আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা হয়তো বা অনেকেই জানেন যে কিছুদিন আগে আমি পূর্বাচল লেকভিউতে বেড়াতে গিয়েগছিলাম। আর সেখানে ঘুরতে যেয়ে আমি প্রায় ৪৫০ টি ছবিও তুলে ফেলেছিলাম। তো বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে সে দিন পূর্বাচল ভ্রমনের বিকেলে নৌকা ভ্রমন সহ কিছু সুন্দর মূহূর্তের কথা শেয়ার করবো আশা করি আপনাদের বেশ ভালই লাগবে।
.png)
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
পূর্বাচলে যেয়ে আমরা দুপুরে কম টাকায় বেশ ভালই দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর হোটেলের লোকের কাছে জানতে পারলাম বিকেল হলে এখানে বেশ লোক হয়। তাই আমরা দুপুরের খাবারের পর দুধের চা খেয়ে মামার হোটেলে বসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পর আমরা বের হয়ে গেলাম। কারন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করবো আর একটু ঘুরে দেখবো। সেখানকার রাস্তাগুলো কিন্তু বেশ প্রস্তত। আমরা বড় বড় রাস্তা আর নদীর পাড় গুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম।



নদীর পাড়ে ঘুরতে যেয়ে সবার মাথায় ভূত চাপলো তারা নৌকায় ঘুরবে। এমন ভাব করলো মনে হয় নৌকায় কখনও উঠেনি। তখন আমি ঘাটে বসা মাঝিকে জিজ্ঞেস করলাম কত লাগবে নৌকায় ঘুরতে। বাপরে বাপ এক ঘন্টা ঘুরলে ৬০০/- টাকা। আমি মনে মনে ভাবলাম সাথে আর ৪০০/-টাকা মিলালে তো আমি কক্সবাজার যেতে পারবো। ডাকাত নাকি? আমি বললাম ৩০০/- টাকা দিলে হয় না। মাঝি তো আমাকে অনেক গুলো কথা শুনিয়ে দিলো। বললাম নৌকায় চড়া লাগবে না । কিন্তু না নৌকায় না চড়লে নাকি তাদের লেকভিউ দেখা সফল হবে না। অবশেষে নৌকা ভাড়া করে তাদের কে আমার নৌকায় চড়াতে হলো। ৩০০/- টাকায় নয়, নৌকায় চড়তে আমাদের ৫০০/- টাকা লাগলো। তাও আবার তিনবার দরকষাকষি করতে হয়েছে। যাক ঘন্টাখানেক নৌকা ভ্রমন করে ১০০/- খানিক ছবি তো তুলতে পেরেছি। আর চার পাশের প্রকৃতি কে খুব সুন্দর উপলব্দি করতে পেরেছি। তাও বা কম কিসে। ৫০০/- টাকা অসুল হয়ে গেছে।










ঘন্টাখানেক নৌকায় চড়ে প্রকৃতির দৃশ উপভোগ করার পর বিকেল তো হয়েই গেল। আর ততক্ষনে আমাদের পেটে আবার খিদে লেগে গেল। তাই আমরা সিদ্বান্ত নিলাম আমরা চটপটি খাবো। তাই যেয়ে বসলাম চটপটি মামার দোকানে। মামাকে ঝাল ঝাল ফুচকা আর চটপুটি অর্ডার করে কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। ততক্ষনে আমাদের চটপুটি আর ফুচকা রেডি হয়ে গেছে। আপনারা তো দেখলেই বুঝবেন কি ঝাল আমরা খেয়েছি সেদিন ।




এরপর আমরা ছোট বাচ্চাদের মত করে সেই ছেলেবেলায় কিছুক্ষনের জন্য হারিয়ে গেলাম। আমরা দোলনা নৌকা আর চরকি তে উঠলাম। বাপরে এখানেও সেরকম দাম। জনপ্রতি ৫০/- টাকা প্রতিটি রাইডে উঠার মূল্য। তাতে কি আর যায় আসে। সমুদ্রে নেমে পা ভিজাবো না তাকি আর হয়। তাই ঘুরতে যেয়ে সবকিছুরই স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করলাম। হা হা হা



