হঠাৎ পিকনিক এর আয়োজন। shy-fox 10%
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
বর্তমানে আমরা সকলে বেশ ব্যস্ত। প্রত্যাহিক কাজে, প্রত্যাহিক পড়াশোনার চাপে ,নানাবিধ কর্মকান্ডের কারণে আমাদের জীবন প্রায় বিষিয়ে উঠে। এই খানিকটা ব্যস্ততার বেড়াজাল আমাদের জীবন প্রায় বিষণ্ণ। এই খানিকটা ব্যস্ততার বেড়াজাল থেকে নিজেকে মুক্তির জন্য আমাদের খানিকটা বিনোদন, খানিকটা অবসর প্রয়োজন।আর ঘরোয়া পিকনিক এর আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের মন হয়ে উঠে বেশ ফুরফুরে,মিলে আমাদের মানসিক প্রশান্তি,মিলে আমাদের শান্তি।
আমাদের বিল্ডিং এ সবাই একটা পরিবারের মতো করে বসবাস করি,তাই যাকিছু হয় সবার মতামতের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।হঠাৎ করেই একদিন আমাদের ময়না ভাবির পিকনিক খাওয়ার ইচ্ছে হলো আর সাথে সাথেই সবাইকে নিয়ে বসে পড়লেন পিকনিক খাওয়ার বিষয় নিয়ে আলাপআলোচনা করার জন্য। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ছোটখাটো করে একটা পিকনিক করার।মেনু, চাঁদা কে কি কররবো সবকিছু ঠিকঠাক করা হলো।আমরা
মোট ১৬ টা পরিবার এক বিল্ডিং এ থাকি,তার মধ্যে অনেকেই ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে গেছেন তাই আমরা নয়টা পরিবারের লোক মিলে পিকনিক করা হবে।নয়টা পরিবারের লোক হিসাব করে বাজার করা হলো,আর বাজারে দায়িত্ব আমাদের কেয়ারটেকার আজিজুল ভাই কে দেওয়া হয়েছে,উনি লিস্টে যা যা ছিলো সবকিছু নিয়ে হাজির। বিল্ডিং এর গ্যারেজে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে।সবাই মিলে কাটাকাটি মসলা বাটা সবকিছু ভাগাভাগি করে কাজ করা হয়।এক ভাবি মুরগির মাংস রান্না করেন,তারপর পোলাও আরেক ভাবি রান্না করেন,সবজি আমি রান্না করি,আরো ভাবি বেগুন ভাজি, মাছ ভাজি এভাবেই সব আয়োজন করা হয়।
নয়টা পরিবারের জন্য আলাদা আলাদা বাটিতে সব ভাগ করে মাংস, সবজি,পোলাও তোলা হয়।যাতে করে কেউ বলতে না পারে যে ভাগে কম হয়েছে তাই বাটিতে তোলা হয়েছে। সব আইটেম এর জন্য আলাদা আলাদা বাটি। পরিবেশনে দক্ষ এক ভাবিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,ভাবি খুবই দক্ষতার সহিত তার কাজটি সম্পন্ন করেন। সবাই যার যার বাটি হাতে নিয়ে নেয়া কেউ কেউ বাসায় চলে যায়।সবাই সবকিছু নিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় আমার ভাগের মাংসের বাটি হারিয়ে গেছে😁আমি তো কিছু বলতেও পারছিনা লজ্জায়, পড়ে ভেবে দেখলাম যদি কথাটা না বলি তাহলে তো আমার মেয়েরা খাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে তাই বাধ্য হয়েই কথাটা প্রকাশ করতে হলো।তারপর আবার সব ভাবিদের বাসা থেকে ডেকে এনে আবার সব বাটি থেকে মাংস তুলে নিয়ে আমার জন্য বাটিতে তোলা হলো,আর এই বিষয় টি আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছিলো,কিন্তু কিছু করার নেই পিকনিক বলে কথা।
বাচ্চারা সবাই নিচে বসে খাবার খেকে চাইলো তাই ওদেরকে গ্যারেজেই খাবার দেওয়া হলো ওরা অনেক আনন্দ করে খাবার খেতে শুরু করলো, কিন্তু কেউই ঠিকঠাক মতো খাবার শেষ করতে পারলো না তাই সেগুলো আবার যার যার বাসায় নিয়ে যাওয়া হলো।পরিবার প্রতি ৪০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে অনেক ভালোভাবেই আমাদের পিকনিক খাওয়া হলো।সবাই মিলে খুবই ভালো সময় উপভোগ করেছি এবং বাচ্চারা অনেক আনন্দ পেয়েছে।
