পিঠা উৎসব | আমার অনুভূতি
হ্যালো",
যেহেতু বিগত ব্লগে আমি বলেছিলাম, আজ আমি পিঠা উৎসবের মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব, তারই ধারাবাহিকতায় মূলত চেষ্টা করছি আমার অনুভূতি লেখার জন্য। গতরাত একটুও ঘুম হয়নি, রাত জেগে পিঠা বানাতে হয়েছিল এবং সকালবেলা স্কুলে গিয়ে আবার দোকান সাজাতেও হয়েছিল।
শরীরে বড্ড ক্লান্তি কাজ করছিল, তবে তারপরেও চেষ্টা করছিলাম যেহেতু এটা আমার প্রথম কোন মেলায় দোকান দেওয়ার বিষয়, তাই সব ক্লান্তি দূর করে যেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবেই পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
নিজ হাতে পিঠা বানিয়ে, সেই পিঠাগুলো বিক্রি করেছিলাম মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কাছে। যদিও শুরুতে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম, তবে আমার ভাবী আমাকে প্রচুর সহযোগিতা করেছিল, তাই সবকিছু সহজেই হ্যান্ডেল করতে পেরেছি৷
সারাটা দিন মেলাতে কেটেছে, বেশ ভালই বিক্রি হয়েছে আমার বানানো পিঠাগুলো, যতটুকু পিঠা অবশিষ্ট ছিল, সেগুলো পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনদের দিয়েছি এবং নিজেরাও খেয়েছি।
এই পিঠা উৎসবে কাটানো অভিজ্ঞতার কথা মনে থাকবে বহুদিন, রাত জেগে পিঠা বানানো আবার সেই পিঠা বিক্রি করা, ব্যাপারটা মোটেও সহজ ছিল না।
আসলে নিজের থেকে কিছু করার মাঝে, অন্যরকম আনন্দ কাজ করে, যা আজ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছি। আমি মেলায় আমার বানানো যে পিঠাগুলো তুলেছিলাম সেগুলোর ছবি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম, আশা করি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1885057215972991225?t=-A2-6VtGk6abVA1xzMjOjA&s=19

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আরে বাহ, কত রকমের পিঠা বানিয়েছেন আপু আপনার ভাবির সহযোগিতায়। আমার তো পুলি পিঠা ভীষণ পছন্দের। আবার সেটা যদি ঝাল ঝাল হয় তাহলে তো আরো টেস্টি হয়। তাছাড়া আরোও বেশ কয়েকটি পিঠা বানিয়েছেন দেখতে পেলাম। গোলাপ পিঠা তো দেখেই খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে। যাই হোক আপনার অনুভূতি খুবই সুন্দর করে তুলেছেন পোস্টে। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা পিঠা উৎসব সম্পর্কে এই পোস্টটি।
বেশ অনেক গুলো পিঠা বানিয়েছিলাম।সবগুলো পিঠা সবাই পছন্দ করেছে অনেক।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শীতকালে বিভিন্ন স্কুল কলেজ বা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে।এটা খুবই ভালো একটি উদ্যোগ কারণ এখন সবাই ব্যস্ততার কারণে বাসায় পিঠা তৈরি করে খাওয়ার মতো সময় কারো হাতে নেই।পিঠা উৎসবে গিয়ে ঘোরাঘুরি করা এবং সাথে নতুন নতুন পিঠা খাওয়া ভালো লাগে।আপনার নতুন অভিজ্ঞতা গুলো সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাবি।
একেবারে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আপু। যদিও এটা সত্যিই অনেক কঠিন ছিলো। এতগুলো পিঠা তৈরি করে পরের দিন বিক্রি করাটা বেশ কঠিন একটি কাজ। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে গোলাপ পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠা দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।