নিজ ক্যাম্পাসে ঘুরে আসা By-@salmanabir |১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য|
প্রিয় প্লাটফর্মের আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজকে বেশী ভালো লাগতে আছে কেননা আজকে আবহাওয়া খুবিই সুন্দর যা মনকে খুবই ভালো করে দিছে। মন ভালো তো সবই ভালো সব কিছুতে আনন্দ। বেশ কিছুদিন যাবত বরিশালে ছিলাম, বরিশাল আমার ভালো লাগার একটি জায়গা।বেশী মন খারাপ হলেই চলে যাই বরিশালে আর এখানে থাকলে আমার সব দিকে ভালো লাগা শুরু হয়ে যায়। কেন জানি এখানেই সারাজীবন থাকতে ইচ্ছা করে।কিন্তু ভাগ্যে নাই অনেক ইচ্ছে ছিল বরিশালে সেটেল হবো।তবে এখনো চেষ্টা করতে আছি জানি না ভাগ্যে কি লেখা আছে।আর বরিশালে যাওয়াই মানে নিজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে যাওয়। কতো সুন্দর এক মনোরোম পরিবেশে লেখাপড়া করে আসছি।আসলে লেখাপড়া করার জন্য এমনি স্থান দরকার যে খানে থাকবে না কোন হৈচৈ। হ্যা আমি আজকে তেমনি এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরব। আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল বরিশাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাধারণত শিক্ষকদের জন্য , মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের ট্রেণিং করানো হয়।এবং পাশাপাশি বি এড ১ বছরের কোর্স চালু আছে।বরিশাল বিভাগীয় যত মাধ্যমিক শিক্ষক আছে তারা একবার হলেও এই খানে আসছে শেখার জন্য।এবার প্রশ্ন আসতে পারে শিক্ষকদের আবার কারা শিখায়, যারা শিক্ষা ক্যাডার তারাই এখানে শিখিয়ে থাকে।তাদের শেখানোর ধরণ আর নাই বা বললাম তবে একটু বলতে চাই।ছোট বেলা যদি এমন শিক্ষা পেতাম তাহলে আজ ভালো কিছু হয়ে যেতাম। এই কলেজএ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার বাবার কারণে। কেননা তিনি একজন শিক্ষক যখন তিনি যখন এখানে শিখতে আসছিল তখন তাকে অফার করা হইছিল।
কলেজ গেট থেকে ডুকেই দুই দিকে রাস্তা গেছে,একটা রাস্তা হলো কলেজ শিক্ষদের প্রশিক্ষণের জন্য ডানে যে রাস্তা গেছ সেটা হলো আমার প্রানের ক্যাম্পাস।
এটা হলো একাডেমিক ভবন, এখানে আমাদের শেখানো হত।অনার্স এর জন্য মাত্র পঞ্চাশ ছিট বরাদ্ধ ছিল। চান্স পাওয়া খুব একটা সহজ ছিল না। আল্লাহ সহায় ছিল বলেই চাঞ্চ হইছিল । এখানে আমাদের একজন শিক্ষক হওয়ার জন্য যা যা দরকার তা শিখানো হত। এবং আমাদের সাবজেক্ট ছিল শিক্ষায় গবেষণা।
শহীদ মিনার,,প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারী আমরা রঙ করতাম এবং বিভিন্ন আলপনা একে আলোকিত করে দিতাম। সকালে সবাই খালী পায়ে গিয়ে মিনারে ফুল দিতাম। স্যার ম্যাম ছাত্র কোন ভেদাভেদ ছিল না ঐ দিন সবাই সমান।সর্বশেষ দোয়া মিলাদের আয়োজন করা হত সকলের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল।কোন ভাবেই প্রিন্সিপাল ছাড় দিত না তাই সবার আসতে হত।
আমাদের খেলার মাঠ, এই মাঠ খুব বেশী একটা বড় না তবে আমরা এখানে সকল খেলাধুলা করতাম, বেশী জমজমাট হত ভলিবল খেলা তারপর ফুটবল।আমাদের সাথে স্যাররাও খেলায় অংশগ্রহণ করত।খুবিই ভালো একটা সময় ছিল সবাই সবার প্রতি সহনশীল ছিল।
