সবকিছুর তুলনা হয় না।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সবাইকে শীতের উষ্ণ অভ্যর্থনা। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। শীত মোটামুটি ভালোই পড়ছে। এবং যেহেতু ডিসেম্বরের শেষ সবাই একটু ছুটির মুডে আছে। আমিও আছি ঐরকমই। মানুষ সাধারণত বাঁচার জন্য খাবার খেয়ে থাকে। মানব সভ্যতার শুরুতে মানুষ শুধু জীবন বাঁচানোর জন্য খাবার খেত। কিন্তু যতই যুগ পাল্টিয়েছে মানুষের খাদ্যঅভ্যাসও ততই পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ খাবারের বিষয়ে অনেক শৌখিন হয়েছে। এখন আর শুধু জীবন বাঁচানোর জন্য কেউ খাবার খাই না। খাবার এখন মনের তৃপ্তি রুচি এসবের জন্য খাওয়া হয়। আর বাঙালি তো খাবারের বিষয়ে একেবারে অন্য একটা উদাহরণ। বাঙালির মতো খাদ্যরসিক জাতি খুব আছে। আজ আমার আলোচনার বিষয়ে একটা খাবার নিয়ে। চপ, সিঙ্গারা পিয়াজি, এগুলো অপছন্দ করে এমন লোকের সংখ্যা একেবারেই কম। সবাই কমবেশি এগুলো পছন্দ করে। তবে বলতে পারেন একটা বয়সের পর মানুষ স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এগুলো খুব একটা খাই না।
২০১৯ সালের শেষের দিকের কথা আমি তখন প্রথম সেমিষ্টারে। ডিসেম্বর মাস চলছে আমার সেমিষ্টার ফাইনাল চলছিল। আমার পরীক্ষা ছিল দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পযর্ন্ত। তো শীতের সময়ে ৫ টা মানেই সন্ধ্যা। এবং পরীক্ষার সময় সাধারণত আমি দুপুরে কিছু খেয়ে যেতাম না। সেজন্য পরীক্ষা শেষে প্রচণ্ড ক্ষুদা লাগত। পরীক্ষা শেষ করে আমরা চলে যেতাম কুষ্টিয়া লাহিনী বটতলা ওখান থেকে বাড়ি আসার বাস ধরতাম। ঐ সময়ে বাস বেশ লেট করতো। তো পরীক্ষা শেষে একদিন আমি এবং আমার বন্ধুরা লাহিনী বটতলা দাঁড়িয়ে আছি বাসের জন্য। দেখি পাশেই একটা দোকানে চপ, সিঙ্গারা, পিয়াজি, পুরি তৈরি করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে গেলাম যে বেশি না সবাই দুই টা করে সিঙ্গারা এবং পিয়াজি খাব। কিন্তু গিয়ে অন্য ঝামেলা হয়ে গেল। উনাদের সিঙ্গারা এবং পিয়াজি টা এতো সুস্বাদু ছিল যে আমাদের প্রত্যেকের দুইটা সিঙ্গারা পিয়াজির বাজেট গিয়ে দাঁড়ায় পাঁচ টাই হি হি। তারপর থেকে আমরা উনার চপ পিয়াজির ভক্ত।
তারপর আমরা যখনই ঐ পথ দিয়ে বাড়ি আসি তখনই ঐ দোকান থেকে চপ সিঙ্গারা খাই। সপ্তাহে প্রায় দুইদিন তো খাওয়া হয়েই থাকে। তো আজ আমাদের কলেজ ছুটি ছিল। কিন্তু এই সেমিষ্টারের ফর্ম ফিলাপ করার শেষ তারিখ আজকে। অন্যদিকে আমাদের কুমারখালী ফাস্ট ক্যাশ এর কোনো এজেন্ট নেই। সেজন্য আমি এবং আমার বন্ধু তুহিন ফর্ম ফিলাপের টাকা প্রদান করার জন্য গেছিলাম কুষ্টিয়া। খুব অল্প সময়ে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। এবং সকালে আমি কিছু খেয়ে গেছিলাম না। খুব খিদে পেয়ে গেছিল। সেজন্য আসার সময় আমি এবং আমার বন্ধু তুহিন গেলাম ঐ দোকানে। গিয়ে দুজন পিয়াজি এবং পুরি খেলাম। সত্যি আজও ভালোলাগা এতোটুকু কমেনি কারণ স্বাদ আগের মতোই আছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে কিন্তু এদের চপ সিঙ্গারার স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আসার সময় আমি কিছু ছবি তুলে নিয়ে এসেছিলাম। তাই ভাবলাম আজ এটা নিয়েই লিখব।।
