আজ অথবা কাল
আজকাল অনেকের সঙ্গেই দূরত্ব বাড়ছে, যদিও ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছুই হচ্ছে না, বলতে গেলে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তা সাদৃশ্য হচ্ছে। বুঝতে পারছি, আপাতত দৃষ্টিতে যা দেখছি তা সবকিছুই অনেকটা মন রক্ষার্থে,কেননা ভিতরে ভিতরে যেমনটা দূরত্ব বেড়েছে তারথেকেও বহুগুণ গুরুত্ব কমেছে।
সবাই সবটা বুঝতে পারছে, তবে তারপরেও অনেক কিছু অপ্রকাশ্য । মুখ খুলে পরিষ্কার করে কেউ যে কিছু বলবে, তেমনটা হচ্ছে না। শুধু বুঝে নিতে হচ্ছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা খুব একটা অনুকূলে নয়। অনেকটা ঝুলে থাকা কিংবা ঝুলে রাখার মতো।
অর্থাৎ স্বেচ্ছায় যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন, বিদায়ের রাস্তা উন্মুক্ত । এই কঠিন সত্য হজম করার মানসিকতা হয়তো অনেকের আছে নতুবা অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
বিরহ, বিষাদ, অভিমান এসব যে কেউ খতিয়ে দেখবে কিংবা অনুতাপের অনলে ভুগবে, এমন পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। তবে কোন কিছুই স্থায়ী না, কখন কার ভিতরে অনুশোচনার বৈরী হাওয়া প্রবেশ করবে তা বলা মুশকিল।
সাজানো-গোছানো সবকিছু নিঃশেষ করার জন্য, আক্ষরিক অর্থে কেউ দায় নিতে চায় না বরং অন্যের উপরে দায় চাপাতে পারলে পৈশাচিক আনন্দ পায় ।
অনুরোধ কিংবা দোহাই দেওয়ার কিছু নেই, কর্মফল বরাবরই সমান হয়। শুধু সময়ের অপেক্ষা, তার বাইরে আর কিছুই না। অনুতাপের আগুন কিংবা হাজারো অভিমানের তীক্ষ্ণ সূঁচালো তীর সবই বিঁধবে, আজ অথবা কাল।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি কোনটাই আমার মতে আমাদের কারোরই অনুকূলে নেই। তাই প্রত্যেক মানুষেরই মন-মানসিকতার মধ্যে ভিন্ন রকম একটি রূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সবার সাথেই দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমাদের প্রত্যেককেই আমাদের কর্মফল ভোগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কথাগুলো যথেষ্ট মূল্যবান ছিলো।
বাস্তবতা কঠিন এবং নিষ্ঠুর।