এলোমেলো ঘোরাঘুরি ও কাছে থেকে নানরুটি বানানো দেখা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব এলোমেলো ঘোরাঘুরি ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে মজার খাবার খাওয়ার ও কিছু জিনিস কিনা সেই সাথে নান রুটি বানানো দেখার অভিজ্ঞতা । রাস্তায় বের হলে মজার মজার খাবার খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে । বিশেষ করে রাস্তায় বসে ফুচকা লুচি চাপ চটপটি এগুলো খেতে খুব ভালো লাগে । তারপরে নান রুটি আর গ্রিল এগুলো আমি প্রায় সময় বাইরে গেলে চোখে পড়লে কিনে নিয়ে আসি । এই খাবারটা আমার অনেক পছন্দের ।
সেদিন বাইরে বের হয়েছিলাম হঠাৎ করে মোগলাই খাওয়ার ইচ্ছা করেছিল সেটাই খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম এবং বাসার সবার জন্য নিয়ে আসতেও চেয়েছিলাম । যখন রাস্তায় বের হলাম তখন মনে হল যে এখান থেকে দূরে কোথাও যেতে পারলে হয়তো ভালো লাগতো । একটু ঘুরেও আসা যেত এবং আসার পথে টুকিটাকি কিনে নিয়ে আসা ও হতো । তখন একটা রিক্সা নিয়ে আমি আর আমার হাজব্যান্ড চলে গেলাম দূর অজানার পথে । যেতে যেতে হঠাৎ মাথায় এলো দূরে একটা মাছ বাজার রয়েছে সেখান থেকে ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে আসা যাক । পরে আমরা রিক্সা নিয়ে সেই দূরে চলে গেলাম ইলিশ মাছ কিনতে এবং সেখান থেকে কিছু ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে আবার সেই রিকশাতেই ফিরে এলাম ।
আসার পথে আবার একটা খাবারের দোকানে দাঁড়ালাম এবং সেখানে দেখলাম যে প্রচুর পরিমাণে ভিড় এবং সেখানে আমরা মোগলাইয়ের অর্ডার দিলাম । সেখানে আবার বড় বড় পুড়িও বিক্রি করে মাঝে মাঝে এখান থেকে আমরা কিনে নিয়ে থাকি ।খেতে ভালো লাগে এই দোকানের পুরি গুলা । আমরা মোগলাই অর্ডার দিয়ে ভেতরে গিয়ে বসলাম এবং মোগলাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম । ওরা সুন্দর করে মোগলাই বানিয়ে দিচ্ছে আমি দূর থেকে দেখছি । কিন্তু দোকানের ভিতরে এতটা পরিমাণে গরম ছিল এবং লোকজনের ভিড় ছিল ভালই লাগছিল না যার কারণে আমি রাস্তার ধারে গিয়ে দাঁড়ালাম । দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নান রুটি বানানো দেখতে লাগলাম ।
ওরা কি কায়দায় নান রুটি গুলো বানায় একেবারে আগুনের ভেতরে হাত দিয়ে রুটিটাকে কিভাবে বসিয়ে দিয়ে আসে এবং রুটিটা আস্তে আস্তে ফুলতে থাকে সেটাই আমি কাছ থেকে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম । ভেতরের চুলার জিনিসটা কি আটা দিয়ে তৈরি করে কিনা সেটাও বুঝতে পারলাম না । আবার মনে হলো যে এটা কি মাটির কিনা কিন্তু সাদা সাদা ভিতরটা এবং চুলার ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে তার ভিতরে ওরা একটি একটি করে বসাচ্ছে আর রুটি হয়ে যাচ্ছে । এভাবে দাঁড়িয়ে কিছু সময় দেখলাম । দেখতে দেখতে আমার মোগলাই হয়ে গেল তারপর আমরা আস্তে আস্তে বাসায় চলে আসলাম । যদিও এই দোকানের মোগলাইটা আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি । আমাদের ফরিদপুরে মোগলের সাথে অন্য কোনটার তুলনা হয়না । ভালো লাগেনা খেতে তারপরও যখন খেতে ইচ্ছা করে তখন এটাই খাই কি আর করার । এটাই ছিল আমার আজকের এলোমেলো ঘোরাঘুরির অনুভূতি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ঠিক বলেছেন আপু রাস্তায় বের হলে বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছা করে। মোগলাই বানাতে দিয়ে ভালোই নান রুটি বানানোর শিখে নিয়েছেন মনে হচ্ছে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন ফরিদপুরের মোগলাইয়ের স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। ওরকম স্বাদ অন্য কোথাও খেয়ে পাই না। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আসলেই ফরিদপুরের মোগলায়ের সাথে অন্য কোন মোগলায়ের তুলনা হয় না । ফরিদপুরের ভাজা জাতীয় যে কোন খাবারই খেতে কিন্তু ভালোই লাগে ।