তিস্তার তীরে ক্যাম্পিং এর অভিজ্ঞতা
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে তিস্তার তীরে ক্যাম্পিং করার অভিজ্ঞতার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
এরপর ওখানে খাওয়া-দাওয়া করে আমরা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে সেই ক্যাম্পে পৌঁছে গেলাম ।সত্যি বলতে ক্যাম্পে ঢোকার সাথে সাথে এত ভালো লাগলো আশেপাশের জায়গাটা বলে বোঝাতে পারবো না ।তবুও আমি কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন। আর আমরা তিস্তা নদীর তীরে ক্যাম্পিং করেছিলাম। আর এই তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এ ত্রিবেণী। তাছাড়াও এই জায়গাটি ক্যাম্পিং এবং রিভার রাফটিং এর জন্য খুব জনপ্রিয়। রঙ্গিত ও তিস্তা নদীর সঙ্গমই হলো এই ত্রিবেনী ।তাছাড়াও তিস্তা থেকে নেমে যাওয়ার পথে পাহাড়ের ঢালে ,ঘনবনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, গাছপালা, বিভিন্ন পাখি তার মধ্যে দিয়ে ভেলা চালানোর উত্তেজনার সাথে এক ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করছিল মনের মধ্যে। তাছাড়া আমরাও যে জায়গায় থেকে ছিলাম পুরোটাই পাহাড়ের গা ঘেঁষে।সব মিলিয়ে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। ওই টেন্টে যাওয়ার পর আমরা সবাই যার যার ট্যান্টে ব্যাগ রেখে রাফটিং করতে চলে গেলাম। ভীষণ ভালো লাগছিল সেই সময়টা।
তারপর ওখানেই একটি জায়গা থেকে লাঞ্চ করে সন্ধ্যেবেলা বন ফায়ারের অপেক্ষায় ছিলাম। এখানে একটি প্যাকেজ সিস্টেম ছিল। সেই প্যাকেজ এর মধ্যেই সন্ধ্যেবেলার চিকেন পকোড়া এবং চা দিয়েছিল। আর তার সাথে বুঝতেই পারছেন কতটা ঠান্ডা ।যেমন ঠান্ডা তেমনই সেই ঠান্ডার মধ্যে গরম গরম পকোড়া। পুরো জমে গিয়েছিল। ঠিক আটটার সময় বন ফায়ার এর জন্য প্রস্তুতি করে ।তারপর ওই সময়টাতে প্রচুর মজা করি ।এরকম ভাবেই মোটামুটি বারোটা বেজে যাওয়ার সাথে সাথেই নতুন বছর নতুন বছরের এক নতুন অভিজ্ঞতা হল ।বারোটা থেকে সাড়ে বারোটা প্রায় তিরিশ মিনিট একটানা বাজি ফেটেছিল। অসম্ভব ভালো লেগেছে সেই দিনটা এবং খুব সুন্দর কেটেছিল সেই রাতটা টেন্টে থেকে। ভবিষ্যতে আবারো এখানে আসার ইচ্ছা আছে । সব মিলিয়ে টেন্টে থাকার অভিজ্ঞতা দারুন ছিল।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

এভাবে ক্যাম্পিং করার সুযোগ কখনো আমার হয়নি, তবে যখন আপনার মুহূর্তগুলো পড়ছিলাম আর ছবিগুলো দেখছিলাম, একটা ভিন্ন রকম অনুভূতির সঞ্চারন হচ্ছিল। দিদি, জীবন সত্যিই সুন্দর, উপভোগ করুন নিজের মত করে। ভালোবাসা রইলো, আপনার ও ছোট দাদার জন্য সর্বদাই।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/6) Get profit votes with @tipU :)
দিদি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তিস্তার তীরের এই ক্যাম্পিং অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য। সত্যি বলতে এধরনের পরিবেশে গেলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো হয়ে যায়। আমার ভীষণ ইচ্ছে আছে অন্তত জীবনে একবার হলেও দার্জিলিং ভ্রমন করার, দেখি যদি ভাগ্যে থাকে আরকি। ঐ তাবু গুলোতে থাকলে কিন্তু একটি অন্যরকম অ্যাডভেঞ্চার আসে মনের মধ্যে। সবমিলিয়ে বোটিংসহ বেশ দারুন আনন্দ করেছেন দেখলাম। অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল।
দিদি নমস্কার
তিস্তার তীরের এই ক্যাম্পিং কাটানো মুহূর্ত গুলো সত্যি অসম্ভব সুন্দর ছিল ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক মনোমুগ্ধকর এতো সুন্দর নিবির পরিবেশে যেতে কার না মন চায় ৷ আসলে ভারত মাতাজীর দেশে এক অসম্ভব সুন্দর দেশ ৷ দারুন ছিল রাতের আধারে আগুন. জ্বালিয়ে তাপ শোষন করা ৷ আর খাবারের আইটেম গুলো দারুন ছিল ৷
ধন্যবাদ দিদি
দিদি দীঘা ,পুরী ,দার্জিলিং তিনটা জায়গাকে এক সাথে দীপুদা ডাকে সেটা তো আগে জানতাম না,আজকে জানলাম। আর আমার দার্জিলিং যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে, একদিন অবশ্যই যাবো। দিদি তিস্তার পাড়ে ক্যাম্পিং টা অনেক সুন্দর লাগছিলো। আপনারা সবাই মিলে নতুন বছরকে খুব সুন্দর ভাবেই স্বাগতম জানিয়েছেন। ধন্যবাদ দিদি।