পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ ও এর ফল ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বর্তমানে সবচেয়ে কমন টপিক এবং বর্তমানে সব থেকে আলোচিত সমস্যা তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
বেশ কয়েকদিন থেকে প্রচুর গরম পরেছে। বিশেষ করে ঢাকায় প্রচুর গরম পরেছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০ ডিগ্রি ৪১ ডিগ্রি ৪২ ডিগ্রি এরকম তাপমাত্রা যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলেই বেশ গরম পরেছে। দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলছে। তার ফলে আজকে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা বর্তমানে ৪০ ডিগ্রি পৌঁছে গেছে। অন্যান্য জেলাগুলোতে গাছপালা থাকলেও ঢাকা শহরে কিছু অঞ্চল বাদে গাছপালা দেখা যায়না। চারিদিকে শুধু বিল্ডিং এর সমাহার। এজন্য ঢাকা শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও এটি অনভূত হয় ৪৬ অথবা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মত।
তবে চলুন পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধির কিছু কারণ আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধির কারণ অনেক অর্থাৎ নানান কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো অপরিকল্পিত নগরায়ন। গ্রামগুলো একে একে নগরে পরিণত হচ্ছে। যেখানে আমাদের বৃক্ষরোপণ করা উচিত সেখানে দিন দিন গাছপালা কেটে ঘর বাড়ি দালানকোঠা বানানো হচ্ছে। এই অতিরিক্ত নগারয়নের এর অন্যতম কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি। ঢাকা শহর পৃথিবীর অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ও উঠে এসেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ঢাকা শহরের মানুষদের অসম্ভব গরম সহ্য করতে হয় কারণ ঢাকা শহরে দালানকোঠার ভিরে গাছ খুজেই পাওয়া যায়না।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির আরেকটি প্রধান কারণ হলো মানুষের কার্যকলাপের ফলে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাস। এই গ্যাসগুলি সূর্যের তাপকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আটকে রাখে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধি পায়। এইসব গ্যাসের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ বন উজাড়ের ফলে গাছপালা কমে যায়, যা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। অতিরিক্ত বন উজারের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ বায়ুমন্ডলে বৃদ্ধি পায় এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১০০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা গড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৭৪ সেন্ট্রিগ্রেড।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে আমাদের সামনে ধেয়ে আসছে নানান ধরনের বিপদ। পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধির ফলে গলছে মেরু অঞ্চলের বরফ। প্রতিনিয়তই পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে। এরকমভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে থাকলে পৃথিবীর নিচুতম দেশগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাবে তাছাড়াও মেরু অঞ্চলের বরফ গলায় পৃথিবীতে দেখা যাবে নানান ধরনের ভাইরাস এর সংক্রমণ যা এর আগে কখনো মানব জাতি দেখেনি। এরকম ক্রমশভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে থাকলে বর্তমানে ৪০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি হতে বেশি সময় লাগবে না।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
বাবা সমসাময়িক বিষয়ের উপর খুবই তথ্য বহুল আলোচনা করেছ।পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ ও এর ফল। এত চমৎকার এবং অসাধারণভাবে আলোচনা করেছ যা পরে অনেকেই উপকৃত হবে। একদম যুক্তিযুক্ত আলোচনা। খুবই সাবধানে থাকতে হবে বাইরে ঘোরাফেরা করা যাবে না। আর অবশ্যই ঘন ঘন পানি খাবে কেমন।
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মা আমার পোস্টটি পড়ে তোমার মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক কথা বলেছেন যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হয়তো বেশিদিন সময় নেবে না। কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের দেশে ও আমরা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখতে পাবো। এর প্রতিকার হিসাবে আমাদের সকলের উচিত বেশি পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করা।
আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের সকলের উচিত বেশি পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ করা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
অনেক কারণেই পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিশেষ করে গাছ পালা কাটার কারণে তাপমাত্রা অধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে গাছ পালা আমাদের কে গরমের সময় একটু স্বস্তি দেয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা গাছ পালা একটু বড় হয়ে গেলেই কেটে ফেলছি।এটা আসলে আমাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়।কারণ এর ফলে আমাদের পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটছে।
আপনি ঠিক বলেছেন এর ফলে আমাদের পরিবেশ ব্যাঘাত ঘটছে।