"ডিঙি নৌকা নিয়ে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৬ শে এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা মাজার ঘাটে বেশ কয়েকজন নৌকা মালিকদের সাথে কথা বললাম। এখানে যাদের নৌকা রয়েছে সবাই আমাদের কাছে একই রকম ভাড়া চাইলো। কয়েকজন নৌকা মালিকের ভেতর যার কথাবার্তা আমাদের কাছে ভালো লাগলো তার নৌকাটি আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে যার জন্য ঠিক করলাম। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট যাওয়ার নৌকা ভাড়ার জন্য আমাদেরকে ৮০০ টাকা গুনতে হয়েছিলো। আর সাথে ছিল ২০০ টাকা নৌকা ঘাট ভাড়া।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট দেখার জন্য নৌকা ভাড়া করার পরে আমরা আমাদের মোটরসাইকেল মাজার শরীফের পাশে রাখলাম আর আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যাগ পত্র গুলোও সেখানে রাখলাম। আর আমাদের মোটরসাইকেল আর ব্যাগ পত্রের সিকিউরিটি হিসেবে ছিল সেখানকার একটি ছোট্ট বাচ্চা। আমাদের যে নৌকার মালিক ছিল অবশ্য উনিই বাচ্চাটি আমাদের ব্যাগ পত্র আর মোটরসাইকেল দেখার জন্য ঠিক করে দিয়েছিলো। তবে খুব প্রয়োজনীয় ব্যাগ হলে অবশ্যই সাথে করে নিয়ে যাওয়া উচিত।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমাদের ব্যাগের ভিতরে তেমন কোন প্রয়োজনীয় বা দামি কিছু ছিল না তাই আমরা ব্যাগ বাইকের সাথে রেখে এসেছিলাম। এখানকার নৌকাগুলো ইঞ্জিনবিহীন। তাই নৌকাগুলো চালানো অনেক কষ্টকর। আমাদের নৌকাটির মাঝি ছিল বেশ ছোট বয়স হবে ১৩ থেকে ১৪। তবে ছোট হলে এরা নৌকা চালানোই বেশি এক্সপার্ট। ছোট মাঝি পেয়ে প্রথমে অবশ্য একটু ভয় ভয় করছিল কিন্তু একটু যাওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম এরাও বেশ দক্ষ। আমাদের এই ছোট মাঝির সাথে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কথাবার্তা বললাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
মাজার ঘাট থেকে ইঞ্জিনবিহীন নৌকা নিয়ে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে যেতে আধা ঘন্টার মত সময় লাগে। ইঞ্জিন বিহীন এই নৌকাগুলোতে মোটামুটি সর্বোচ্চ ৫-৬ জন ব্যক্তি যাওয়া যায়। আমরা নিজেরা ছিলাম চারজন আর আমাদের মাঝি দিয়ে মোট পাঁচজন ছিলাম। আরে আধা ঘন্টা সময় ধরে বেশ বড় একটি বিল পাড়ি দিতে হয়। আমরা যখন নৌকা দুটি তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯ঃ১০ বাজে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমাদের ঘড়ির কাঁটা যখন ৯ টা ৪০ বাজে তখনই আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট পৌঁছে যায়। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের আরে এটা অনেক বড় যদি এখানে সারাদিন নৌকা নিয়েও ঘোরা যায় তবেও এই এরিয়াটা শেষ করা যাবে না। আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট পৌঁছানোর পরে ভেতরের দিকে নৌকা নিয়ে আগাতে থাকি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা যতই ভেতরের দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনের ভেতরে অনেক ভালো লাগা কাজ করছিলো। কারণ হলো রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের মেন সৌন্দর্যটা আসলে এর ভিতর দিকেই। আমাদের যে ছোট বাচ্চা মাঝে ছিল সে বেশ দারুন গান করে আমরা সেটা প্রথম দিকে জানতাম না। তারপর যখন আমি রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ভেতরে ঢুকে গান আরম্ভ করলাম তারপর দেখি আমার সাথে সাথে সেও গান গাইছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ভেতরে অন্যরকম ভয়ংকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। জলের ভেতরে বড় বড় সবুজ গাছগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে দিয়েছিলো।
আজকে এ পর্যন্তই রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ কাহিনী আবার অন্য একটি পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


অনেক সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন ভাইয়া। আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট দেখে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আমার। বাইরে তেমন তো বেশি একটা যাওয়ার সুযোগ মিলে না তবে আপনাদের এই পোস্টগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হই। অচেনা একটি জায়গা সম্পর্কে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম।
অচেনা জায়গা গুলোও সম্পর্কে জানতে পেরে আপনার কাছে অনেক ভালো লাগে এটাই আমার কাছে অনেক। আমি সবসময় চেষ্টা করি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টগুলো আমার বাংলা ব্লগে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বোঝাই যাচ্ছে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে নদীর মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে যদিও ডেঙ্গি নৌকা চালানোটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, ভ্রমণ কালের মুহূর্তগুলোর গল্প জানতে পেরে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে দারুণ মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ ডিঙ্গি নৌকা চালানো বেশ কষ্টকর। তুমি থাকলে অনেক বেশি মজা হতো। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ভিতরে গিয়ে তোমার গলায় যদি গান শুনতে পারতাম তাহলে হৃদয় শীতল হয়ে যেতো। তবে আমার ইচ্ছা আছে অবশ্যই আমাদের টিমকে নিয়ে সিলেট ভ্রমন করার। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।