সুন্দরবন ভ্রমণ ( ৮ম পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মংলাপোর্টে নেমেই আমরা চলে যায় আমাদের পিকনিক স্পটে। গিয়ে দেখি রান্না শেষ। দুপুরে আমাদের খাবার মেন্যুতে ছিল ভাত, সবজি, খাসির মাংস, ডিম, টমেটো এবং শসার সালাদ, খাবার পানি এবং কোমল পানীয়। খেতে বসব এমন সময় স্যারের তলব। যেহেতু আমরা মোটামুটি বড় ছিলাম। স্যার আমাদের কজনকে বলল পরে খেতে বসতে। কারণ অন্যরা খেতে বসবে এবং আমাদের পরিবেশন করতে হবে। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুদা থাকা সত্বেও স্যারের কথা মেনে নিয়ে পরিবেশন করি। অন্যদের খাওয়া শেষ হলে আর দেরি করিনি। খেতে বসে পড়ি আমরা। সবকিছু রান্না হয়েছিল অসাধারণ। আমাদের রাধুনির প্রশংসা করতেই হয়। সকালের খিচুড়ি এবং দুপুরে খাবার দুইটার স্বাদই ছিল সেরা। খাওয়া যখন শেষ হলো ঘড়িতে সময় তখন বিকেল ৫ টা।
স্যার তখন বললেন এই জায়গা হতে আমাদের বাস ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ছ টা। এই সময় টা আমরা ঘোরাঘুরি এবং কেনাকাটা করতে পারি। তবে স্যার সাবধান করে দিলেন দামের বিষয়ে। এরা পর্যটক দেখলে কয়েকগুণ দাম বেশি চাই। আমার কাছে এর সমাধান ছিল ইব্রাহিম। হ্যা আমার বন্ধু ইব্রাহিম। আমাদের সমবয়সী হলেও ইব্রাহিমের বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল আমাদের থেকে বেশি। এবং কেনাকাটায় ও খুব পারদর্শী ছিল। এরপর আমরা ঐ জায়গার বিভিন্ন দোকানে ঘুরতে থাকে। দেখি কিছু পছন্দ হয় নাকী। ওখানে খাবার জিনিসের থেকে শৌখিন জিনিস ছিল বেশি। আর এই জিনিস গুলো ছেলেদের আবার খুব একটা আকৃষ্ট করতে পারে না। কিন্তু মেয়ে হলে আর রক্ষে নেই হা হা।
ওখানে একটা দোকানে বিশেষ ধরনের তেতুল বিক্রি করছিল। ঐ তেতুল নাকি মিষ্টি। হ্যা এতদিন যে তেতুল খেতাম সেটা তো টক তাহলে। গিয়ে দেখি ব্যাপার টা সত্যি। ঐটা একটা বিশেষ ধরনের তেতুল। ভেতরটা লাল এবং স্বাদ ঠিক টকস্বাদযুক্ত না কিছুটা মিষ্টি। কিন্তু ঐ তেতুল আমি কিনতে পারিনি। তার অন্যরা কিনে নেয় এবং শেষ হয়ে যায়। তবে কিছু টক সাধারণ পাকা তেতুল কিনেছিলাম। সেটা পরবর্তীতে বেশ কাজে লেগেছিল। এই ব্যাপার টা পরে বলব আপনাদের। এরপর আমরা বেশ অন্যান্য খাবার জিনিস ক্রয় করি। এরপর আমরা সামনে যায়। ঐখানে অনেক গুলো দোকানে সামদ্রিক ঝিনুকের তৈরি মালা এবং কানের দুল বিক্রি করছিল। এগুলো সাধারণত মেয়েরা অনেক পছন্দ করে। আমার বন্ধু ইব্রাহিম দেখছিল মালাগুলো খুব আগ্রহ নিয়ে। আমিও দেখছিলাম।
হঠাৎ ইব্রাহিম ঝিনুকের তৈরি এক সেটা মালা নেয়। ঝিনুকের মালার সেট টা সত্যি অনেক অনেক সুন্দর লাগছিল। সাথে কানের দুল ছিল। কিন্তু আমি কার জন্য নিব। তবুও ভাবলাম না হয় নেয়। কিন্তু ঐ বিক্রেতা যে দাম বলল তাতে চক্ষু চড়কগাছ। কিন্তু তাতে কী ইব্রাহিম আছে না। প্রথমে দাম চেয়েছিল প্রতি সেটা ৪০০ টাকা। কিন্তু ইব্রাহিমের চতুর বুদ্ধির জন্য শেষমেশ প্রতি সেটা আমরা নেয় মাএ ১৫০ টাকা দিয়ে। ঐ মালার সেট টা এখনও আমার কাছে আছে। এই ৭ বছরেও ঐ মালার দাবিদার কাউকে পাইনি। দেখি আর কতদিন আমার কাছে থাকে হা হা। ঘোরাঘুরি শেষ। অন্যদিকে সূর্য টা পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে। সন্ধ্যা হতে আর বেশিক্ষণ দেরি নেই। ঐসময় আমরা সবাই একসাথে হয়ে পশুর নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখছিলাম। আহ কী সেই অপরুপ সৌন্দর্য। ঐসময় আমরা একটা গ্রুপ ফটো তুলেছিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে এভাবে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। আসলে আমারও সুন্দরবন দেখার অনেক শখ রয়েছে। আর বিশেষ করে সব জায়গায় বড়দের দায়িত্ব থাকে যে তারা আগে ছোটদের খাবার দাবার দিয়ে পরবর্তীতে তারা সেই খাবার গ্রহণ করবে। আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে অনেক সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া আমাদের সাথে। সেখানকার একটা দোকানে মিষ্টি তেতুল খেয়েছেন। তবে কিনতে পারেননি শেষ হয়ে গিয়েছিল। এইতো তুমি আবার একটি ঘটনাও ঘটেছে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ঘটনাটা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার সুন্দরবন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু পূর্বে আপনি অনেকগুলো পোস্ট শেয়ার করেছেন। আজকে আরেকটি পোস্ট শেয়ার করে আবারও নতুন কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। একটা সময় আমরা তিন বন্ধু মিলে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম সাতক্ষীরা শ্যামনগর হয়ে। যেন সেই অতীতের দিনগুলো মনে পড়ে গেল। আশা করি খুব ইনজয় করেছেন।