বিপদ বলে আসে না এটা বুঝতে পারলাম।
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো হঠাৎ বিপদের সমূখীন হওয়া নিয়ে একটি পোস্ট ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে প্রতিদিন কোন না কোন কাজের জন্য বাইরে যেতাম ও বাড়িতে যেতাম।শ্বশুর বাড়ি,বাপের বাড়ি কাছাকাছি হওয়ার কারণে বিকেলে বাড়িতে যেতাম এবং নানান রকমের রংয়ের কাজ করে রাতের খাওয়া শেষে চলে আসতাম বাড়িতে।বাড়িতে আসতে রাত বারোটা একটা বেজে যেতো।বাইকে আসতে খুব বেশি সময় লাগতো না তাই সমস্যা হতো না। যাই হোক একদিন রাত্রিবেলায় আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম পুকুরের টাটকা মাছ ধরে রান্না করে খাবো।যে কথা সেই কাজ।মুঠোজাল নিয়ে পুকুর পাড়ে যাচ্ছিলাম।
সামনে ছোট মা মানে আমার কাকি,পিছনে আমার মেয়ে,তার পিছনে আমি।তো পুকুর পাড়ে বিশাল বিশাল গাছ ছিলো।আর সেখান থেকে একটি গাছ মারা গেলে বলে কেটেছে বিয়ের জন্য জ্বালানির কাজে ব্যাবহার করার জন্য। তো গাছি গাছ কেটে দিয়েছে এবং গাছের গোড়া অবদি উপরে ফেলেছে। সেই বিশাল গর্তটি বন্ধ করে নি।আমি যেহেতু পুকুর পাড়ে দিনে যাইনি এবং দেখিনি ও শুনিও নি যে এতো বড়ো গর্ত রয়েছে। তো ওরা পার হয়ে গেছে কিন্তুু আমি আগের পুকুর পাড়ের মতো ভেবেই যাচ্ছি। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সজোরে একটি পা গর্তে আর আমি সজোরে পড়ে গেলাম। এক পা নিচে আর এক পা হাটু গেরে খুব জোরে ব্যাথা অনুভব করলাম।ভেবে নিয়েছিলাম পা হয় তো ভেঙ্গে গেছে। মেয়ে দৌড়ে এসে আমাকে ধরে টানাটানি শুরু করে দিলো।মা ওঠো ওঠো বলে আমি কোন রকমে উঠলাম এবং খুড়িয়ে হাটতে লাগলাম।
এরপর পুকুর পাড়ে দাড়ালাম। এরপর পুকুরের মাছ ধরা উপভোগ করলাম অনেক কষ্টে।ভাবতে লাগলাম আসলে বিপদ কখন কিভাবে আসে বলে আসে না।এরপর মাছ ধরা দেখলাম খুব একটা বেশি মাছ ওঠেনি।মাছ দেখতে দেখতে পায়ে স্যান্ডেলে ভেজা ভেজা অনুভব করলাম আর লাইট মেরে দেখলাম রক্ত এসেছে আঙ্গুল দিয়ে। বাড়িতে এসে পা ধুলাম। ব্যাথা হয়েছিল প্রচুর পায়ে,হাটুতে।ভাবছিলাম আসলেই বিপদ কখনো বলে আসে না।কল্পনাও করতে পারিনি আমি ওভাবে পড়ে যাবো।আরো বড়ো ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো।সৃষ্টিকর্তার কৃপায় অল্পের মধ্যেই বিপদ কেটে গেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

বিপদ আসলেই কখনো বলে কয়ে আসেনা। পুকুর পাড়ে যেহেতু আপনি দিনের বেলা যাননি তাই সেখানে যে গর্ত ছিল সেটাও আপনি জানেন না। রাত্রিবেলা যাওয়াতে হয়তোবা লাইট নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। কিন্তু সেটা বড় কথা না যে বিপদ যেখানে আসবে সেটা যে কোনভাবেই সংঘটিত হবেই। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন এর থেকেও আরো বড় বিপদ আসতে পারতো। স্রষ্টার কৃপায় আপনি বেঁচে গেছেন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু।
লাইট ছিলো এবং চাঁদনি রাত ছিলো তবুও কিভাবে যে বেখেয়ালি ভাবে পড়ে গেছি ভাইয়া।
রাতের বেলা একটু একটু সাবধানে চলাচল করাই উত্তম। আর রাতের বেলা অপরিচিত কোন জায়গার মধ্যে গেলে সাথে লাইট নিয়ে যাওয়াই ভালো। কেননা কখন কোথায় কী দুর্ঘটনা ঘটে তা আসলে বলা যায় না। আপনি হয়তো গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে বেশ ভালো আঘাত পেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে সাবধানে চলাচল করবেন। যাইহোক আপনি রাতের বেলা পুকুরের মধ্যে বেশ ভালোই মাছ ধরা উপভোগ করেছেন। আসলে রাতের মধ্যে মাছ ধরতে একটু বেশি ভালো লাগে।
