ছাত্রজীবনের শিক্ষা সফরের স্মৃতি।
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? সবাইকে জানাই শুভ সকাল। এখনকার সকালগুলো শীতল, কিন্তু দুপুর টাইমে প্রচন্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। সকালের পরিবেশটা যেমন হালকা ঠান্ডা, যদি এমন শীতল পরিবেশ সারাদিন থাকতো তাহলে ওয়েদারটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য হতো। যাই হোক, আজ একটা মজার বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
শিক্ষা সফর।
ছাত্রজীবনে শিক্ষাসফরের পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ছাত্রজীবনে আনন্দের একটি বড় মাধ্যম ছিল এই শিক্ষা সফর। প্রত্যেক বছর আমরা যেমন আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরের অপেক্ষায় থাকি, এবং আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা দুর্গাপুজো এবং অন্যান্য পুজোর অপেক্ষায় থাকে,ঠিক তেমনি ছাত্রজীবনে ছাত্রদের একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠান এর মতই আনন্দ বয়ে আনে এই বনভোজন বা শিক্ষা সফর। শিক্ষা সফরের গুরুত্ব ব্যাপক। এর প্রয়োজন আছে। শুধুমাত্র রোবটের মত লেখাপড়া নিয়ে থাকলে কি আর দুনিয়া চেনা যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিনোদনের প্রয়োজন আছে। আর সেটা বিশুদ্ধ বিনোদন হতে হবে অবশ্যই। ছাত্রজীবনে সহপাঠীদের সাথে এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই অন্যরকম।
স্মৃতির পাতায় গেঁথে থাকে সেই দিনগুলো যে দিনগুলো পার করে এসেছি আমরা ছাত্রজীবনে। ছাত্রজীবনের আনন্দঘন মুহূর্ত গুলোর মধ্যে অন্যতম বন্ধুদের সাথে কোথাও ট্যুরে যাওয়া। স্কুল এবং কলেজ লাইফের কিছু সুন্দর সুন্দর স্মৃতি আমার এখনো মনে পড়ে যেগুলো আবার সেই দিনগুলো ফিরে ইচ্ছে জায়গায়। সত্যি দিনগুলো কখনো ভুলার মত নয়। আমি হলফ করে বলতে পারি আপনি যদি স্কুল কলেজ শেষ করে থাকেন তাহলে আপনার ফেলে আসা দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা যে দিনগুলো আছে যেটা আপনার মনে পড়লে এখনও মুখের কোনে হাসি ফুটে ওঠে সেই দিনগুলোর মধ্যে শিক্ষাসফরে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো অন্যতম। আমি যখন এই পোস্টটা লিখতেছি তখনও আমার স্মৃতির পাতায় সেই দিনগুলোর স্মৃতি ভেসে উঠছে।
আমি যখন হাইস্কুলে উঠি তখন আমি শুনেছিলাম স্কুল থেকে প্রত্যেক বছর ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাসফরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার খুব শখ ছিল আমিও শিক্ষাসফরে যাব। কিন্তু ক্লাস সিক্স থেকে আমাদেরকে শিক্ষা সফরে নেয়া হয়েছিল না। কারণ আমরা তখন অনেক ছোট ছিলাম। যখন ক্লাস সেভেনে উঠেছিলাম তখন হঠাৎ একদিন কিছু স্যার ক্লাস এ আসলো আর বলল আমাদের স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে যাওয়া হবে। আমি এই কথাটা শোনার পর কি যে খুশি হয়েছিলাম আজ এতো বছর পরও ওই খুশির মুহূর্তটা এখনো মনে আছে । সেবার আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুয়াকাটায়। আমার জীবনের প্রথম শিক্ষা সফর, আমি ভীষণ এক্সাইটেড ছিলাম। যাওয়ার কিছুদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি, নতুন জামা কাপড় কেনা, অল্প অল্প করে হাত খরচের টাকা জমানো এসব মিলিয়ে আমি পুরো ঈদের আনন্দে ছিলাম। শিক্ষা সফরে গিয়ে খুবই মজা করেছিলাম। ওটা আমার জীবনের প্রথম শিক্ষাসফর হওয়ায় ওই সময়টার অনুভূতি আমার মস্তিষ্কে এখনো বিরাজমান।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
