উদ্দেশ্য মায়াপুর ভ্রমণ (পর্ব -০২)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি মোটামুটি ওকে আছি। আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে মায়াপুর ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাওয়া নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে কিছু কথা শেয়ার করব।

প্রথম পর্বের লিঙ্ক

আমরা যেখানে টোটো দাঁড় করিয়ে কৃষ্ণ নামের পথযাত্রা দেখছিলাম তার থেকে খুব একটা বেশি দূরে আমাদের সেই সময়ের গন্তব্য ভজন কুটি ছিল না। যেহেতু পথযাত্রায় অনেক লোকের ভিড় ছিল তাই টোটো নিয়ে সেই জায়গা দিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। এইজন্য আমরা টোটো ওয়ালাকে আমাদের সেইখানে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলি এবং আমরা তিনজন হাঁটতে হাঁটতে ভজন কুটি যাব সেই সিদ্ধান্ত নি। সেখানে নেমে আমরা আশেপাশের লোকের কাছে ভজন কুটির ঠিকানা শুনতে শুনতে সেখানে পৌঁছে যাই। সেখানে গিয়ে, আমাদের যে লোকটি ফোনে গাইড করে স্টেশন থেকে নিয়ে আসছিল তাকে পুনরায় ফোন করি এবং আমরা ভজন কুটি পৌঁছে গেছি সেটা জানাই।

20230308_113352.jpg

20230308_120107.jpg

আমার বান্ধবীর দিদির সেই পরিচিত লোকটি সেই মুহূর্তে ভজন কুটিতে উপস্থিত ছিল না। সে কিছু সময় পরে ভজন কুটি আসবে এমনটা সে কল করে আমাদের জানায়। আমরা আগে থেকেই জেনে গেছিলাম এখানে গেলে আমাদের সকালের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখি অনেক লোক এই ভজন কুটিতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে। এটাকে যদিও খাওয়া-দাওয়া করছে বলা যায় না , প্রসাদ গ্রহণ করছে এমনটা বলা হয় । আমরা সেখানে গেলে আশেপাশের কিছু সাধু বৈষ্ণব এসে, আমরা কোথা থেকে এসেছি, এখানে পরিচিত কে আছে, এসব প্রশ্ন করতে থাকে। এসব প্রশ্নের উত্তর যদিও আমার বান্ধবীর দিদি দিয়েছিল।

20230308_120147.jpg

20230308_120153.jpg

সেইখানে যে সাধু বৈষ্ণবরা ছিল তারা আমাদের প্রসাদ গ্রহণের জন্য বলে কিন্তু আমরা দিদির সেই পরিচিত লোকটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকি এবং সে আসলে আমরা প্রসাদ গ্রহণ করব সেই কথা জানাই সেইসব সাধু বৈষ্ণবদের। এই সময় আমরা একটু রেস্ট করে নি পাশে একটা বসার জায়গা ছিল সেখানে। অনেকটা জার্নি করে গেছিলাম তাই আমরাও টায়ার্ড ছিলাম। তারপর পাশে থাকা একটি টিউবওয়েল থেকে জল নিয়ে আমরা একটু ফ্রেশ হয়ে নি চোখে মুখে জল দিয়ে। ফ্রেশ হওয়ার কিছুক্ষণ পরে ই আমাদের সেই পরিচিত লোকটি চলে আসে। যেহেতু আমার পরিচিত ছিল না, আমার বান্ধবীর পরিচিত ছিল তাই আসার পরে আমি উনার সাথে আমার পরিচয় পর্ব শেষ করি এবং তার সাথে একটু ভাব বিনিময় করি।

20230308_120803.jpg

20230308_130342.jpg

তিনি রীতিমতো একজন সাধু ছিলেন। তার পরনের পোশাকও সাধু বৈষ্ণবদের মতোই ছিল । এইখানের সাধুরা সাদা রঙের পোশাকই পরিধান করে ছিল। তিনি আসার পর আমাদের সবাইকে প্রসাদ গ্রহণের জন্য বলে। সেই সময় আমরা তাকেও আমাদের সাথে প্রসাদ গ্রহণের জন্য বলি। তবে তিনি কিছুক্ষণ আগে প্রসাদ গ্রহণ করেছেন, সেটা আমাদের জানাই তাই আমরা তিনজন প্রসাদ গ্রহণের জন্য যে জায়গা ছিল সেখানে গিয়ে বসে পরি। বিভিন্ন প্রকারের প্রসাদের আয়োজন করা হয়েছিল এখানে। সেই সবগুলো খাবারের নাম আমার এখন আর মনে নেই । সেই সব প্রসাদ গ্রহণ শেষ করে আমরা গেছিলাম অন্য একটি জায়গায় ।

20230308_130348.jpg

20230308_131032.jpg

আমরা যে সময়টাতে প্রসাদ গ্রহণ করছিলাম তখন বান্ধবীর দিদির পরিচিত সেই লোকটি পাশে অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য। তারপর আমাদের প্রসাদ গ্রহণ শেষ হলে সে আমাদের অন্য একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। সেটি এই ভজন কুটিরের সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি মন্দির ছিল। এই মন্দিরটি যদিও তেমন একটা বড় ছিল না । এখানে যাওয়ার পথে এই মন্দির সম্পর্কে সবকিছু আমাদের যে লোকটি নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই লোকটি বলেছিলেন। তবে এত কিছু বলেছিলেন তিনি সবকিছু কেমন জানি তখন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল। যে বড় বড় নাম তিনি বলছিলেন যারা এসব জায়গার সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল সে সব নাম মনে রাখা আমার দ্বারা সম্ভব ছিল না।

চলবে...



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট , ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা , মায়াপুর ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের দ্বিতীয় পর্বের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Coin Marketplace

STEEM 0.14
TRX 0.23
JST 0.031
BTC 84212.99
ETH 1994.42
USDT 1.00
SBD 0.75