শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা সম্মান এবং ভালোবাসা।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, শিক্ষক দিবস নিয়ে আমার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
প্রথমে আমি সকলকে শিক্ষক দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। যদিও পোস্টটি আমার গতকালকে করার কথা ছিলো ব্যস্ততার কারণে কালকে করতে পারে নি তাই আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমরা সকলে অবগত আছি, ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব ব্যাপী পালিত হয়ে থাকে। শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান এবং সমাজে তাদের অবদান স্মরণ করার জন্য এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান এবং শিক্ষকতা পেশার অবদান স্মরণ করার জন্য মূলত এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
শিক্ষকতা একটি মহান ও গুরুত্বপূর্ণ পেশা।শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন যথাযথ ভাবে দিবসটি উদযাপন করার সকাল কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।
অন্যান্য দেশের মতোন আমাদের দেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান এই দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। দেশে শিক্ষা বিস্তার এবং মানবিক মানুষ গড়ার পেছনে তাদের অবদান তুলে ধরা হয়। পিতা মাতার পরে শিক্ষকদের স্থান। শিক্ষক হলো মনুষত্ববোধ এবং মানবিক মানুষ গড়ার কারিগর। একজন শিক্ষক পারে তার ছাত্রকে সুশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মনুষত্ববোধ মানবিক বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে মানুষের মতো মানুষ করে সমাজ এবং দেশের কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করার পথ দেখায়। পিতা মাতার পরে একজন মানুষের জীবন গঠনের সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তার শিক্ষক। একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে খারাপ পথ থেকে কঠোর শাসন, স্নেহ এবং ভালোবাসা দিয়ে সুপথে ফিরিয়ে আনতে পারে। এবারের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো - 'কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা'। কাঙ্ক্ষিত সময় উপযোগী শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষক একান্ত প্রয়োজন। যথাযথ শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষকের স্বল্পতা বা, অভাব পূরণ করা অপরিহার্য বিষয়।
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিহার্য। শিক্ষার বৈষম্য দূরীকরণ এবং শিক্ষা প্রদানের যাবতীয় বাধা দূর করার জন্য শিক্ষকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষৎ প্রজন্মকে যথাযথ শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের খুবই প্রয়োজন। শিক্ষকেরা পারে একটি জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে। একজন দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক পারে তার ছাত্রকে সময় উপযোগী যথাযথ শিক্ষিত করে তুলতে। শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। আমরা সমাজের বাস্তব প্রস্তুতির দিকে তাকালে দেখতে পায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকের ঘাটতি দেখা যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার প্রদানের ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।
এই দিবসের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষ এবং যোগ্য শিক্ষক তৈরি করা এবং শিক্ষা প্রদানের যাবতীয় সমস্যার সমূহ দূর করা। সমাজে শিক্ষকদের অবদান সকলের কাছে তুলে ধরা। শিক্ষক হচ্ছে জাতি গঠনের কারিগর। কিন্তু তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষক ছাড়া অন্যরা যারা বেসরকারি শিক্ষক রয়েছে তাদের বেতন খুবই কম। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতিতে পরিবার এবং নিজে চলা খুবই অসম্ভব। তাই শিক্ষকদের যথাযথ বেতন নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষকেরা যেন তাদের জীবন এবং জীবিকা স্বাচ্ছন্দ্যে পার করতে পারে এই বিষয়ের উপর দৃষ্টিপাত করা। শিক্ষকতা পেশার যথাযথ মূল্যায়ন ও শিক্ষকদের মানোন্নয়ন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করাই হল এই দিবসের অন্যতম লক্ষ্য ।
পরিশেষে সকল শিক্ষকদের জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধার, সম্মান এবং ভালোবাসা। যারা বেঁচে আছেন তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি । আর যারা এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন তারা যেন ওপারে ভালো থাকে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকবে আমাদের হৃদয়ে। তারা আমাদের হৃদয়ের বেঁচে থাকবে যুগ থেকে যুগান্তরে। আমরা কখনো শিক্ষকদের অবদান ভুলব না।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ বিকাল
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

https://twitter.com/MdAgim17/status/1710237468828832120?t=ue7xPzq8Fuf7spv6sd9RhQ&s=19
বড় ভাইয়ের মুখে কাল শুনেছিলাম শিক্ষক দিবসের কথা। যাইহোক আমাদের সকলের উচিত শিক্ষক মন্ডলীদের শ্রদ্ধা করা আর এই দিনটা স্মরণ করে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীদের শ্রদ্ধা প্রদান করা কারণ আমরা আমাদের শিক্ষক দাঁড়ায় আজ শিক্ষা লাভ করেছি এবং অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পেরেছি।
শিক্ষক দিবসের পোস্টটি পড়ে,আপনার অনুভূতি জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলেই মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনে বাবা-মায়ের পরেই শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সকল শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষক দিবসে তো বটেই, সবসময় ই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা উচিত।
আপনি ঠিক বলেছেন, জীবন গঠনে বাবা মায়ের পরে শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ আপনাকে।