এরপরে স্কুল লাইফ থেকে আরো অনেকবার শিক্ষা সফরে যাওয়া হয়েছে। স্কুল জীবন শেষ করে যখন কলেজে উঠেছিলাম, কলেজে উঠে অনেকবার অনেক ভালো ভালো জায়গায় শিক্ষা সফরে গিয়েছি। কিন্তু আমি যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছি তাই আমাদের শিক্ষাসফর গুলো ছিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেটেড। মানে গভমেন্ট থেকেই আমাদের নির্দেশ দেয়া ছিল আমরা যেন কোন একটা ভালো ইন্ডাস্ট্রিতে ভিজিট করি। এ বিষয়টা মাথায় রেখে আমাদের স্যারেরা ইন্ডাস্ট্রি ট্যুরের সাথে আরো একটা দর্শনীয় জায়গা এড করে দিতে প্রত্যেকটা শিক্ষাসফরে যেন ছাত্রছাত্রীরা ইনজয় করতে পারে।
কলেজ লাইফে উঠার পর বন্ধুত্বের গভীরতাটা সবাই বুঝতে শুরু করে। তখন বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো অনেক গারো হয়। আমাদেরও একটা সার্কেল ছিল। আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম সবাই। আমরা যেখানে যেখানে ট্যুরে গিয়েছি সব থেকে বেশি এনজয় করেছি বাসের মধ্যে। বন্ধুদের সাথে নাচ-গান, মজা-মাস্তি সব কিছুর মধ্যে নেক্সট লেভেলের ভালোলাগা ছিল। আমার যখন কলেজ লাইফের ট্যুরের কথা মনে পড়ে তখন সর্বপ্রথম বন্ধুদের সাথে ইনজয়েবল মোমেন্ট গুলোই মনে পড়ে। কোথায় ঘুরেছি, কোন দর্শনীয় জায়গা দেখেছি সে সব বিষয়গুলো মাথায় আসে না। প্রথমেই মাথায় আসে বন্ধুদের সাথে রাত্রে বেলায় বাসের ছাদে উঠে চিল্, আড্ডা আর বাসের মধ্যে বক্সে গান ধরিয়ে সবাই একসাথে ডান্স। মুহূর্তগুলো সত্যিই বাঁধিয়ে রাখার মত ছিল।
যাইহোক, আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আছে। যেগুলো আমরা কখনই ভুলতে পারিনা। শিক্ষাজীবন একসময় শেষ হয়ে যায় কিন্তু স্মৃতির পাতায় রয়ে যায় সেই সুন্দর সোনালী দিনগুলো। গতকাল রাতে আমার ছোটভাই শিক্ষাসফরে গিয়েছে। আজ সকালে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম ওইখানে পৌঁছে গেছে ভোরেই। এজন্য শিক্ষা সফরের বিষয়টা আমার মাথায় আসলো। তাই আপনাদের সাথে আলোচনা শুরু করে দিলাম। এটাও আমার একটা ভালোলাগা। আজ তাহলে আমি বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার আগামী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি কখনো শিক্ষাসফরে যায়নি। তবে ডিপার্টমেন্ট থেকে পিকনিকে গিয়েছি বহুবার। ওটাও এক ধরনের শিক্ষা সফর। আসলে কোন কিছু রিসার্চ করাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা সফর গুলো হয়ে থাকে। তবে এই জীবনে যতগুলো সফর করেছি তা থেকে যে বাস্তবিক শিক্ষা নিয়েছি সেটাই আমার কাছে অনেক বড় শিক্ষাসফর হয়ে গেছে। আপনার বর্ণনা সুন্দর ছিল। ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাই লেখাপড়ার পাশাপাশি মন মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা সফরে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। এই করোনা আসার পর থেকে সব কিছু যেনো এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তবে যাই বলেন স্কুল লাইফের শিক্ষা সফরের ওপর কিন্তু কোনো মজা নেই। স্কুলের বন্ধুদের সাথে শিক্ষা সফরে যাওয়ার সৃতিগুলো এখনো আমার খুব মনে পড়ে।
ভাইয়া আপনি তো অনেক ছোট বয়সে শিক্ষা সফরে গিয়েছেন। আর আমি শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম সর্বপ্রথম যখন আমি ক্লাস ১০এ পড়ি।আমি ছোটবেলা থেকে দেখতাম আমার পাশের স্কুলের সবাই ছোটবেলা থেকেই পিকনিকে যায়। কিন্তু আমাদের স্কুলে শুধু মাত্র ক্লাস ১০এর যারা শিক্ষার্থী তাদেরকে পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।তো তখন আমাদের মন খুব খারাপ হয়ে যেত।তাই শিক্ষাসফরের যে একটা আনন্দ এবং সুন্দর একটা অনুভুতির সেটা আমি আজও বুঝতে পারিনি।এসব কথা ভেবে আমার খুব খারাপ লাগে যে ছোটবেলায় আমি কোন শিক্ষা সফরে যেতে পারিনি। দুর্ভাগ্য আমার।
আমাদের প্রথম শিক্ষা সফরের নেওয়া হয় ক্লাস সেভেনে।তাই সিক্স এ খুব গরম ছিলাম আমরা আমাদের সিক্স এই নেয়নি বলে।এখনো মনে পরে সে স্মৃতি।🤣