এটা হলো পুরুষ হোস্টেলের এক অংশ পাচতলা বিশিষ্ট এই হোস্টেল,থাকার ব্যবস্থা বরিশাল বিভাগের মধ্য সেরা খুবই পরিপাটি, অনেক গোছালো একটি ক্যাম্পাস । এক এক রুমে চারটি বেড দেওয়া আছে এবং চারটি টেবিল, দুইটি ওয়ারড্রব।
একাডেমিক ভবনের সামনের অংশ, একাডেমিক ভবন চারতলা বিশিষ্ট। এক এক তলায় ২৫ টি করে রুম আছে । কিছু কিছু রুম আছে শীততাপনিয়ন্ত্রিত যেমন কম্পিউটার ল্যাব,লাইব্রেরী, অডিটোরিয়াম।আমাদের ক্লাস করানো হত দ্বিতীয় তলায়।
এরাই আমার ক্যাম্পসের ছোট ভাই মাঝে মাঝে ওদের কাছে ছুটে যাই।
ফটোমেকার | আবির |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ৫ |
প্রকাশের তারিখ | ২০/০৪/২২ |
অনেক দিন হলো ঘুরতে বের হই না, সুযোগ পেলাম আর ঘুড়ে আসলাম।
আমার ব্লগটি দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগে। ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করেই শেষ করছি।
ভালোবাসায়💓
@salmanabir
🥰আল্লাহ হাফেজ🥰
আসলে নিজ ক্যাম্পাসে গেলে অতীতের কথা খুব মনে পড়ে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত গুলো ভেসে উঠে হৃদয়ের মাঝে। অসাধারণ ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। ক্যাম্পাসের চারদিকে খুবই শান্ত। এত অসাধারন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ভাই ক্যাম্পাসে গেলে অনেক কিছু মনে পরে যায় কতো স্মৃতি চোখে ভেসে উঠে।তখন মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়ে যায়
বরিশাল সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি তা হল এই জায়গাটি এমনিতেই অনেক সুন্দর। আর এই জায়গার মানুষ গুলো সত্যি সুন্দর। সত্যিই আপনার ক্যাম্পাসটি যেন সবুজে ঘেরা খুব দারুণ লাগছে ফটোগ্রাফি নিল। আর আপনার ফটোগ্রাফির সাথে আপনার অনুভূতিগুলো মিশে একাকার।
বরিশাল খুবিই ছোট শহর মোটামুটি পরিপাটি এবং নদী ঘীরেই বরিশাল শহর তাই বেশী ভালো লাগে।
বরিশাল সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই ভাইয়া। তাই এই জায়গাটির কথা আমি ঠিক বলতে পারব না। তবে নিজ ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো আনন্দ অন্যরকম। আপনি আপনার অতীতের অনেক সুন্দর মুহূর্তের কথা আমাদের জানিয়েছেন। শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। এত সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সময় করে বরিশালে আসবেন ভালো লাগবে,সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
আপনার কলেজের দৃশ্য দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর আপনার কলেজ আরো ভালো লাগলো মোবাইলে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ভাবে উঠেছে। সব মিলিয়ে সুন্দর হয়েছে। দারুন ব্লগ তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রিয় ভাই তোমার সুন্দর মতামত পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত,ভালোবাসা রইল তোমার জন্য।
আপনার ক্যাম্পাসটা খুবই অসাধারণ। পরিবেশটাও মনরম।আর ভাই আপনার মতো আমিও অনেক দিন হলো ঘরতে যেতে পারছি না।ইনশাআল্লাহ ঈদের পর বের হবো।
ঘুরতে গেলে অনেক ভালো, সাময়িক সময়ের জন্য সকল চিন্তা মুক্ত থাকা যায়। ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য