বান্দরবান ভ্রমণ: মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করলাম।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ- মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করলাম।
আমরা টিকিট কাউন্টার থেকে ৯ জনের জন্য টিকিট সংগ্রহ করলাম। তারপর সবাই মিলে হাঁটতে হাঁটতে মেঘলা পঞ্চটন কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করলাম। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করার পরে সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে নামতে হয়। মেইন গেট থেকে সিঁড়ির শেষ অব্দি বেশ ভালই ঢালু নামতে সহজ হলেও উঠতে একটু কষ্ট হবে। আমার কাছে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র একদম নতুন ছিল। কারণ এখানে এটাই প্রথমবারের মতো ভ্রমন ছিল আমার জন্য।
আমরা সবাই মিলে একসাথে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে হেঁটে নামার সময় বেশ ভালই মজা করছিলাম। যখন থেকে মেঘনা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকেছি তখন থেকেই মোবাইলের ক্যামেরা অন ছিল। আর সামনে যা পাচ্ছিলাম তাই মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখছিলাম। দিদি হেঁটে নিচে নামার সময় সবাই মিলে সেলফি উঠেছিলাম।
মেইন গেট থেকে নামার সময় সিঁড়ির পাশেই একটা সাদা গোল ঘর আছে দেখতে ভীষণ সুন্দর। এরকম সুন্দর একটা জায়গায় এরকম সুন্দর একটা গোল ঘরে বসে সময় কাটালে তো ভীষণ ভালো লাগতো। আমরা অবশ্য এই ঘরে কোন লোক দেখতে পেলাম না। আমাদের গ্রুপের সবাই মিলে যদি একটু আড্ডা দিতে পারতাম তাহলে ভীষণ ভালো লাগতো।
আমরা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের মেনগেট থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পাশে একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলাম। আরে সাইনবোর্ডে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের সবকিছুর বিবরণ দেয়া রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রের পুরো ম্যাপ এই সাইনবোর্ড এর ভিতর অঙ্কিত ছিল। যাইহোক এ ধরনের সাইনবোর্ড গুলো দেখলে বেশ ভালোই লাগে। কারণ ভ্রমণ করার আগে এই জায়গাটা সম্পর্কে একটু ধারণা পাওয়া যায়।
ট্রাভেলে বের হলে এ ধরনের সাইনবোর্ড গুলোতে নজর দিতে হয়। আর সাইন বোর্ডের নির্দেশিত সবকিছু মেনে চলে একজন উত্তম ট্রাভেলারের কর্তব্য। এর আগেও আমরা বেশ কয়েক জায়গায় ভ্রমণ করেছি আমরা সবসময় চেষ্টা করি এসব নির্দেশনা গুলো মেনে চলার জন্য। আমরা হাঁটতে হাঁটতে সিঁড়ি পার হয়ে একটা ভিতরে চলে গেলাম।
আমরা যতই মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে যাচ্ছিলাম ততই এখানকার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। এই জায়গাটা যে এতটা সুন্দর সেটা একদমই অজানা ছিল। একটু সামনে গিয়েই পাহাড়ের ভেতরে নীল জলের লেক দেখতে পেলাম। এমন অপরূপ সুন্দর দৃশ্য দেখে মনটা ভরে গেল।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


মামা তুমি তো বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করলে। আবার আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। ব্যাপারটা দারুন ছিল যাই হোক সেই দিনগুলো আবার ফিরে আসতে চলেছে। দারুন সময় কাটিয়েছিলাম স্মৃতিগুলো পুনরায় উজ্জীবিত করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই বন্ধু বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে করতে এদিকে আবার যাওয়ার সময় হয়ে আসলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বান্দরবান ভ্রমণ করে অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন ভাইয়া। আমি আপনাদের বেশ কয়েকজনের ভ্রমণ পোস্টগুলো লক্ষ্য করে থাকি প্রত্যেক সপ্তাহে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো দেখতে। এর আগে রায়হান ভাইয়াকে দেখেছিলাম বান্দরবানের অনেক সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে এনেছিল। এখন আমি খেয়াল করছি আপনি আবার মহিন ভাইয়া সুন্দর সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আসছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে।
আমি নিজেও ভ্রমণ করতে পছন্দ করি আবার ভ্রমণ পোস্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।