেছি তার সম্মুখে দাঁড়িয়ে এখন আমরা ফটোগ্রাফি করছি। ভেতরে প্রবেশ করার পূর্বে আমরা একত্রে ছিলাম কিন্তু প্রবেশ করার সাথে সাথে আমরা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেলাম, যার যার মতো করে নানা স্টাইলে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম্ । সত্যি বলতে দারুণ আকর্ষণীয় এবং ভিন্ন স্থাপত্য দক্ষতায় তৈরীতে দারুণভাবে ফুটে উঠেছি, যতই সম্মুখে যাচ্ছি ফটোগ্রাফির তৃষ্ণা যেন ততোই বেড়ে যাচ্ছে। আমরা সম্মুখে যাচ্ছি আর ফটোগ্রাফি করছি, মাঝে মাঝে অবশ্য সুমন ভাইয়ের ডাকে তার বিশেষ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি, দূর হতে সুমন ভাই সেটা ক্যাপচার করছেন।
আমি দলছুট হয়ে বেশ দ্রুত এগিয়ে গেলাম এবং ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম, পরিবেশ বেশ গরম ছিলো। তাই সতেজ পরিবেশ পেয়ে আরিফ ভাই একটা বেঞ্চে বসে পড়লেন। তারপর তার সাথে সাথে সুমন ভাই ও কিংপ্রস ভাইও বসে পড়লেন। ততোক্ষনে আমি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ঠিক পেছন সাইটে চলে গিয়েছি ফটোগ্রাফি করতে করতে। কারন সময় নষ্ট করা যাবে না। হঠাৎ এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি তাদের কাউকে দেখা যায় না, তারপর ফোন রেব করে সমুনভাইকে ফোন দিলাম, তারা বললেন বিশ্রাম করছেন বেঞ্চে বসে। আমি কিছুটা সময় দাঁড়ালাম, তারা আসলেন তারপর একত্রে ভেতরে প্রবেশ করলাম। আসলেই সুন্দর একটা পরিবেশ ছিলো চারপাশে, প্রচুর মানুষের উপস্থিতি ছিলো সেখানে। সবাই যার যার মতো করে ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত ছিলেন। বেশ কিছু বিদেশী পর্যটকও দেখলাম আমরা।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ কোলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ঠিক বলেছেন টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকবো তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে গেলে কি হয়। আর হ্যাঁ এরকম সুন্দর কোন জায়গায় গেলে সবাই এমনিতেই ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপনারা নিশ্চয়ই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন। এবং নতুন নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে পেরেছেন। যাক আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আমরাও একটু জায়গা টা দেখতে পারলাম। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের পার্কটি অনেক সুন্দর জায়গা আপনার শেয়ার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম।সুমন ভাইয়ের বিশেষ ক্যামেরা থাকায় আপনাদের ফটোগ্রাফি করতে বেশ সুবিধা হয়েছে বলা যায়।এতো সুন্দর নিরবিলি পরিবেশ,তাই আপনি দল থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ফটোগ্রাফি করেছেন সময় নষ্ট না করে।অবশ্য ভালো করেছিলেন,এজন্যই তো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেলাম।সব মিলিয়ে অসাধারণ লাগছে দেখতে।দশম পর্বটিও অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া।ধন্যবাদ এতো সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
কঠিন বাস্তবতার মাঝে নিজেকে ভালো রাখাটাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে ভাইয়া।ভাইয়া এত যে সুন্দর সুন্দর পিক তুলেছেন সুমন দাদার ক্যামেরাতে ,তো সেগুলো কই।সব ভাবীকে দেখাচ্ছেন বুঝি,যাইহোক বেশ মজা করেছেন বুঝতে পারছি।আমিও একবার গিয়েছিলাম এখানে দাদার সঙ্গে, তবে পুকুর পাড়ের দৃশ্য দেখে বেশিক্ষণ ঘোরা হয়নি। ফটোগ্রাফিগুলি সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই ভাই পরিবেশটা ভীষণ গরম ছিল। হিহিহি🤭
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নিয়ে কত ভিডিও দেখেছি টিভিতে। সেদিনের অনুভূতিটা সত্যি দারুন ছিল। তবে আমি বুঝলাম না আপনি পুকুরের সাইডে কখন গেলেন?? 😃
এত ছোটাছুটি করে বেড়াইছেন ওইটুক সময়ের মধ্যে। 😅
টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকে একদম পয়সা উসুল করেই ফিরেছেন তাহলে হিহিহিহি। পুরোনো কথা মনে পড়ে গেল হাফিজ ভাই। আমরাও বেশ সময় নিয়ে দেখেছিলাম এটা। ছবি গুলো খুব সুন্দর ছিল। আজকেও ভেতরে ঢোকালেন না তাহলে। সে যাই হোক, বাইরে কি সেদিন কোন কপোত কপোতী ছিল না নাকি! 🤪,, ছবিতে তো কিছুই দেখছি না । একদম ধূ ধূ মরুভূমি 😅
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল জায়গাটি সত্যিই দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে এবং খুবই মনোরম পরিবেশ মনে হচ্ছে। ভাইয়া, সুমন ভাই আরিফ ভাই এবং কিংপ্রস দাদা বেঞ্চে বসে বিশ্রাম নিয়েছে কিন্তু আপনি ফটোগ্রাফি করতে এতই ব্যস্ত হয়েছিলেন যে আপনার বেঞ্চে বসে বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজন হয়নি। ভাইয়া মনে হচ্ছে, পুরো কলকাতা শহরটা আপনি ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেছেন। তবে,ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মতো সুন্দর জায়গার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর ভিতরে দুপুর টাইমে আসলেই বেশ গরম থাকে। আর গরম লাগবে না কেন, নিচে এত পরিমাণে পাথর বিছানো থাকে যে সেটার জন্য আরো বেশি গরম মনে হয়। তবে আপনারা যে পার্কের ওই দিকটাতে যাননি এটার জন্য আপনাকে হাজার হাজার শুকরিয়া। কারণ ওই দিকটা যা চলে তা দেখলে হয়তো আপনাদের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সম্পর্কে একটা খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি হতো। হা হা হা... ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তো আমার ইউনিভার্সিটি'র কাছে। এজন্য সময় সুযোগ পেলেই আগে যেতাম তবে এখন আর ভালো লাগেনা। এত পরিমাণে গেছি যে অনেকটা কমন হয়ে গেছে আমার কাছে।