প্রিয় কিছু মানুষদের নিয়ে আনন্দময় একটা সন্ধ্যা কাটানো।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
বেশ আনন্দময় একটা দিন কাটিয়েছিলাম গত পরশু মানে শুক্রবারে।মূলত সেদিন দাওয়াত ছিল ছোট ফুফুদের বাড়িতে।আর সেজন্যই আমরা সবাই গিয়েছিলাম। আমার আম্মু আর ভাই গিয়েছিল কিন্তু ছোট বোন যায়নি।যাইহোক সেদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিটা মূহুর্ত বেশ মজা করেছি আমরা। সকালবেলা কাজকর্ম সেরে রেডি হয়ে চলে গেলাম ফুফুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। আর সেখানে যেতে প্রায় এক ঘন্টা থেকে কম সময় লেগেছে। কারণ বেশি দূরে নয়। সবাই মিলে গিয়ে তো বেশ আড্ডা দিয়েছি। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার পর বিকাল একটু রেস্ট নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বের হয়েছি তাদের বাড়ি থেকে।
এর মাঝে সকালে যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন আমি আমার ছোট মামাকে কল দিয়েছিলাম সে নাকি বাড়িতে এসেছে। যেহেতু নতুন বিয়ে করেছে সেই হিসেবে বাড়িতে এখন মাঝেমধ্যে ছুটিতে আসতে পারে। আর তাই ভাবলাম যে মামার তো ছুটি কম থাকে সে হিসেবে মামাকে আর মামীকে নিয়ে ঘুরতে বেরনো যায়। বাড়িতে আবার আমার ছোট আন্টি, যার বিয়ে হয়নি সে রয়েছে। তাই ভাবলাম তারা তিনজন আসলে আমরা সবাই মিলে মজা করব। তখন মামাকে জিজ্ঞেস করার পর মামা বলল ঠিক আছে আমি বিকেলে জানাবো।
বিকেলে আবার কল দিয়েছিলাম। তখন ছোটমামা বলল যে মামী ছোট আন্টি এবং নানু সহ আসতেছে। যাই হোক আমরা তো সবাই মিলে চলে গেলাম মনপুরাতে। ছোট ফুফুর বাড়ি থেকে দশ মিনিট লাগেনি সেখানে যেতে। তবে কিছুটা পথ হেটে গিয়েছি এজন্য একটু বেশি সময় লেগেছে। সেখানে যাওয়ার পর তো একদম অবাক হয়ে গেলাম। কারণ যতবারই যাই কোন না কোন আপডেট সেখানে দেখতে পাই। সেই প্রথম যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন থেকে আজকের পরিবেশ অনেক ভিন্ন হয়ে গেছে। এর মাঝে যতবারই গিয়েছি ততবারই পূর্বে থেকে কিছু না কিছু আপডেট করেছে।
লাস্টে যখন গিয়েছিলাম তখন দেখেছি নতুন একটা ভবন মাত্র তোলা শুরু করেছে এবং পার্কের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আরো বাড়াচ্ছে। কিন্তু একবার গিয়ে দেখি বাউন্ডারি ওয়াল তুলে ফেলেছে এবং এই বিল্ডিংটা অনেকটাই উঠে গেছে। তার পাশাপাশি পার্কের এরিয়াটা আরো বেশি বড় করেছে। সেখানে এক সাইডে দোলনা এবং অন্য সাইডে স্লাইডার অ্যাড করেছে। তার পাশাপাশি পিছনের অংশের দিকে বড় মাঠ করে সেখানে আরো কি যেন করবে। সবগুলোই বানিয়ে রাখছে। আসলে যেহেতু রাত্রিবেলা গিয়েছি সেই হিসেবে ছবি তুললে দেখা যাবে না। অন্ধকার ছিল অনেক, ছবি তোলা ও হয়নি। নিভৃত সেই খালি মাঠে অনেকক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করেছিল। প্রায় এক ঘণ্টা সময় আমরা সেখানে কাটালাম।
তারপর আমার মামা আসলো। আমরা তখন মনপুরায় গেটের সামনেই ছিলাম। তখন দেখি সিএনজিতে করে আমার ছোট মামা, ছোট আন্টি, মামনি, নানু আর আমার মেঝো আন্টিও এসেছে। আসলে মেঝো আন্টি বাড়িতে ছিল সেটা আমার জানা ছিল না। আর মামা জোর করে মূলত নিয়ে এসেছে সবাইকে। কারণ তারা বাড়িতে একা থেকে কি করবে। যাই হোক একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। সবার সাথে একসাথে দেখা হয়ে গেল এবং সবার ঘুরাঘুরি হলো, মনটাও ভালো হয়ে গেল।
