অনেকদিন পর আবার ট্রেন ভ্রমণ 🚃🚄। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমি ভ্রমণ খুবই পছন্দ করি। আমার বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার প্রায়। আমার অনেক বন্ধু মেসে থাকলেও আমি থাকি না। কারণ আমি এই বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়া আসা টা খুব উপভোগ করি। আমি বেশিরভাগ দিন কলেজ থেকে বাড়ি লোকাল ট্রেনে ফিরতাম। কিন্তু করোনার জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গেল। সেজন্য আর ট্রেনে উঠাও সেইরকম হতো না। ট্রেন হলো সবচাইতে নিরাপদ যানবাহন। এবং ট্রেন ভ্রমণ সবচেয়ে মজার বলা যায়। আজ আমি আবার অনেকদিন পর কলেজ থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরেছি। এই ভ্রমণটা আমি খুবই উপভোগ করেছি। এখন আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণ সম্পর্কে কথা বলব। সবাই সাথেই থাকবেন। ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য।
এটা হলো কুষ্টিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন। এটা কুষ্টিয়া জেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম একটি স্টেশন। এবং সম্পূর্ণ বাংলাদেশে এটাই একটি মাএ স্টেশন যেখানে কীনা একটিমাত্র রেলওয়ে লাইন আছে। হ্যা মাএ একটি রেলওয়ে লাইন বিশিষ্ট স্টেশন। আমার কলেজ থেকে এই স্টেশনের দূরত্ব ১০ মিনিটের। আমরা কলেজ থেকে হেঁটেই এই স্টেশনে চলে আসি। এখানে লোকাল ট্রেন আসে ১২:১০-১২:৩০ এর মধ্যে। কোনো দিন এর থেকে বেশি দেরীও করে। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ঠিক ১২ টার আগেই আমার ক্লাস শেষ হয়ে যায়। আমরা খুব আরামেই ট্রেন পাই। আজ আমাদের ক্লাস দ্রুত শেষ হওয়াই আমি আমার বন্ধু নাভিদ তুহিন ইকরা সবাই যথাসময়ে স্টেশনে চলে যায়। গিয়ে দেখি অনেক লোকজন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে।
এরপর আমরা ট্রেনের টিকিট কেটে নেয়। লোকাল ট্রেনে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে কুমারখালী স্টেশনের টিকিটের দাম মাএ ৫ টাকা। টাকা কম বলে আমি কখনো টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠি না। আমার অনেক বন্ধু টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠে। লোকাল ট্রেন হওয়াই সেরকম কোনো সমস্যা হয় না। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ঠিক ১২:৩৪ এর সময় ট্রেন কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে আসে। আমরা একে একে ট্রেনে উঠে যায়।লোকাল ট্রেনে সিট পাওয়া অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু কপাল ভালো থাকায় আজ সিট পেয়ে যায়। তাও আবার জানালার ধারের। জানালার ধারের সিট অনেক সাধনার পর পাওয়া যায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বলা যায়। আমি অবশ্য এই সুযোগ মিস করি নাই। আমার স্টিম বাসীর জন্য আমার বাংলা ব্লগের সদস্যদের জন্য কিছু ছবি তুলে নেয়। এরপর ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে দেয়।
এটা লোকাল ট্রেনের ভেতরের দৃশ্য। লোকাল ট্রেনে অধিকাংশ লোক দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সবার বসার ব্যবস্থা নেই। অল্পসংখ্যক লোকই বসতে পারে সিটে। এরকম অনেকেই দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে। এর কিছুক্ষণ পরেই একজন টিটি আসে টিকিট নিতে। লোকাল ট্রেনে প্রতি কম্পার্টমেন্টে দুইজন করে টিটি থাকে। আমি তাকে আমার টিকিট দেখায় সে চলে যায়। এরপর আসে পরের স্টেশন। এরই মধ্যে আসে কিছু হকার। লোকাল ট্রেনে হকার একটি সাধারণ বিষয়। অনেকে এতে বিরক্ত হলেও আমি হয় না। কারণ এরা তো তাদের জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে করছে। তাছাড়া তো এটা হালাল ব্যবসা। এরপর দীর্ঘ ৩০ মিনিটের যাএা শেষে আমরা কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। কুমারখালীতে আমরা সবাই নেমে যায়। এরপর যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এভাবেই শেষ হয় আমাদের ট্রেন যাএা। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আমার মনে হয় চার বছর ধরে ট্রেন ভ্রমণ করা হয় না। আপনাকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেখে মনে হচ্ছে আরো একবার ট্রেন ভ্রমণ করা উচিত এখন। ধন্যবাদ শেয়ার করে নেয়ার জন্য
চার বছর ট্রেন ভ্রমণ করেন না। এটা অনেক বড় একটি সময়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
ট্রেন ভ্রমণ আমার খুব ভালো লাগে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ট্রেন ভ্রমণ সবথেকে সাস্রয়ি এবং আরাম দায়ক ভ্রমণ। কিন্তু আসলেই সিট পাওয়া খুব কষ্টকর। কারন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ট্রেনের সংখ্যা বাড়েনি। যাক ভালো পোস্ট ছিলো। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভ্রমনের মধ্যে ট্রেন সব থেকে সেইফ এবং নিরাপদ আর খুব সুন্দর। ট্রেনে বসে জানালার পাশে প্রকৃতি দেখার মজাই অন্য রকম। ভাল সময় কাটিয়েছো। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ বন্ধু।।
ট্রেন ভ্রমণের মজাটাই অন্যরকম। বাহিরের পরিবেশটা খুব সুন্দর করে উপভোগ করা যায়।
হুম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
আপনি এই মুহূর্তে ট্রেনে উঠলেন কিভাবে!? আমারতো ট্রেনে লোকজন দেখলেই উঠতে ভয় করে। দেখে মনে হচ্ছে কুষ্টিয়া লাইনের ট্রেন লাইন। স্থানটা বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।
কী আর করার দাদা এভাবেই মানিয়ে নিতে হবে। ধন্যবাদ দাদা।।
আপনি অনেক সুন্দর করে ট্রেনে ভ্রমণ গল্পটি লিখছেন।কিন্তু কখনো আমার ট্রেনে ভ্রমণ করা হয়ে উঠনি।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ।