আজ একটু মিষ্টি মুখ হয়ে যাক 😊😍
নমস্কার,,
দিদির বাড়িতে গিয়েছিলাম বেড়াতে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে যখন বাড়িতে ফিরব এমন সময় হাতে কিছু টাকা দিয়ে দিদি বলল মায়ের জন্য খেজুর কিনে নিয়ে যেতে। সত্যি বলতে বাড়িতে থাকা অবস্থায় বাজারে একদম কম যাই আমি। প্রয়োজনীয় যা কেনাকাটা থাকে সব বাবা করে থাকে। দ্রব্যমূল্যের দামদর সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই বলা চলে। তাই বড় বোন যখন হাতে এক হাজার টাকার নোট গুজে দিল তখন ভাবলাম পকেটে ভালো টাকাই ঢুকবে তাহলে। এত টাকা তো আর সামান্য খেজুর কিনতে লাগবে না।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যখন খেজুরের দাম শুনছিলাম তখন রীতিমতো আমার চোখ কপালে উঠে গেল। যে খেজুরগুলো আমার ভালো লাগছিল অর্থাৎ যেগুলো আমি কিনতে চাইছিলাম সেগুলোর দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার উপরে কেজি। আমি ভাবলাম আমার থেকে হয়তো দাম বেশি চাইছে। কিছুদূর এগিয়ে অন্য দোকানে গিয়েও একই হাল। সেখানে যেন দামটা আরো বেশি চাইছে। পরে ঠিক করলাম এত দাম দিয়ে খেজুর কিনে লাভ নেই। এর মধ্যেও বহুত ভেজাল আছে। এর থেকে বড় মিষ্টি কিনে নিয়ে চলে যাই। ওটাই ভালো হবে। হিহিহিহি।
সোজা চলে গেলাম এশিয়া সুইটসে। বগুড়া দইয়ের জন্য সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত এটা মোটামুটি সবাই জানেন। আর যারা বগুড়া থেকে দই মিষ্টি খেয়েছে তারা অনেকেই এশিয়ার নামটা জানে। গুণগত মানে এবং স্বাদে একচেটিয়া ভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে। অন্যান্য সব জায়গা থেকে দামটাও বেশ চড়া এখানে। তবে যে একবার খাবে তাকে বারবার ফিরে আসতেই হবে এখানে।
এশিয়ার অন্যতম মজার ব্যাপার হলো এখানে দই মিষ্টি যেটাই কিনতে হবে একটু সকালের দিকে না আসলে কিছু মন মত পাওয়া যাবে না। প্রচন্ড রকমের বেচাকেনা হয় সারাদিন। আমি যেহেতু সন্ধ্যা বেলায় গিয়েছি তাই খুব বেশি একটা আইটেমের মিষ্টি থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।
মূলত মিষ্টি কিনতে নয় আমি গিয়েছিলাম লাড্ডু কিনতে। আসলে এশিয়ার এই লাড্ডু টা আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতে। ওরা বলে এটা নাকি ঘিয়ে ভাজা লাড্ডু। ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করে। মজার কান্ড ঘটল তখনই। লাড্ডু খুব অল্প পরিমাণে ছিল। আমি অর্ডার করার মুহূর্তেই আরেকজন ভদ্রলোক এসে বলছে আমারও ওই লাড্ডু দরকার। কিন্তু সেখানে ২ কেজি তো হবেই না, অনেক কষ্টে হয়তো এক কেজি হবে। তারপর আমি এবং সেই ভদ্রলোক দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা হাফ কেজি করে ভাগ করে দুজনই নিয়ে যাব। যাতে কারোর মনে কোন আফসোস না থাকে। হিহিহিহি। এই হলো আমার খেজুরের পরিবর্তে লাড্ডু কেনার ইতিকথা।
আসলে এশিয়ার মিষ্টি এতটাই মজার খেতে, নিজেকে কন্ট্রোল করা যায় না একদম। আশেপাশে আরও অন্যান্য অনেক দোকান আছে মিষ্টির, যেগুলো ফাঁকা পড়ে থাকে সবসময় কোন কাস্টমারই নেই বলা যায়। যাই হোক, বাড়িতে এসে মাকে আগেই বলে দিলাম দিদিকে যেন কিছু না বলে 😅। না হলে পরে আবার বক বক শুনতে শুনতে আমার অবস্থা টাইট হয়ে যাবে😉।
মনে হয় আপনি কাজটায় ভেজাল করে দিলেন কারণ নিতে বলল খেজুর আপনি নিলেন মিষ্টি কেমনডা লাগে বলেন তো 🙄। ভাইদের হাতে টাকা দিলে না সেই টাকার সাত পাঁচ হয়ে যায়😶। তবে খেজুর আপনি হাফ কেজি নিতে পারতেন কারণ ভালো খেজুরের দাম অনেক বেশি। তবে খেজুর নিলে তো পকেটে টাকা গুলো কম ঢুকবে তাই মনে হয়🤣। যাক অবশেষে আপনি ভালো মিষ্টি কিনতে পেরেছেন অনেক ভালো লাগলো। দিদি ফোন করে বলে দিবো কিনা😛😛।
হেহেহে,, এবার আর কিছু বলেন না আপু। পরের বারের জন্য তুলে রাখেন 🤪🤪😅
ভাইয়া, খেজুরের পরিবর্তে মিষ্টি কেনার আপনার এই সিদ্ধান্তটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ভেজাল মিশ্রিত খেজুর না খেয়ে সদ্য তৈরি করা মিষ্টি খাওয়ার মধ্যে মজায় আছে অন্যরকম। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হাহাহাহা,, যাক কাউকে তো পেলাম যে আমাকে সাপোর্ট করলো 😍। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
খেজুরের পরিবর্তন মিষ্টি। তবে সবচেয়ে ভালো কথা এটাই যে খেজুর কিন্তু শরীরের জন্য বেশি উপকারী ছিল। কিছু কিছু বিষয় রয়েছে মানুষকে হাসাতে পারে আবার কিছু কিছু বিষয় রয়েছে মানুষকে রাগাতে পারে। তেমনি একটি বিষয় আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই মিষ্টি কেনার মধ্য দিয়ে। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন, বেশ ভালো লাগলো পড়তে, অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ কথা গুলো বেশ বলেছেন ভাই। খুব ভালো লাগলো এত সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশে তো খেজুরের দাম আরো কম হওয়ার কথা ছিল, এত দাম কেন খেজুরের। ৮০০ টাকা মানে তো সে অনেক বেশি। আর আমি একটা ওয়াজ মাহফিল শোনার সময় এশিয়ার দই মিষ্টির কথা শুনেছিলাম, ওটা নাকি বেশ ভালো খেতে। তবে আমাদের এখানে লাড্ডু কিন্তু খুব সস্তায় পাওয়া যায়। যদিও ঘি এ ভাজা হলে তার দাম সামান্য বেশি নেয়, তবে এতটাও বেশি না।
ভাই বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ী ডাকাত এক কথায়। গলা কেটে দাম রাখে । আর আপনাদের ওখানে মিষ্টি গুলো বেশ ভালো খেতে, মোটামুটি বাজেটের মধ্যেই ভালো জিনিস খাওয়া যায়। কিন্তু সেদিক থেকে আমাদের এখানে সব কিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া।
আপনার দিদি কি আপনাকে শেষ পর্যন্ত বকাবকি করেছিল? হি হি হি। আপনাকে কিনতে দিল খেজুর আর আপনি লাড্ডু কিনে নিয়ে বাড়ি চলে আসলেন। আসলে আমার ক্ষেত্রেও আপনার মত একই রকম ব্যাপার, বাড়িতে বাবা সবসময় বাজার করে, তাই জিনিসপত্রের দাম আমারও জানা নেই ।খেজুরের যে এত দাম সেটা আমারও জানা ছিল না ,আপনার এই পোস্ট দেখে জানতে পারলাম। আর চোখ কপালে উঠে গেল ,তারপর আবার নামিয়ে নিয়ে এসে জায়গায় বসিয়ে দিলাম ,হা হা হা। এশিয়া সুইটসের মিষ্টি দেখছি খুবই সুস্বাদু ,বাংলাদেশে যখন ঘুরতে যাব, একবার এই দোকান থেকে মিষ্টি কিনে খেতেই হচ্ছে।
কয়দিন পরেই দিদি এসছিল, সব শুনে হালকা পাতলা বক বক করলো 😀। আমি এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিলাম 🤪। আর হ্যাঁ এশিয়ার মিষ্টি বেশ নাম করা এখানে। অবশ্যই খেয়ে যাবেন। আর আমি থাকলে তো কথাই নেই। এক সাথে বসে ভুরিভোজ হবে।