শহর অঞ্চলের চেয়ে গ্রাম অঞ্চল বা মফস্বল অঞ্চলের মানুষ বেশি ভালো মানে ফ্রেশ খাবার খাই এটা আপনার মেনে নেওয়াই লাগবে। আমাদের দেশের প্রধান শহর বিশেষ করে ঢাকায় বিভিন্ন খাবার চলে তাদের নাম দর্শনদারী এবং কালারের জন্য। সেই খাবার কতটা সুস্বাদু সেই বিষয়ে আমার সন্দিহান আছে। আর শহরের মানুষগুলো বলা যায় ঐগুলো বাধ্য হয়েই খাচ্ছে। কুষ্টিয়া শহরের বেশ কিছু দোকানের ফাস্ট ফুড আমি খেয়েছি। সত্যি বলতে বেশির ভাগই একেবারে অখাদ্য। কিন্তু মানুষ
এগুলো বাধ্য হয়েই খেয়ে থাকে। ভালো ফ্রেশ খাবারের খুব অভাব। আজ এদের পিয়াজি খাওয়ার সময় আমি এটাই ভাবছিলাম। যে এইরকম একটা শহরে ভালো জিনিস খুবই বিরল। বলতে পারেন অতিরিক্ত বলছি। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি অনেক জায়গা খেয়েছি কিন্তু এদের মতো সুস্বাদু সিঙারা পিয়াজি কোথাও পাইনি। কুষ্টিয়া যারা থাকেন বাহ কুষ্টিয়া আসলে এদের চপ সিঙ্গারা পিয়াজি টা ট্রাই করে দেখতে পারেন।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | ডিসেম্বর ,২০২২ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ঠিক বলেছেন খাদ্যরসিক বাঙালি খাবারে ব্যাপারে অনেক বিলাসী।তবে হ্যা সিঙ্গারা পুরি তো আমাদের স্টুডেন্ট জন্য অমৃত ছিলো।আগে যখন ভার্সিটিতে পড়তাম তখন সব ফ্রেন্ড রা মিলে ক্যান্টিনে এগুলা দিয়েই আড্ডা জমে যেত।তা জানি না শহর কিংবা মফস্বলে খাবারের গুনগত মান কেমন।যাই হোক কুষ্টিয়া এই দোকানের খাবার বেশ ভালো লাগে যেহেতু আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েন😜।
সিংঙ্গারা খেতে যে এতো ভালো লাগে ৷ এটা ঠিক বলেছেন ভাই বাঙালি খাদ্য বিলাসী ৷ তবে ভাই এখ এখন যে অবস্থা তাতে আসলে বাইরের খাবার খেয়ে তৃপ্তি নেই বললেই চলে ৷
যা আপনার কিছু পুরনো কথা শুনে ভালো লাগলো ৷ তবে বর্তমান সময়ে আমি মনে করি বাইরে না খাওয়াই ভালো ৷ কিন্তু চাপে পড়ে ক্ষেতেই হয় ৷
সিঙ্গারা ও পিয়াজু আমার কাছেও খেতে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া। আমরাও আগে টিফিন টাইমে এক মামার দোকান থেকে সিঙ্গারা ও পরোটা কিনে আনতাম। আপনাদের বাজেট ছিল দুইটা করে পিয়াজু ও সিঙ্গারা এবং আপনারা পাঁচ টি করে খেয়েছে শুনে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে উনার দোকানের পিয়াজু ও সিঙ্গারার অনেক স্বাদ। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সিঙ্গারা পুরি আমার সর্বসময় সর্বকালেই পছন্দ। এটার জন্য এক্সট্রা কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না, খিদার প্রয়োজন হয় না। আমার খুবই পছন্দের খাবার সিঙ্গাড়া ,পুরি, সমুচা। ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলে সব কিছুর তুলনা হয় না। কিছু জিনিস নরমাল হলেও এদের স্বাদ কিন্তু তুলনাহীন হয়। স্কুল জীবনে এমন কোন দিন বাদ পড়েনি আমার যে সিঙ্গারা সমুচা খায়নি।
