ঢাকঢোল
আজকাল সব উৎসব অনেকটা ফিকে লাগে, কেন এমন হচ্ছে তা জানা নেই, হয়তো পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে নতুবা আগের মতো সবকিছু আর নেই।
এই যে বৈশাখ মাস চলছে, বৈশাখ মাসের আগমন উপলক্ষে কতশত রঙিন মুহূর্ত যে শৈশবের স্মৃতির খাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে আছে, তার হয়তো শেষ নেই। তবে এখন যদি বাস্তবতার দিকে তাকানো যায়, তাহলে যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন, তেমনটা আমার ক্ষেত্রেও।
সবকিছু একদম পানসে হয়ে গিয়েছে, চিরন্তন সত্য কথা কি জানেন, এখন যা হচ্ছে তা অনেকটা সৌজন্যতার জন্য। মানে একটু ঢাকঢোল পিটিয়ে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, আমরা বাঙালি ছিলাম। শুধু এতোটুকুই, এর বাইরে আর কিছুই না।
ঘুম থেকে উঠেই দীর্ঘ অনেকটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজ ফিড দেখার চেষ্টা করছিলাম, মনে হচ্ছিল সবকিছু যেন বর্ণিল রূপে সেজেছে, সবাই যে যার মত করে নতুন কাপড় পরিধান করে বাঙালি সাজে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, কেউ কেউ তো আবার পান্তা ভাত ইলিশ আর বিভিন্ন বাঙালি খাবারের ছবি শেয়ার করেছে।
হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ার এমন পরিবর্তন দেখে, মনে হচ্ছিল যেন পুরো সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালির বাঙালিয়ানা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে। জানি, সবার এই ভালোলাগা খুবই সীমিত সময়ের। আধুনিক সময়ে এসে, তারা যে নিজের সত্তাকে কোন না কোনভাবে উপস্থাপন করছে, এটাই বা কম কিসের।
তবে আমার চিন্তাধারায়, বিষয়টা একটু ব্যতিক্রম। মানলাম আধুনিক সময়, সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তবে যদি নিজেদের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য সেখানে যদি আধুনিকতার ছোঁয়া বেশ পরিপক্ক ভাবে লাগানো যেত , তাহলে হয়তো অন্তত একদিনের বাঙালি সেজে ঢাকঢোল পেটাতে হবে না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের উৎসবগুলোর জৌলুস আজকাল কেবল সামাজিক মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ। শৈশবের বৈশাখ ছিল প্রাণবন্ত, আর এখনকার বৈশাখ যেন শুধুই স্মরণ করার একটি বাহানা মাত্র। আপনি খুব সুন্দরভাবে আমাদের এই পরিবর্তিত বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন ভাই। সত্যি বলতে, বাঙালিয়ানা শুধু পান্তা-ইলিশে নয়, বরং তা টিকে থাকে মননে ও চর্চায়।
বেশ ভালো লাগলো ভাই, আপনার মন্তব্য।