মনের শান্তির জন্য ঘুরে বেড়ানো
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালই আছি। কিছুদিন যাবৎ মনটা ভাল নেই। কারনটা হলো চাকুরী মানে পরের গোলামী। আর যন্ত্রণাদায়ক। আমি মাকসুদা আক্তার। তবে আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি প্রতি সপ্তাহে আমি চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হতে। নতুন কিছু উপহার দিতে পারলে আমারও মনটা বেশ ভাল লাগে।
কয়েকদিন যাবৎ অফিসিয়াল কিছু ঝামেলার কারনে মনটা বেশ অস্থির। মনে হয় বুকের ভিতরটা কেউ হাতুড়ি দিয়ে যেন বার বার ঠুক ঠুক করে পেরাক গেথেঁ দিচ্ছে। এই যন্ত্রণা কাউকেই বুঝানো যায় না। শুধু নিজের যন্ত্রণা নিজেকেই বহন করতে হয়। সব জায়গায় শুধু তোষামোদি আর চাটুকারদের ক্ষমতা। তাহলে আমরা কি করবো? আমরা কি তাদের কাছে হার মেনে যাবো? পৃথিবীতে যাদের কোন ক্ষমতা নেই, যাদের কোন আত্নীয় নেই তারা কি সারাজীবন অত্যাচারিত হয়ে যাবো? তারা কি হার মেনে যাবো অসৎ আর দূর্নীতিবাজদের কাছে? কে দিবে আমার এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর?
মনের কষ্টগুলোক দূর করতে আর বুক ভরা নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে আমি প্রায় ছুটে যাই খোলা আকাশের নিচে। আর আকাশ কে জিজ্ঞেস করি, আমি কি এতটাই খারাপ যে পৃথিবীর সবটুকু কষ্ট শুধু আমাকেই দাও। তাইতো গতকালও চলে গেলাম ঢাকার অদূরে বীরপ্রতিক গাজী সেতুতে কিছু সময় ঘুরে বেড়াতে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
বীরপ্রতিক গাজী সেতুটি রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই পড়ে। প্রতিদিন বিকাল হলেই সেখানে জমে অসংখ্য লোকের আনাগোনা। তাই আমরাও সেখানে গেলাম। দুপুরের পর রওনা দেয়ায় আমাদের সেখানে যেতে সময় লাগলো মাত্র ত্রিশ চল্লিশ মিনিট। সেতুটি নতুন হলেও দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর। আর সেতুর চারদিকে গড়ে উঠেছে নানা রকমের খাবারের দোকান।
যাই হোক তারপর মনটাকে একটু প্রশান্ত করতে চলে গেলাম রাস্তার পাশে বয়ে চলা নদীর ধারে। বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে নদীর বয়ে চলা। আর নদীর বুকে বয়ে বলা বালির নৌকাগুলো দেখছিলাম। কিছুটা সময় দাড়িঁয়ে থেকে অনুভব করলাম যে কি পরিমান ভাল লাগা কাজ করছিল মনটা জুড়ে। কিছুতেই যেন মন চাচ্ছিল না নদীর পাড় ছেড়ে আসতে। তাইতো বিকেলের সূর্য ডুবা দেখে নিলাম ।আর কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি ও তোলে নিলাম।
তারপর চারদিকে সন্ধ্যা বয়ে গেলে আমরা চলে আসলাম সেই বীরপ্রতিক গাজী সেতুর উপর। সেখানে এসে আমরা রাস্তার পাশে অনেকটা সময় কাটিয়ে নেই। আর অনুভব করি যে মনের ভিতর যে বড় বড় পাথর গুলো জমে থাকে তাকে দূর করতে হলে অবশ্যই প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। তাহলেই নিজের মনের মধ্যে ফিরে পাওয়া যাবে প্রশান্তি। কারন ক্ষমতাবান এই পৃথিবীতে যেহেতু আমার কোন ক্ষমতার দাপট নেই, তাই প্রকৃতির কাছ থেকে সুখ ধার করা ছাড়া আমার জীবনেও কিছুই নেই।
তারপর আর কি করার। ব্রিজের উপর বসা পিঠা আর চাপটির দোকান থেকে কিছুটা পিঠা খেয়ে নিলাম। অনেক মজা লাগে এভাবে রাস্তার পাশের খাবার খেতে। তারপর আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

ঠিকই বলেছেন আপনি মাইন্ড ফ্রেশ করতে এবং বুক ভরে নিশ্বাস নিতে মাঝে মাঝেই সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করার প্রয়োজন। ভ্রমণ করতে আমারও অনেক ভালো লাগে আর আপনি অনেক সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলা দেখেই বুঝতে পারছেন।। নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন।।
জি ভাইয়া জায়গাটি সত্যিই বেশ সুন্দর ছিল।