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো নতুন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আপু,হঠাৎ পিকনিকের আয়োজনটা বেশ জমিয়ে করেছেন দেখছি। পুরো ৯টা পরিবার একসাথে পিকনিক করলে, পিকনিকের আয়োজন টা কি রকম হবে তাই চিন্তা ভাবনা করছি। তবে কি আপু, দশে মিলে করি কাজ হারি যেতে নাহি লাজ। আর তাইতো আপনারা সকলেই হাতে হাতে সকল কাজ করেছেন বলেই পিকনিকের আয়োজন টা বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এত ভালো আয়োজনেও শেষ অব্দি আপনার মাংসের বাটি হারিয়ে গেছে জেনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। যাক অবশেষে সকলের মাংসের বাটি ফেরত নিয়ে এসে, আপনার মাংসের বাটি রেডি করেছিল এটা জেনে খুব ভালো লেগেছে। তা না হলে হয়তো আপনার মেয়েরা মাংস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতো। ধন্যবাদ আপু, হঠাৎ পিকনিকের আয়োজন নিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, সবাই মিলে হাতে হাতে কাজ করলে কষ্ট অনেক কম হয়ে থাকে এবং সুন্দর ভাবে হয়।জ্বি ভাইয়া মাংসের বাটি না পাওয়াতে সবার একটু খারাপ লেগেছিলো পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক কাজের ফাঁকে এরকম ছোটখাটো আনন্দ গুলো খুব ভালো লাগে। আপনারা নয়টা পরিবার মিলে খুব সুন্দর পিকনিকের আয়োজন করেছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে গল্প গুজব করে কাটাকুটি রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া আপনার মাংস বাটি হয়তো বাড়তে ভুলে গিয়েছিলেন তা না হলে হারাবে কিভাবে। আপনি বলে ভালো করেছেন না হলে আপনার বাচ্চারা তো না খেয়ে থাকতো। সব থেকে ভালো হতো সবাই একসাথে বসে খেলে। তাহলে আর এই ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো না। যাই হোক সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন তাই অনেক।
ঠিক বলেছেন আপু একসাথে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করলে বেশি ভালো হতো,কিন্তু অনেকেই বললো যে বাসায় গিয়ে খাবো তাই বাটিতে তোলা হয়েছিলো। হ্যাঁ আপু বাটিতে তুলতেই ভুলে গেছিলো তাছাড়া এমন হওয়ার কথা নয়।সবাই অনেক মজা করেছি। ধন্যবাদ আপু।
খাবার যদি সেই পিকনিক শেষে বাটিতে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে সেটা কিসের পিকনিক হল। একসাথে বসে খাওয়ার যে মজা সেটা বাড়িতে নিয়ে গেলে তো হবে না। এখনকার ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে তো এরকম পিকনিকের আয়োজন দেখা যায় না বললেই চলে। সবাই যে যার মত থাকে, কেউ কারো সাথে তেমন বিশেষ কথাও বলে না। এই ক্ষেত্রে আপনাদের ফ্ল্যাটের লোকজন গুলো তো বেশ ভালো।
এটা ঠিক বলেছেন দাদা,একসাথে বসে খাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি।একটা সমস্যা হলো মনে করেন আমার বাসায় তিনজন মানুষ আরেকজনের বাসায় সাত থেকে আট জন মানুষ তাই কারো মনে যাতে কোনো খারাপ লাগা কাজ না করে তাই বাটিতে তোলা হয়েছিলো যাতে করে সবার একরকম হয়। আসলেই সবাই অনেক ভালো। ধন্যবাদ দাদা।
আসলে সবাই মিলে এইরকম পিকনিক করার মজাটাই আলাদা। বিশেষ করে খুবই আনন্দ হয়। আর আপনারা সবাই মিলে যে যার মত করে আলাদা আলাদা রান্নার দায়িত্ব নিয়েছেন এটা ভালো লাগলো। রান্না গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই ভালো হয়েছে। তবে আপনার মাংসের বাটিটা হারিয়ে যাওয়া ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলে আপনি বলে একদম ঠিকই করেছেন। কারণ যেহেতু পিকনিক আপনার মেয়েরা যদি না খেতে পারে তাহলে তো সেটা বৃথা হয়ে যাবে। তবে মেয়েরা সবাই মিলে একসাথে বসে বেশ আনন্দ করেছে। খুব ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট পড়ে।
হ্যাঁ আপু মেয়েদের কথা ভেবেই আমাকে বলতে হয়েছিলো যাতে করে ওরা মনে কষ্ট না পায়।বাচ্চারা সবাই মিলে একসাথে বসে খাবার খেয়েছে ওরা অনেক মজা করেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
দিদি নমস্কার