তারপর তো সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। সেখানে যাওয়া হয় মূলত কাবাব খেতে। অন্যান্য কিছু আছে তবে কাবাব খেতেই কেন জানি বেশি ভালো লাগে।যাই হোক সবার খাওয়ার আগ্রহ বেশি না থাকলেও আনন্দ করার আগ্রহটা বেশি ছিল। খাওয়া দাওয়ার পর আরো একবার সবাইকে ঘুরিয়ে দেখালাম। আমার ছোট মামনি আগে মনে হয় একবার এসেছিল। যাইহোক এবার নতুন করে আবার আমাদের সাথে এসেছে বলে সে অনেক খুশি। সবাই মিলে খুব আনন্দ করেছি। যাওয়ার সময় আবার সবাই দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি। এরপর তো সবাই সবার বাড়িতে চলে গেলাম। এই মুহূর্তটা হুট করে সংঘটিত হয়েছে। আর দেখতেও ভালো লেগেছে সবাই একসাথে এসেছে তাই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ঘুরাঘুরি |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমি কিন্তু একটি জিনিস দেখলাম প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে ঘুরতে গেলে বেশ ভালোই সময় পার করা যায়। মনটাও প্রফুল্লতায় ভরে যায়। আমার মনে হয় পোস্টে যতটা না খুশির অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তার যেচেও অনেক অনেক ভালো সময় আপনাদের কেটেছে সেদিন। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/bristy110/status/1723602517945410047?s=20
যাক শুনে খুব ভালো লাগলো প্রিয় মানুষটির সাথে শুক্রবারে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনারা ফুফুদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন সবাই মিলে সুন্দর তো। যাক আপনি মামা ও মামীকে নিয়ে বেশি সুন্দর ভাবে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং বেশি মজা করেছিলেন। মনপুরা জায়গাটার নাম তো অনেক সুন্দর। একটা ছবির নামের কথা মনে পড়ে গেল। ভীষণ ভালো লাগলো আমার। পরিবেশটা আমার কাছেও খুবই ভিন্ন লাগল এবং মুহূর্তটা উপভোগ করলাম এবং লাইটিং টা অনেক সুন্দর। সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করলেন। অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলেন। এমন মুহূর্ত সত্যি অনেক ভালো লাগে সবাই একসঙ্গে হলে। অনেক সুন্দর করে আপনি তুলে ধরেছেন। আমাদের মাঝে ধন্যবাদ
প্রিয় মানুষদের সাথে সময় অতিবাহিত করতে পারলে আসলেই অনেক ভালো লাগে। প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটানোর সাথে সাথে আপনারা দেখছি কাবাব ও খেয়েছেন। চলে যাবার সময় দেখছি আপনারা সবাই একসাথে দাঁড়িয়ে ছবি ও তুলেছেন।
আপু সত্যি প্রিয় মানুষের সাথে এভাবে ঘুরাঘুরি করলে মন এমনিতে ভালো হয়ে যায়। আসলে আপু প্রিয় মানুষগুলোর একসাথে হলে খাবার থেকে আনন্দটাই বেশি হয়। সত্যি আপু অনেক দিন পর এভাবে মামা মামীর সাথে দেখা হলে অনেক ভালো লাগে। নিভৃত ছোট মানুষ খোলা জায়গা পেয়ে অনেক ভালো ঘোরাঘুরি করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে হুট করে প্ল্যান করলে অনেক সময় বেশ মজা হয়, যা অনেক প্ল্যান করে হয় না। বেশ সুন্দর কিছু সময় পাড় করলেন প্রিয় জনদের সাথে।সেই সাথে খাওয়া দাওয়া। বাহিরে বেড়াতে গেলে না খেয়ে বাসায় আসলে মনে হয় কিছু যেন অপূর্ণ রয়ে গেলো। সুন্দর ও আনন্দময় মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।