দিনাজপুর ভ্রমণের স্মৃতিচারণ (পর্ব-১)||১০% shy-fox 🦊🦊 by mahamuddipu
ভৌগলিক অবস্থান:
ডিভাইস:
সময়টা ছিল ২০১৯ সাল। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নতুন চান্স পেয়েছি এবং। সকল ভর্তির কার্যক্রম শেষ করেছি। বাংলার শুরু হবে মার্চ মাসের ১০ তারিখ থেকে। মোটামুটি ভালই অবসর সময় ছিল। আমি এবং আমার বন্ধু দুজন মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। খুব ইচ্ছে ছিল সে সময় বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার।কিন্তু টাকা-পয়সাও খুব একটা বেশি ছিল না। যার ফলে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। ঠিক করলাম দিনাজপুর ঘুরতে যাব।
দিনাজপুর ঘুরতে যাওয়ার কারণ হলো সেখানে আমাদের পরিচিত বন্ধুবান্ধব রয়েছে।যারা হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনা করছে। যার ফলে মোটামুটি কম খরচে ভালো একটা ট্যুর দেয়া যাবে। সবকিছু চিন্তা ভাবনা করেই আমি এবং আমার বন্ধু শাকিল মিলে রওনা হলাম দিনাজপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তাছাড়াও দিনাজপুরে আগে কখনো যায়নি। সেখানকার কান্তজির মন্দির দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। দিনাজপুর ঘুরতে যাওয়ার প্রধান আকর্ষণ কান্তজির মন্দির। সেদিন অবশ্য রংপুর দিয়ে ঘুরে ঘুরে দিনাজপুর গিয়েছিলাম।যাত্রা পথে বন্ধুর সঙ্গ সাথে গল্প করতে করতে দিনাজপুরে যেতে থাকলাম। গোবিন্দগঞ্জ থেকে রংপুর-দিনাজপুর যেতে আমাদের সময় লেগেছিল তিন ঘন্টার মত। দুপুরের দিকে রওনা হয়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছে যাই বিকেল বেলায়।।
![]() | ![]() |
---|
বাস গিয়ে সরাসরি আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে নেমে দিল। ক্যাম্পাসে নামার পর সেখানে থাকা আমাদের বন্ধু মোস্তাককে ফোন দিলাম। একটা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের ক্যাম্পাস ঘোরাঘুরি করতে বলল। আমি ও আমার বন্ধু শাকিল মিলে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলাম। মাঝারি ধরনের ক্যাম্পাস ঘুরতে লাগলাম আমি এবং আমার বন্ধু।যদিও ক্যাম্পাসের খুব একটা বেশি জায়গা চিনি না। এখানে ছাত্রছাত্রীদের সমাগম বেশি জায়গাগুলো ঘুরে দেখলাম। কিছু কিছু স্থানে ছবি উঠলাম। পরবর্তীতে আমাদের বন্ধু মোস্তাক কাজ শেষ করে আমাদের ক্যাম্পাস এর গেটের সামনে আসতে বলল। গেটের সামনে গিয়ে একত্রিত হয়ে ওর হলে চলে গেলাম।
![]() | ![]() |
---|
এমনিতেই অনেক বেশি জার্নি করেছি।তার মধ্যে আবার ক্যাম্পাসও ভালোই ঘুরাঘুরি করেছি। দু'য়ে মিলে ভালই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। যার ফলে ঐদিন আর বেশি রাত জাগতে পারলাম না।হলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুম দিলাম। এই ছিল দিনাজপুর ভ্রমণের স্মৃতিচারণ এর প্রথম পর্বটি।
অসাধারণ একটি ভ্রমণের স্মৃতিচারণ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভ্রমণ করতে কে না ভালোবাসে। প্রতি বছর আমরা কোনো-না-কোনো ঐতিহ্যবাহী স্থানে ভ্রমণ করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সখ হলো ভ্রমণ করা। আপনি দিনাজপুরে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছেন যেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো ।আপনার ভ্রমণ যাত্রা শুভ হোক সেটাই কামনা করি।
মাঝে মাঝে এভাবে ভ্রমণ করতে আসলে ভালই লাগে। আমারতো ভ্রমণ খুবই পছন্দের। আপনি আজকে দিনাজপুর ভ্রমণের কিছু স্মৃতিচারণ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ভেবেছিলাম দিনাজপুরের বিশেষ কিছু স্থান এর দৃশ্য আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন কিন্তু তার কিছুটাই আমি দেখতে পেলাম না। তবে আশা করি সামনের পর্বে আপনি তা তুলে ধরবেন।