দিদি ঠিক বলেছেন সময়ের সাথে আমার চলতে গিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকি ৷ তবে মাঝে মধ্যেই এসব পিকনিক আয়োজন কিন্তু মনকে অনেকটা আনন্দ দিয়ে থাকে ৷ যেমন আপনার একই ব্লিডিং এ ১৬পরিবার ভাবা যায় ৷ মাঝে মধ্যে আপনাদের আনন্দের মুহূর্ত গুলো দেখি তো ৷ যা হোক সবাই মিলে পিকনিক আয়োজন করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো দিদি ৷
নমস্কার ভাই।হ্যাঁ আমরা একই বিল্ডিং এ ১৬ টা পরিবার একসাথে বসবাস করি। মাঝে মাঝেই আনন্দের মুহুর্ত গুলো শেয়ার করি ভাই।ধন্যবাদ ভাই।
হঠাৎ করে এভাবে পিকনিক করতে আমারও খুব ভালো লাগে আপু। আপনারা অনেক সুন্দর করে পুরো বিল্ডিং এর সবাই মিলে পিকনিক করেছেন। এরকম অনেকজন মিলে পিকনিক করতে আমার কাছে ভালোই লাগে। পিকনিকে আপনার অনেক লোভনীয় লোভনীয় খাবার খেয়েছেন। খাবার গুলো দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। এই পিকনিকে আপনি অনেক মজা করেছেন। আপনার মাংসের বাটি হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনে আমারও খুব খারাপ লাগলো আপু।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করার আনন্দই অন্য রকমের হয়ে থাকে আপু,তাই মাঝে মাঝেই আমরা ঘরোয়া পিকনিক এর আয়োজন করে থাকি।ধন্যবাদ আপু।
ভালই তো একত্রে সবাই মিলে পিকনিক করলেন। আমি কোথায়? আপনাদের পিকনিকের আয়োজন দেখে এবং আনন্দ দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু।আর যে খাবারগুলো খেয়েছেন দেখেতো জিভে পানি চলে আসলো। আপনি তো বেশ মজা করলেন আপু।
আপনাকে তো দাওয়াত দিয়েছিলাম,কই আপনি আসলেন না তো? 😁এর পরের বার আপনাকে সব লোভনীয় খাবার গুলো খাওয়াবো আপু।ধন্যবাদ।
ফ্যামিলি পিকনিকে নিশ্চয়ই অনেক মজা করেছেন সেই সাথে মজাদার খাবার খেয়েছেন সত্যি আপনাদের এরকম আয়োজন দেখে ভালো লাগলো।। আমিও মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়ি গেলে ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে এরকম আয়োজন করে থাকি। সত্যিই এমন আয়োজন স্মৃতি হয়ে থাকে ।খাবারগুলো কিন্তু খুব মজাদার মনে হচ্ছে।।
জ্বি ভাইয়া এরকম ছোটখাটো মুহুর্ত গুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে,যা মনে হলে অনেক ভালো লাগবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুন সময় কাটিয়েছে বিল্ডিং এর সবাই মিলে ছোটখাটো পিকনিকের আয়োজন করে নিয়েছেন দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। সবাই মিলে এভাবে মিলেমিশে থাকলে অনেক সুন্দর সময় কাটে। সবাই যেহেতু গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছে তাই ভাল লাগবে না। সেই সুযোগে একটি পিকনিকের আয়োজন করা খুবই দরকার ছিল যা আপনারা সবাই মিলে করেছেন। সবাই মিলে কাটানো সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
জ্বি আপু সবাই মিলে মিশে থাকলে খুবই ভালো লাগে। আর মাঝে মাঝে এরকম পিকনিক বাচ্চাদের জন্য অনেক আনন্দের কারন হয়।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সবাই মিলে মাঝে মাঝে পিকনিকের আয়োজন করলে মন্দ হয় না। একসাথে সবার মজা করাও হলো আবার একসাথে খাওয়া ও হলো। একসাথে নয়টা ফ্যামিলি পিকনিক করেছেন😳। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা করেছেন সবাই মিলে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবাই মিলে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং আমাদের সাথে তা শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া একসাথে নয়টা পরিবার।আরও সাতটা পরিবার বাকি ছিলো তাহলে বোঝেন আমরা কতগুলো মানুষ একসাথে বসবাস করি। ☺️সবাই অনেক মজা করেছিলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।