কিছু কিছু ঘটনা মনকে এতটাই অশান্ত করে তোলে যা মনকে কোনভাবেই শান্ত করা যায় না আর ই যন্ত্রণা কতটা যে কষ্টদায়ক হয়ে যায় তা শুধু যার সাথে ঘটে সেই বোঝে। আপু আপনার কষ্ট গুলো একটু হলেও অনুভব করতে পারছি,একদম চিন্তা করবেন না বর্তমান সমাজে ভালো মানুষের সাথেই এমন ঘটনা গুলো ঘটে থাকে তার কারন হলো এখন ক্ষমতাধর ও চাটুকারিতাকারীদের দখলে সবকিছু তাই তাদের ইচ্ছে মতো সবকিছু হবে।ভাইয়াকে সাথে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছেন তাতে করে একটু হলেও মনের কষ্ট দূর হয়েছে আশাকরি। বীর প্রতীক গাজী সেতুর দৃশ্য গুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।মনের কষ্ট আর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
সত্যি আপু ঘুরতে যেয়ে মনটা অনেকটা হালকা হয়ে গিয়েছিল।
সত্যিই কিছু যন্ত্রনা মন খুলে না কারো বলা যায় না কাউকে দেখানো যায়।তাই সেটা একটু কম করতে ভ্রমন করাটা জরুরি।ছবিগুলো সুন্দর ছিল।আর আপনার মন দ্রুত ভালো হোক সেটাই কামনা করি।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জীবনটা সব সময় যন্ত্রণাদায়ক। হয়ত চাকরি হলেও সমস্যা না হলেও সমস্যা। আসলে এই সমাজে একজন মানুষের টিকে থাকা সত্যিই মুশকিল। বিশেষ করে দুর্নীতির কবলে যখন পুরো দেশে ছেয়ে যায় তখন চাটুকারি লোকের সব সময় ভালো হয়। যাইহোক আপু মানসিক প্রশান্তির জন্য হলেও মাঝে মাঝে একটু ঘুরাঘুরি করা দরকার।
তাহলে কি করবে মানুষ গুলো আপু? তারা কি মঙ্গল গ্রহে চলে যাবে।
অন্যজনের আন্ডারে কাজ করতে গেলে সেখানে নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতাটাকেও হারিয়ে ফেলতে হয়। আর হয়তোবা চাপে পড়ে নিজের সততাকেও বিলিয়ে দিতে হয়। যাইহোক নিজের মনকে ফ্রেশ করতে ঘুরে এসেছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে। একটা গন্ডির মধ্যে থাকলে সেই গন্ডি থেকে বেরিয়ে গেলেই মনটা কিছুটা হলেও শান্ত হয়।
কিন্তু সততা কে কি বিলিয়ে দেওয়া উচিত?
আসলে মনের শান্তির জন্য ঘোরাঘুরি খুবই জরুরি ৷ আমারও যখন খুবই খারাপ লাগে , বেরিয়ে পরি কথাও একটু শান্তির জন্য ৷ কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে কিংবা কথাও একটু ঘোরাঘুরি করলে মন খারাপ , অস্থিরতা সব কেটে যায় ৷ যাই হোক , ভালো খারাপ মিলিয়েই জীবন ৷ আপনার বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ থাকতে পারে ৷ ঠিকই এক দিন কেটে যাবে ৷ আপনার জন্য শুভকামনা রইল ৷ বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন সাথে চমৎকার ফটোগ্রাফি ৷ ধন্যবাদ .
জি ভাইয়া দোয়া করবেন। সততার জেন জয় হয়।
হাজার ব্যস্ততার মাঝে যখন প্রকৃতির পরিবেশে বা, কোথায় ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। কিছুক্ষণ নিজের মতন করে সময় কাটানো যায়। মনের প্রশান্তির জন্য বাইরে ঘুরতে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। তা না হলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়া সম্ভাবনা থাকে। মনের মাঝে অস্থিরতা কাজ করে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। বাইরে ঘুরতে গিয়ে নিজের মনকে ফ্রেশ করেছেন। মনের অনুভূতি গুলো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
একটু চেষ্টা করি যেন ঘুরাঘুরি করে মনটা ফ্রেশ হয়।
ঠিক বলেছেন সব জায়গাতেই চাটুকার আর অসৎ মানুষের ক্ষমতা আজ। যার আত্মীয় বা বন্ধু বান্ধব নেই তাদের কাজের মূল্যায়ন করার কেও নেই এমনকি তাদের জন্য কোন সুযোগই নেই। তবে হতাশ না হয়ে যুদ্ধ করাটাই বুদ্ভিমানের কাজ। আর মন ভালো করার জন্য ঘোরাফেরার বিকল্প নেই। ধন্যবাদ।
কার সাথে যুদ্ধ করবো ?
নিজের সাথে যুদ্ধ করবেন যাতে আপনিও অসৎ না হয়ে যান।
মনকে ফ্রেস করতে ঘোরাঘুরি খুব ভাল। বীরপ্রতীক গাজী সেতুর দৃশ্যগুলো বেশ ভাল লেগেছে আপু।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটাই আশাকরি।মনটাকে স্থির করেন এবার। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করছি। দোয়া করবেন আপু।