মজার ব্যাপার, আমি স্টুডেন্টদের খেঁপিয়ে টিচারের কাছে দরখাস্ত দিয়েছিলাম শিক্ষা সফরে যেনো আমাদের ও নেয়।সে যাত্রায় শুধু টিচারের মার থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম কোনো রকমে।😁
আজ আপনার পোস্ট পড়ে তা মনে পরে গেলো।
ভাই ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে করে দিলেন। আসলে ছোটবেলা থাকতে আমরা মনে করতাম যে কখন বড় হব। তবে এখন মনে হয় ছোটবেলার স্মৃতি গুলো অনেক ভাল ছিল। স্কুলের পিকনিকের কথা মনে হলে মনে হতো যে ঈদের দিন। অসাধারণ একটা সময় ছিল ছোটবেলা 😔। যা আসলে মনে হইলে কষ্ট লাগে। সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাই। খুব সুন্দর করে সবকিছু আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শিক্ষা সফরের আনন্দময় মুহূর্ত গুলো সারা জীবন স্মৃতির পাতায় বন্দি হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্কুল লাইফের শিক্ষা কাপড় গুলো অনেক মজাদার হয়ে থাকে। যদিও সেই সময় হাতে তেমন বেশি টাকা থাকে না কিন্তু যে পরিমাণ আনন্দ পাওয়া যায় তা কখনোই টাকার সাথে পরিমাপ করা যায় না। আমিও যখন প্রথমবার শিক্ষা সফর গিয়েছিলাম তখন কি যে আনন্দ হয়েছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না। শিক্ষা সফরের আগের রাতে ঘুমাতে পারি নি। বারবার মনে হয় তো ঘুমিয়ে গেলে হয়তো আমাকে রেখে চলে যাবে। সেই অনুভূতিটা আজও মনে পড়ে ভাইয়া। কতই না মজা করেছিলাম সেই দিন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার আনন্দ ও অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার স্কুল জীবনের লাস্ট শিক্ষা সফর ছিলো বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে। এটা ক্লাশ ১০ এ যাওয়া হইছিলো। আসলে স্কুল জীবনে এই শিক্ষা সফর একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনের ব্যবস্থা। বিশেষ করে সবাই একত্রিত হয়ে একটা মজা করার সুযোগ হয় এই শিক্ষা সফরকে ঘিরে।
আসলেই ভাই সত্যি এটাই এই সোনালী স্মৃতিগুলো আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। বিশেষ করে বিশেষ মুহুর্তগুলো। এখনো অনেক মিস করি সেই স্কুল কলেজের স্মৃতিগুলো। জানি আর ফিরে পাবো না সেই দিনগুলো। 💙💙
তবে আমার দূর্ভাগ্য ছিল শিক্ষা জীবনেও স্বাদ টা পেলাম যদিওবা শেষে এসে একবার গিয়েছিলাম।আমাদের প্রশাসনিক আকুল ছিলো তো তাই যাওয়ার অনুমতি ছিল না।তবে সে যাইহোক তারা যাইতে দিলে কি আর না দিলে কি স্কুল পালিয়ে কতো শত জে টুর দিছি গুনে শেষ করতে পারবো না।আর ওগুলোও এখন সৃতি হিসেবে রয়ে গেছে মস্তিষ্কে।
শিক্ষা সফর ছাত্র জীবনের অনেক স্মরণীয় একটা দিন। আমি যখন ক্লাস ৮ এ পড়ি তখন গিয়েছিলাম শিক্ষা সফরে সিলেট লাউয়াছড়া। ওই দিনেই প্রতিটি মুহূর্ত মনে হলে এখনো আনন্দ লাগে। কি যে আনন্দ করেছি আর কত যে মজার সময় তখন পার করেছি বলে বুঝানো যাবে না। আপনার ছোট ভাই ও এই সময় টাকে অনেক এনজয় করবে বলে আশা করি। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া দুপুর টাইমে প্রচন্ড গরম। থাকায় যাচ্ছে না রুমের ভিতর।আসলে ছাত্র জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দময় হচ্ছে শিক্ষাসফর।শিক্ষাসফর পড়াশোনার ও একটি অংশ শুনেছি। আসলেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বিনোদনের প্রয়োজন আছে। জীবনে চলতে হলে সব কিছুরই প্রয়োজন আছে। আসলে ভাইয়া শিক্ষা সফরের কথা এখনো মনে পড়ে গেল আমি শিলাইদা গিয়েছিলাম বন্ধুবান্ধব টিচারের সাথে সত্যিই দিন গুলো ভেসে উঠছে। আসলে আপনি ছোটকাল থেকেই খুব ভ্রমণপ্রিয় বুঝতে পারলাম। আর এখন তো ভাইয়া কোন বলয় লাগেনা সব দেশ ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক আপনি। আসলে স্কুল লাইফের মুহূর্তগুলো শুধু মনে পড়ে কিন্তু যদি ফিরে পেতাম।আসলেই স্মৃতিগুলো আমাদের স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া