ভ্রমণ: টাঙ্গুয়ার হাওর- ওয়াচ টাওয়ারের উদ্দেশ্যে।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২১ ই মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
টাঙ্গুয়ার হাওরে যারা ভ্রমণ করতে যায় তাদের একটাই উদ্দেশ্য থাকে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে ভ্রমণ করার। ভ্রমণ পিপাসুরা এসে এখানে বড় বড় নৌকাতে করে রাত্রি যাপন করে। আর এখানে থেকেই টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রকৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে। সবার মত আমরাও নৌকাতে করে ওয়াচ টাওয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টেকের ঘাট থেকে ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছাতে দেড় ঘন্টা মতো সময় লাগে। আমরা টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরের একটি গ্রামের বাজার থেকে নৌকার ইঞ্জিনের ডিজেল তেল নিয়ে ওয়াচ টাওয়ারের উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করি। এখনো আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছাতে এখনো এক ঘণ্টার মতো বাকি। টাঙ্গুয়ার হাওর আর মেঘালয় পাহাড়ের প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য বরাবরই আমাদেরকে মুগ্ধ করেছিল এই ভ্রমণে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
টাঙ্গুয়ার হাওরে যতটা সময় আমরা ভ্রমণ করেছি ঠিক ততটা সময়েই আমার বন্ধু রাহুল মাছির ভূমিকায় ছিলো। আমাদের যে মাঝি ছিল তিনি নৌকার হালটা ধরে রাখলেও অন্যান্য কাজকর্মগুলো বন্ধু রাহুল মাঝির সহযোগী হিসাবে করে দিয়েছিল। আমাদের বাড়ি পদ্মা নদীর কাছে হওয়াতে আমরা মাঝেমধ্যেই পদ্মা নদীতে নৌকাতে করে ঘোরাফেরা করি। আর এই কারণে আমার আর আমার বন্ধু রাহুলের নৌকা চালানোর উপর হালকা ধারণা রয়েছে। নৌকার ইঞ্জিনের জল শুকিয়ে যাওয়ার আগেই বন্ধু রাহুল আবার নৌকার ইঞ্জিনে জল দেওয়ায় ব্যস্ত রয়েছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমাদের নৌকার এক পাশে ছিল দুইটি মোটরসাইকেল আর নৌকার ভেতরে আমরা অবস্থান করছিলাম, আর আমার বন্ধু রাহুল আর মাঝি নৌকার অপরপ্রান্তে ছিল। আমাদের নৌকাটা তুলনামূলক ছোট হওয়াতে নৌকার ভেতরে নড়াচড়া করতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল। আর এমনিতেও যেসব নৌকাতে ছই থাকে সেসব নৌকাগুলোতে নড়াচড়া করে শান্তি হয় না। আমরা অবশ্য নৌকাতে ওঠার আগে মাঝিকে বলেছিলাম যে, ছই খুলে রেখে যেতে কিন্তু মাঝির ছই খুলতে অনেক অসুবিধা পোহাতে হবে বিধায় মাঝি ছবি খুলেছিল না। নৌকার ভেতরে মোটরসাইকেল আর আমরা সবাই নৌকাতে বসে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করছি বিষয়টা ভাবতেই বেশ দারুন লাগছিল।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
বাড়িতে চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী থেকে সময় সময় নষ্ট করার চাইতে টাকা নষ্ট করে ভ্রমণ করা অনেক শ্রেয়। প্রকৃতিকে আঁকড়ে ধরতে হলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া প্রয়োজন। আমি মাঝেমধ্যে নৌকার ভেতরে এপাশ ওপাশ ঘোরাফেরা করছিলাম যদিও নৌকা চালানো একটু ঝামেলা হয় তার পরেও বসে থাকতে আমার একদমই মন বসে না। বন্ধু রাহুলের সাথে বসে বসে গল্প করার মজাই আলাদা। আমরা যে যে জায়গায় ভ্রমণ করেছিলাম প্রতিটি জায়গায়ই বন্ধু রাহুলের সাথে সব থেকে বেশি সময় দিয়েছিলাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমাদের ভ্রমণের দিনটা ছিল চমৎকার সুন্দর আকাশে উড়ছিল সাদা মেঘের ভেলা। সূর্যের ঝলমলে আলোতে হাওরের জল টলমল করছিল। ভ্রমণের দিন ভ্রমণের জন্য যদি সহায়ক না হয় তাহলে ভ্রমণ করে মজা অনুভব হয় না। টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ করতে আমাদের যেমন সুন্দর দিনের প্রয়োজন ছিল তেমন সুন্দর দিনই আমরা পেয়েছিলাম। আমাদের গন্তব্য যখন ছিল ওয়াচ টাওয়ারের দিকে তখন অনেকেই বড় বড় নৌকা গুলোতে করে নীলাদ্রির টেকেরঘাটের দিকে ভ্রমণ করতে আসছিল। আমরা অবশ্য এপারের প্রতিটি ভ্রমণ স্পট শেষ করে টাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টাওয়ারের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ শুরু করেছিলাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
