টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি
টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আসলে চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতাটা কিন্তু কম হলো না সেই ২০১৫ সাল থেকেই সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে চাকরি করছিলাম আইটি সেক্টরে। তবে সেখানকার ডিউটি টা ছিল অন্যান্য অফিসের মতই সকাল নয়টার সময় গিয়ে আবার আবার বিকেল পাঁচটার সময় বাসায় ফিরতাম। তবে মাঝে মাঝে কিছু সময় এক্সট্রা ডিউটি করতে হত। সেটা সব জায়গায়ই পরিস্থিতি ভেদে করতে হয় কিন্তু আমি বর্তমানে যেখানে চাকরি করছি এখানের বিষয়টি আলাদা।
আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল যে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করব এর পাশাপাশিও আমার পোশাক নিয়ে পড়ার অনেক ইচ্ছা ছিল। যেহেতু মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার মতো বাংলাদেশে কোন সুযোগ নেই তাই যে আমার ক্যারিয়ারের জন্য টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের বিষয়গুলো তখন আমার জানা ছিল না। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকটাই এগিয়ে আছে এবং বাংলাদেশের মোট জিটিভির প্রায় ৮০ শতাংশের উপরে রেভিনিউ এই টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি থেকেই আসে। কিন্তু এত রেভিনিউ পুরো বিশ্বর মধ্যে কিভাবে বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনছে সেটা হচ্ছে প্রশ্ন করার বিষয়।
প্রত্যেকটা দেশের কাছে কিছুটা নেগেটিভ বিষয়বস্তু থাকে আবার কিছুটা পজিটিভ বিষয়বস্তু থাকে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নেগেটিভ বিষয়বস্তুগুলোকেই পজেটিভ ভাবে তৈরি করে নিয়েছে। যেমন বাংলাদেশের লেবার কস্ট অনেকটাই কম অর্থাৎ অন্যান্য জায়গায় লেবারের মূল্য যতটুকু দিতে হয় তার থেকে অনেকটাই কম দিতে হয় এই বাংলাদেশে। আমরা অনেকে মনে করতে পারি আমাদের বাংলাদেশ অনেক ছোট তাই এটা আমাদের জন্য নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে কিন্তু এই বিষয়টিও আমরা পজিটিভ ভাবেই গ্রহণ করেছি এবং পজেটিভ ভাবেই ইম্প্যাক্ট ফেলতে পেরেছি।
ভারতের সাথে যদি বাংলাদেশের তুলনা করি তাহলে বাংলাদেশ কিন্তু অনেকটাই ছোট এবং এই ছোট এরিয়ার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের পোর্ট গুলো অনেক কাছাকাছি অবস্থান করে অর্থাৎ আপনি একটি কথা চিন্তা করুন, কলকাতায় কোন একটি বস্তু তৈরি করার পরে অন্য একটি রাজ্যে পাঠাতে কতটা সময় লাগে আবার সেখান থেকে পোর্টে করে জাহাজে তুলে দেওয়া হয় এবং জাহাজ থেকে সে ক্ষেত্রে অন্য জায়গায় ডেলিভারি দেওয়া হয়। সেখানে কিন্তু ডেলিভারি সময়টা অনেক বেশি লাগে কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেশ ছোট হওয়ার কারণে ঢাকার আশেপাশেও যদি আপনি ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন সেক্ষেত্রে চট্টগ্রামে আপনার পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ ৬-৭ ঘন্টা সময় লাগবে এবং সেখান থেকে খুব সহজে এবং কম সময় ডেলিভারি সম্পন্ন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে পেরেছে এবং আরও অনেক সফলতা এচিভ করা বাকি আছে বলে আমি মনে করি। শুধুমাত্র প্রোডাকশন বেশি হলেই যে বিষয়গুলো জিনিস ভালো হবে তা কিন্তু নয় কিন্তু বাংলাদেশে একই সাথে কম সময় বেশি প্রোডাকশন দিতে পারে এবং সেগুলোর কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়। তবে বাংলাদেশের যেসব টেক্সটাইল গার্মেন্টস তৈরি হয় সেগুলো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কোয়ালিটি ফুল এবং কম বাজেটের মধ্যে সেগুলো তৈরি করা সম্ভব হয়। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক তাড়াতাড়ি এই সেক্টরে এগিয়েছে।।
বাংলাদেশের যতগুলো টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় সবগুলো ইন্ডাস্ট্রি ২৪ ঘন্টায় চালু থাকে। কারণ এই সব কিছু ইন্ডাস্ট্রিতে শিফটিং এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। একটি শিফটে লোক যাবে এবং অন্য শিফটের লোক আসবে। এভাবে করেই ২৪ ঘন্টা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে চালানো সম্ভব হয়। এভাবে করেই টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির গুণগত মান এবং প্রোডাকশন অনেক গুণে বৃদ্ধি করা হয়। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ বেসিক বিষয়গুলো আজ তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এই বিষয়ে যদি আরো বিস্তারিত তথ্য আপনাদের প্রয়োজন হয় তাহলে মন্তব্যে অসম অবশ্যই জানাবেন। তাহলে আমি পরবর্তীতে কিছু পরিসংখ্যা নিয়ে একটি পোস্ট তৈরি করার চেষ্টা করব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ঠিক বলেছেন ভাই, শুধুমাত্র প্রোডাকশন মুখ্য বিষয় না,বরং কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হয়। আমাদের দেশে লেবার খরচ খুবই কম। এই ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই একটি পজিটিভ দিক আমাদের জন্য। আমাদের দেশে লেবার খরচ কম বিধায়, অনেক বিদেশি কোম্পানি মিল কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী হয়। এমনকি ইপিজেড বাংলাদেশের বেশ কয়েক জায়গায় রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে, হয়তোবা আরো অনেক অনেক বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে থাকতো। এতে করে আমাদের দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হতো। তবে বাংলাদেশ এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক এগিয়ে গিয়েছে, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আশা করি বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবেন খুব শীঘ্রই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই সফলতা অর্জন করেছে। কর্মচারীর পরিশ্রমের তুলনায় হয়তো তাদের অনেক কম মূল্য দিতে হয়। অন্যদিকে সবকিছুই কম খরচে করা সম্ভব হয়। সবকিছুই সামলে নিয়েছে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি। আর নিজেদের পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভাইয়া আপনার মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে ছিল জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক যেহেতু অন্য একটি ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছে তাই মনে হচ্ছে এই প্রফেশনে আপনি অনেকটা সফলতা অর্জন করবেন ভাইয়া। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।