তারপর বেশকিছুক্ষন এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে, যখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো তখন আমরা চলে গেলাম বিখ্যাত শাপলা হোটেলে। কারন এখানকার চিকেন বারবিকিউ নাকি বেশ মজা । তাই সেখানকার চিকেন বারবিকিউ না খেয়ে তো আমরা আসবোই না। কি আর করার যদিও এখানে একটা আস্ত মুরগী ৬০০/- টাকা। বাহিরের চেয়ে একটু দাম আরকি। আমরা একটা মুরগী নিয়ে সবাই বেশ ভালই খেলাম। কিযে টেষ্ট সেই মুরগী পোড়া। না খেলে তো আর বুঝবেন না। হা হা হা।




তারপর আমরা সেখানে খাওয়া দাওয়া করে সন্ধ্যায় আরও একটু ঘুরাঘুরি করলাম। তারপর সন্ধ্যার পর কিছুক্ষন থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। বেশ আনন্দ আর উদ্দীপনায় কেটেছে আমাদের সেদিন সেই লেকভিউ ভ্রমনের সবটা সময়।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | Oppo-A16 |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ভৌগলিক অবস্থান | লেকভিউ, পূর্বাচল, কাঞ্চন, নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ |
কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে লেকভিউ ঘুরে বেড়ানো? জানার অপেক্ষায় রইলাম। |
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
@maksudakawsar

বাহ্ জায়গাটা বেশ সুন্দর তো। নৌকায় এক ঘন্টা ঘুরতে এতো টাকা লাগে ওখানে 😲
যাক শেষ পর্যন্ত নৌকায় চড়ে বেশকিছু ছবি তুলেছেন। আপনাদের ছবিগুলো ভীষণ সুন্দর ছিল সাথে পারিপার্শ্বিক সবকিছু। ধন্যবাদ আপু ছবিগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি ভাইয়া একঘন্টা ঘুরতে সেখানে এত টাকা লাগে।
দারুন আপু, আপনি নৌকায় ঘুরেছেন। কোলাহল নেই, নিশ্চুপ চারপাশ পানির কলকল ধ্বনি খুব সুন্দর এক অনুভুতি। ফুচকা, চটপটিও খেয়েছেন।এমন পরিবেশে গেলে খেতেও ইচ্ছে করে। বেগুন পোড়া ছাড়া আর কোন পোড়া খাবারই আমার ভাল লাগেনা। আস্ত মুরগী তাও ৬০০?? আপনি খুব মজা করে খেয়েছেন।যাক ভাল লাগলো জেনে।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম আস্ত মুরগী তাও আবার ৬০০/- টাকা।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দেখতে তো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।বাহ! নায়ক নায়িকা দুজন তো সুন্দর মুহূর্ত কাঠিয়েছেন দেখে বুঝা যাচ্ছে।পূর্বাচল লেকভিউ আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম জানতে পেরেছি।জায়গাটি দেখতে ভীষণ সুন্দর মনে হচ্ছে আপনার ফটোগ্রাফার মাধ্যমে।ফুচকার কালার দেখে তো লোভ সামলানো যায় না খেতে ইচ্ছে করছে।দুজনে মিলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই জায়গাটা অনেক অনেক সুন্দর।
আপু সাথে কি ভাইয়া নাকি? নৌকাতে যে কেন উঠতে গেলেন! আর কিছু টাকা লাগায় তো কক্সবাজারে যেতে পারতেন! 😁 মাঝিরা এমনই সুযোগ পেলে তো আর ছাড়বে না! তবে সময়টা কিন্তু বেশ উপভোগ করেছেন! আশা করি স্বার্থক হয়েছে টাকা খরচটা 😁
জি সাথে আপনার ভাইয়া। তাই তো বললাম সেই টাকা দিয়ে কক্সবাজার যাওয়া যেত।
অনেক সুন্দর ঘোরাঘুরি করার জন্য দেখে বোঝা যাচ্ছে। পানির কলকল ধ্বনির শব্দে অনেক ভালো লাগে।অনেক সুন্দর একটা অনুভূতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া পানির কলকল ধ্বনির শব্দ কিন্তু বেশ লাগছিল।