বড্ড ক্লান্তি!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
সবকিছুই সবকিছুর মতোন চলছে। মাঝেমধ্যে মনে হয় আমি যদি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই।তাহলে কিন্তু এই পৃথিবীর কানাকড়ি ক্ষতি ও হবে না। হয়তো সাময়িক অসুবিধা হবে আমার পরিবার, আমার প্রিয়জন, আমার আত্মীয় স্বজনদের অর্থাৎ। আমার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো তাদের চোখে ভাসবে এবং সেই স্মৃতি হয়তো তাদের কষ্ট দিবে। অর্থাৎ আমার না থাকাটা শুধুমাত্র এতোটুকুই কিন্তু সীমাবদ্ধ।
কিন্তু তাও আমাদের এই জীবনের জন্য কাজের কমতি নেই এবং সফলতা অর্জন করার ও কমতি নেই। আমরা সকলেই কাজের পেছনে ছুটছি। আমরা সকলে সফলতার পিছনে ছুটছি এবং দিগবিদিক শূন্য হয়ে। আমরা শুধুমাত্র জীবনকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, কারণ জীবন তো একটাই। কিন্তু এতোসব কিছুর ভিড়েও। অর্থাৎ এতো সফলতা অর্জন এর আকাঙ্ক্ষার ভেতরেও একটা ব্যাপার মাঝেমধ্যে মাথা চারা দিয়ে উঠে, সেটা হলো ক্লান্তি।
না আমি একেবারেই শরীরের ক্লান্তির কথা বলছি না। আমি বলতে চাইছি মনের ক্লান্তি। অর্থাৎ একবার যদি মনের ক্লান্তি চলে আসে। তাহলে সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা সত্যিই অনেক কষ্টকর। কারণ মাঝেমধ্যে কাজ করতে করতে যখন হাঁপিয়ে উঠি।তখন হঠাৎ করেই মনের ক্লান্তি চলে আসে। আর তখন কোনো কিছুতেই যেনো মন বসে না। তখন বারবার এটাই মনে হয় যেবএতো কাজ করে, এতো কিছু করে কি লাভ! কারন একটা দিন তো আমাদের সকলকেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। আর এই ব্যাপারগুলো যখন মনে আসে।তখন যেনো সবকিছুতেই শূন্যতা অনুভব হয়।
কোথায় যেনো এতো হাহাকার থেকে যায়। অনেক খুঁজেও মনের মাঝে খুঁজে পাই না কোথায় কষ্ট, কিসের কষ্ট, কিসের এতো বেদনা। কিন্তু তাও মাঝেমধ্যে বড্ড ক্লান্তি লাগে। সবকিছু ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছা করে, যেখানে থাকবে না কোনো অশান্তি। কিন্তু সেটা হয়তো অনেক সময় ঠিক ও হয়ে যায়। কিন্তু এই যে মনের ক্লান্তিকে আমরা যখন অনেক বেশি প্রশ্রয় দিয়ে ফেলি। তখন কিন্তু সেটা আমাদের জীবনের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায়।আর এই ক্ষতিটা হলো আত্মহত্যা অর্থাৎ জীবন ত্যাগ। তাই এই মনের ক্লান্তিকে কিছুতেই বাড়তে দেওয়া যাবে না।