লাইট ছিলো কিন্তুু আমি অন্যমনস্ক ছিলাম আসলে বিপদ আসবে ওভাবে তাই হয় তো বা বেখেয়ালি হয়ে গিয়েছিলাম।
আমাদের সব সময় প্রস্তুত নিয়ে থাকতে হবে ও সতর্ক থাকতে হবে। বিপদ যে কখন আসবে বলতেও পারিনা।আমি সেদিন হঠাৎ মোটরসাইকেলে আসছিলাম। কখন একটা পোকা পড়ছে আমার চোখ ফুলে গেছিল পুরা। দ্রুত আপনার সুস্থতা কামনা করতেছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিপদ কখন আসবে বলে আসবে না।
যেহেতু অনেকদিন যাননি পুকুর পাড়ে তার উপর রাতের বেলা। আপনার উচিত ছিল একটু দেখে যাওয়া এবং একটা আলো সঙ্গে নেওয়া। আপনার কপাল ভালো পা টা ভাঙেনি। না হলে যেভাবে বললেন পা টা ভাঙলেও অস্বাভাবিক কিছু হতো না। আর ঐভাবে গর্ত করে রাখাটাও ঠিক হয় নাই গাছ কাটার পরে। বিপদ জিনিসটা এমনই হঠাৎ বিনা দাওয়াতে চলে আসে।
আলো হাতে ছিলো চাঁদনি রাত তাই লাইট না জ্বালিয়ে যাচ্ছিলাম।আর দেখেই যাচ্ছিলাম যখন অন্য দিকে তাকিয়ে হেঁটেছি তখনি দূর্ঘটনা হয়েছে। খুব জোর বেঁচে গেছি পা ভাঙ্গেনি।
বিয়ে কিংবা কোন অনুষ্ঠান থাকলে ব্যস্ততা সবার অনেক বেড়ে যায়। তাই অনেক দায়িত্বই পালন করতে হয়। আর হঠাৎ করেই আমাদের জীবনে বিপদ চলে আসে। আপু আপনি অনেকটা ব্যথা পেয়েছেন বুঝতেই পারছি। এভাবে পড়ে গেলে ব্যথা পাওয়ারই কথা। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
হ্যাঁ অনেকটা ব্যাথা পেয়েছিলাম। আর সত্যি বিয়েতে সবার কম বেশি ব্যাস্ততা বেড়ে যায়।
এত রাত্রিবেলা অন্ধকারে পুকুর পাড়ে যাওয়া ঠিক হয়নি আপু। সাথে লাইট রাখতেন। আর যাইহোক বিপদ তো কখনোই বলে কয়ে আসেনা। যে অবস্থায় পড়ে গেছেন শুনলাম তাতে করে মনে হচ্ছে বেশ ভালই ব্যথা পেয়েছেন। যাই হোক অবশ্যই আপু আমাদের সাবধানে চলাফেরা করা উচিত। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
চাঁদনি রাত তাই বেখেয়ালি ভাবে যাচ্ছিলাম আর একজ্যই পরে গেছি। সত্যি অনেক ব্যাথা পেয়েছি। আমি তো অবাহ এতো ভয়াবহ ভাবে পড়েও পা ভাঙ্গেনি জন্য।
আমার নিজের সাথেও একদিন এরকম হয়েছিল দিদি। ঘেরে মাছ ধরতে গেছিলাম সন্ধ্যার দিকে এবং তখন একটা গর্তের ভিতর পা পড়ে পায়ের বেশ খানিকটা অংশ কেটে যায়। তবে তখনও বুঝতে পেরেছিলাম না যে কি হয়েছে। পরবর্তীতে অনুভব করেছিলাম যে পা ভেজা ভেজা লাগছে এবং দেখি যে পুরো চটি ভিজে গেছে রক্তে। তবে আপনি এত কিছু ঘটার পরেও যে মাছ ধরা উপভোগ করতে মিস করেননি, এটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো।
আমিও খুব বাজে ভাবে পড়ে গেছিলাম দাদা। খুব লেগেছিল কিন্তুুু মাছ ধরা উপভোগ করা বাদ দেইনি।
আসলে বিপদে এমন একটা জিনিস কখন কোন দিক দিয়ে চলে আসে সেটা আসলে আমাদের কল্পনার বাইরে। পুকুর পাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে গাছের গর্ত মধ্যে পড়ে গিয়েছেন জেনে খুবই খারাপ লাগলো এবং আপনার পা থেকে রক্ত বেরিয়েছে শুনেও খুব খারাপ লাগলো। আসলে প্রতিনিয়ত আমাদের সাবধান হয়ে চলাফেরা করা উচিত। কারণ প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমাদের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে একটু থেকে একটু হলেই বিপদ চলে আসে।
ঠিক বলেছেন আপু সাবধানে চলাফেরা করা উচিত আমাদের।
আপনি ঠিকই বলেছেন বলেছেন আপু বিপদ কোন দিক থেকে কখন আসবে কেউ বলতে পারেনা। আপনার ভাগ্য ভালো যে আপনার বড় রকম কোনো ক্ষতি হয়নি। আশা করি এরপর থেকে আপনি সাবধানে চলাফেরা করবেন।
হ্যাঁ ভাইয়া বড়ো ধরনের কোন বিপদ হয়নি বেঁচে গেছি।
হ্যা আপু সেটাই।