||গাজীপুরে এক দিনের ভ্রমণ (পর্ব-২)-by @raihanul2512|| [10% @shy-fox and 5% abb-school]
১০ই আষাঢ়,১৪২৯
24 June,2022
ডেইরি ফার্মে ঘোরাঘুরি
ডেইরি ফার্মে ঘোরাঘুরি
আমি মো: রায়হানুল ইসলাম @raihanul2512 । আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে ডেইরি ফার্ম এর খুটিনাটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব। একটি ডেইরি ফার্ম কিভাবে পরিচালিত হয়, কিভাবে দুধ সংগ্রহ করে এসব কিছুই আমি এই পর্বে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন।
গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত "আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড" এ কয়েকটি প্রজেক্ট পরিচালিত হয়। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ডেইরি প্রজেক্ট। আমাদের সাথে একজন গাইড দেওয়া হয়েছিল। তিনি আমাদেরকে ডেইরি ফার্মে নিয়ে গেলেন। ফার্মের মধ্যে ঢোকার পূর্বে আমাদেরকে সেনিটাইজ করে নেওয়া হলো। তারপরে ফার্মে ঢুকতেই চোখে পরলো জিনপুল। যেখানে ১০০% ফ্রিজিয়ান, জার্সি, ব্রামহা সহ বিভিন্ন জাতের গাভীর সংগ্রহ রয়েছে।
এরপর আমাদেরকে নেওয়া হয় প্রেগনেন্ট সেডে। সেখানে রয়েছে অল্প সময়ের মধ্যেই বাচ্চা দিবে এমন গাভী। তার পাশেই রয়েছে বাচ্চা দিয়েছে এমন গাভী এবং সাতদিন পর্যন্ত তাদের এখানে রাখা হয়। বাচ্চা হওয়ার পরেই গাভী এবং বাচ্চাকে আলাদা করা হয়। সাতদিন পর্যন্ত দুধ খাওয়ানো হয়। এসব বাচ্চাকে এই সাতদিনের শুধু সাল দুধ খাওয়ানো হয়। তারপর থেকে তোলা খাবার দেওয়া হয়। জন্মের পর বাচ্চাকে আলাদা করলে অনেক রোগ থেকে বাঁচানো সম্ভব এবং ট্রিটমেন্ট করতে সুবিধা। এজন্য জন্মের পর থেকে বাচ্চাকে আলাদা রাখা হয়। প্রথম তিন মাস খাঁচার তৈরি একটি ঘরে রাখা হয় তারপর ধাপে ধাপে আলাদা আলাদা সেডে রাখা হয়।
এরপর আমরা গেলাম অন্য সব সেডে। যেখানে বিভিন্ন জাতের গাভী কে বিভিন্ন সেডে আলাদা করে রাখা হয়েছে।যেমন, ফ্রিজিয়ানের সেড, জার্সির সেড, ব্রামহার সেড। সেখানে আমাদের দেশীয় কিছু প্রজাতির গাভী ও দেখলাম। সেগুলোর মধ্যে পাবনা ব্রিড, রেড চিটাগাং অন্যতম।
এগুলোর মধ্যে রেড চিটাগাং জাতের গাভী গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। এদের শরীর, চোখের পাতার, লেজ, ক্ষুর সবকিছুই লালচে। এরা দুধ দেয় কম। তাই এদের মাংসের জন্য পালন করা হয়।
![]() | ![]() |
---|
এরপর আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হল মিল্ক পার্লারে। এতদিন শুনেছি বিউটি পার্লার, জেন্টস পার্লার এর কথা। সেখানে গিয়েই মিল্ক পার্লারের কথা প্রথম শুনলাম এবং নিজ চোখে দেখলাম। সেখানে একটি ঘরের মতো তৈরি করা। ভেতরে ঝরনা লাগানো একটি একটি করে গরু ভিতরে যাবে। তাদেরকে পরিষ্কার করানো হবে এবং তারপরে সে চলে যাবে আর একটি ঘরের মধ্যে সেখানে মেশিনের সাহায্যে দুধ কালেক্ট করা হয়। সেই দুধ আবার পাঠানো হয় মিল্ক প্ল্যান্টে।
আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম মিল্ক প্লান্ট প্রজেক্ট দেখতে। সেখানে একটি ট্যাঙ্কে সমস্ত দুধ ঢালা হয়। তারপর মেশিনের মাধ্যমে হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্যাকেট দুধ,টক দই,মিষ্টি দই, ঘি তৈরি করা হয়। আগের পর্বে বলেছিলাম যে, এখানকার তৈরি মিষ্টি দই আমাদেরকে খাওয়ানো হয়েছিল যা অনেক সুস্বাদু ছিল। পাশেই দেখতে পেলাম বরফের ঘর। যেখানে দই, দুধ ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। আমরা সেই ঘরে ঢুকেছিলাম। কিছুক্ষণ থাকতেই মনে হল যেন কোন বরফের দেশে আছি।
এরপরে গেলাম WWTP (Waste Water Treatment Plant) দেখতে। যেখানে ফার্মের সকল দূষিত পানি অর্থাৎ গরুর মলমূত্র আসে এবং সেগুলো দূষণমুক্ত করে ড্রেনে ছেড়ে দেওয়া হয়। যা আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই দরকার।
![]() | ![]() |
---|
গাজীপুরে ভ্রমণ করতে গিয়ে আপনি দেখছি অনেক গরূর ছবি তুলেছেন। বিশেষ করে লাল গরুগুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে ।আবার দেখতে পাচ্ছি গাভী গরুর ছবি তুলেছেন।কালো গরুর বাচ্চাটা দেখতে আসলেই অনেক চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার আগের পর্বে দেখেছিলাম। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন ডেইরি ফার্মে ঘুরতে গিয়ে।সব কিছুর বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। সেই সাথে আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদেরআজে শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে তবে আপনি পোস্ট এর মধ্যে লোকেশন এবং ক্যামেরা ডিটেলস উল্লেখ করেননি। এরপর থেকে এই দুইটি জিনিস অবশ্যই উল্লেখ করবেন, ধন্যবাদ।
ঠিক আছে ভাই। এরপর থেকে ইনশাল্লাহ যুক্ত করব।