ট্রাভেল পোস্ট- "ঈদ উপহার দিতে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার মূহূর্ত" II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।
.png)




দেখতে দেখতে রমজান পার করে আমরা ঈদের আয়োজনের দিাকে ঝুঁকে পড়েছি। আর এই ঈদ কে ঘিরে বন্ধু বান্ধব আর আত্মীয় স্বজন কে দিতে হয় কত উপহার। কিছুদিন আগে তেমনি কিছু উপহার নিয়ে গিয়েছিলাম বড় নোনাসের বাড়ীতে। আমার আবার এই বাড়ীতে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে। আর তাই তো আজ আপনাদের মাঝে সেদিনের সেই ভ্রমনের ইতিবৃত্ত নিয় উপস্থিত হয়েছি। আশা কর আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
ব্যস্ত জীবনে আরও একটি ব্যস্ত সময় হলো এই রমজান মাস। হাজারও কাজের মাঝে ছুটে যেতে হয় এদিক সেদিক্। কারন হয়তো কখনও ঈদের গিফট দেওয়া বা ইফতারের দাওয়াতে দৌড় দিতে হয় এই আত্নীয় আর সেই আত্নীযের বাড়ীতে। এইতো গত কয়েকদিন আগের কথা ঈদের গিফট নিয়ে গিয়েছিলাম বড় নোনাসের বাসায় গিয়েছিলাম ঈদের গিফট নিয়ে। রোজা অবস্থায় আমার জার্নি করতে আবার বেশ অসহ্য লাগে। তবুও যেতে তো হবেই। তবে একটি কথা না বললেই নয় আমার বড় নোনাসের বাড়ীর পরিবেশ কিন্তু বেশ দারুন।


যাই হোক আমরা আবার ঢাকা হতে সিএনজি করে চলে গিয়েছিলাম সেখানে। বেশ দারুন ছিল রাস্তার পরিবেশ। বিশাল রাস্তার মাঝ দিয়ে যখন কিনা সিএনজি চলছিল তখন তো মনে হচ্ছিলো যে আমরাই রাস্তার রাজা। কারন রাস্তার দু ধারে শুধু সবুজ আর সবুজ। যাই হোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে এক সময়ে পৌঁছে গেলাম আমরা আমার নোনাসের বাড়ীর কাছে। যেহেতু সিএনজি ভিতরে প্রবেশ করে না, তাই সিএনজি ছেড়ে দিয়ে পাকা রাস্তা দিয়ে সোজা হাঁটা শুরু করে দিলাম। দারুন প্রাকৃতিক পরিবেশ চারদিকে। দেখেই যেন সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গেল নিমিষেই।


আমরা আস্তে আস্তে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করলাম। এবার কিন্তু বাড়ীর চারদিকের পরিবেশ আরও সুন্দর দেখা যাচেছ। বেশ সুন্দর করে উঠান ঝাড় দেওযা হয়েছে। বাড়ীর সামনে বেশ সুন্দর করে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। সেই গাছে আবার দারুন সুন্দর ফুলও ধরেছে। তবে বাড়ীতে বিশাল বিশাল দুটো দালান বাড়ী থাকলেও দু তিনটি টিনের চালার ঘর রয়েছে। যা কিনা পুরানো দিনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। শুনেছি এখানে নাকি অনেকে নাটক আর সিনেমার শুটিং করতে চায়। যেহেতু মোল্রা বাড়ী তাই সেই অনুমতি কাউকেই দেওয়া হয় না।

চারদিকের পরিবেশ আর সবুজের সমারোহে বেশ মন আর প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আমরাও বাড়ীতে ঢুকে উঠানে বানানো পাকা টেবিলে বসে প্রকৃতির সাথে কিছু সময় কাটিয়ে মন কে শান্ত করে নিলাম। যে কেউ এমন দারুন পরিবেশে ঢুকলে তার মনটাই পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে। আমারও তাই হয়েছিল। গ্রামীন পরিবেশ আর চিলে কোঠার ঘর সব যেন আমার মন টাই কেড়ে নিয়েছিল। তাই সেই কিন্তু আমরা ইফতারিও করেছিলাম উঠানে বসেই। বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলাম আমরা।
কেমন লাগলো আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে। আশা করি আপনাদের মন্তব্য দিয়ে ধন্য করবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | রূপগঞ্জ, বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

১ নং ট্যাক্স
https://x.com/maksudakawsar/status/1904244470759239986
২নং ট্যাক্স
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1904183789036978282
৩নং ট্যাক্স
https://x.com/maksudakawsar/status/1904245567716540642
৪ নং ট্যাক্স
https://x.com/maksudakawsar/status/1904245957052735500
https://coinmarketcap.com/community/post/356573826