তোমার পোস্ট পড়লে আমার ভালো লাগে কারন মাঝে মাঝেই আমার কিছু পছন্দের জিনিস দেখতে পাই। পুড়ি, পেয়াজু এগুলো আমি ভীষণ পছন্দ করতাম পলিটেকনিক সময়ে। তবে এখন অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি।
যাক ভালো লাগলো তোমার পোস্টটি, আমার তো মনে হচ্ছে এখনি কয়েকটি খেয়ে আসি। 😄
এরকম গরম গরম সিঙ্গারা পেঁয়াজু দেখলে কি আর লোভ সামলানো যায়। এজন্যই তো আপনারা দুইটা খাওয়ার কথা চিন্তা করে গেলেও চার-পাঁচটা খেয়ে ফেলেছেন। আপনার মত আজকে আমরাও ডালপুরি খেয়েছি। তাছাড়া পিয়াজুর দোকানটি বাস স্ট্যান্ডের পাশে হওয়ার কারণে ভালো হয়েছে। বাস আসতে দেরি হলে এই ফাঁকে পিয়াজু খেয়ে নেয়া যায়। পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে একেবারে না খেয়ে যাওয়া ঠিক না। কিছু একটা খেয়ে যাওয়া উচিত। যাইহোক বেশ বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
একটা সময় মানুষ পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার খেত। আর এখন মুখরোচক সব খাবার গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। সত্যি ভাইয়া পরীক্ষা দিতে গেলে অনেক সময় না খেয়ে যেতে হয়। ফিরতে ফিরতে বেশ খিদা লেগে যায়। আর শীতকালে পরীক্ষা হলে বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। যাইহোক মাঝে মাঝে ক্ষুধা নিবারণের জন্য হলেও মুখরোচক সব খাবার গুলো খেতে ভালই লাগে। বিশেষ করে ছোট ছোট পিয়াজি, পুরি এসব খেতে ভালই লাগে।
ঠিক বলেছেন মানুষ আগে খাইতো বাঁচার জন্য কিন্তু এখন খাই রুচি ও সৌখিনতার জন্য।বাঙালি জাতির সকাল সকাল পিয়াজি এবং সিঙ্গারা ও বিকেল বেলায় ফুচকা না খেলে কি চলে।আপনি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনার অনেক অতীতের এবং বর্তমানের অনেক কথা শেয়ার করেছেন।পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া লাহিনী বটতলা নামটাই কত সুন্দর এবং আনকমন। এ জায়গার সিঙ্গারা, চপ,পিয়াজু যে ভাল সেটা আপনাদের প্রত্যেকের দুইটা সিঙ্গারা পিয়াজুর বাজেট গিয়ে যখন পাচঁটায় দাড়িয়েছে তখনই বুঝে গেছি, হি হি হি। এ গুলো লোভনীয় খাবার সবাই পছন্দ করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন চপ, সিঙ্গারা, পেঁয়াজি এগুলো খেতে অপছন্দ করে এরকম লোক খুবই কম রয়েছে। আমারও ভীষণ পছন্দ এই জিনিসগুলো। খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি একেবারেই পাগল এগুলো খাওয়ার জন্য। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। মনে হচ্ছে আপনি যেখানে এই খাবারগুলো খেয়ে থাকেন ওখানকার খাবার অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এরকম একটি পোস্ট সকলের মাঝে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।