ঘড়ির কাঁটায় যখন ৪:৩০ বাজে তখন আমারা টাঙ্গুয়ার হাওরের এক ঘন্টার পথ নৌকাতে করে অতিক্রম করে এসেছি। বিকালের দিকে পশ্চিম আকাশে সূর্যটা ঢলে পড়েছিল। টাঙ্গুয়ার হাওরের বিকালে সৌন্দর্য সবথেকে বেশি মনোমুগ্ধকর হয় আর সেই কারণেই আমরা সকালে দিকে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ না করে বিকালের দিকে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সত্যি বলতে বিকালের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছিল যে, আমাদের ট্রাভেল প্ল্যানিংটা সার্থক হয়েছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথের এই দৃশ্যটাই সবথেকে বেশি মনোমুগ্ধকর ও সুন্দর লাগে। এখানকার রেইন ফরেস্ট গুলা জলের ভেতরে দিব্যি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরের জলের ভেতরের মাথা উঁচু করে থাকায় গাছগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। আর এই গাছগুলোর ভেতর দিয়ে নৌকা নিয়ে যেতে ভীষণ ভালো লাগছিল। বিকালের দিকে এখানকার সৌন্দর্য দেখে মনে হচ্ছিল যে, স্বর্গীয় সৌন্দর্য ও এখানে এসে হার মানবে। এখান থেকে ওয়াচ টাওয়ারে যেতে আমাদের আরো সময় লাগবে ৩০ মিনিট মত। যে কোন প্রাকৃতিক জায়গায় ভ্রমণে বের হলে প্রকৃতিক দৃশ্য যখন চোখ ও মনকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তোলে তখনই মনে হয় যে, ভ্রমণটা সার্থক হয়েছে।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


টাঙ্গুয়ার হাওর ও মেঘালয় পাহাড়ের ভ্রমণ পোস্টটি সম্ভবত গতকাল দেখেছিলাম। আজ ওয়াচ টাওয়ারে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফিতে এত সুন্দর জায়গা দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। মুগ্ধ হয়ে যাই এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে। আপনাদের ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আপনার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একটা ভ্রমণ দশটা বই পড়ার সমান কাজ করে। এতে জ্ঞান অভিজ্ঞতা সবকিছু বৃদ্ধি পাই। আমি ভাবছি রাহুল ভাই মাঝি হলে তাকে দেখতে ঠিক কেমন লাগবে হা হা। ওয়াচ টাওয়ার নামটা মনে রাখলাম। কখনো টাঙ্গুয়ার হাওরে গেলে এটা আমার ভ্রমণের প্রথম সারির দিকে থাকবে। বেশ চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট টা ভাই। সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বেশ সুন্দর।
অবশ্যই ভাই টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমন করতে গেলে ওয়াচ টাওয়ারে যাবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে। ভ্রমণে সত্যিই অনেক জ্ঞান অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায় আর সেই কারণেই ভ্রমন করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
টাঙ্গুয়ার হাওর- ওয়াচ টাওয়ারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন৷ এর আরেকটি পর্ব গতকালকে আমি দেখেছিলাম যা দেখে খুবই ভালো লাগছিল৷ আজকে এই পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগল৷ এখানে আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং এই নৌকার এক পাশে দুটি মোটরসাইকেল রাখা হয়েছিল দেখে খুবই ভালো লাগলো৷
আমাদের এই ভ্রমণটা ছিল অ্যাডভেঞ্চার। ছোট নৌকার ভিতর মোটরসাইকেল নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ করতে বেশ ভালো লেগেছিল। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এরকম এডভেঞ্চার করতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আপনাদের কাছ থেকে এরকম সুন্দর পোস্ট দেখে প্রতিনিয়ত ভ্রমণের প্রতি ভালোলাগা বৃদ্ধি পাচ্ছে।