# পথশিশুদের সংগ্রামী জীবন ( 10% beneficiaries for @shy-fox)
কেমন আছেন সবাই? @amarbanglablog সবার সুস্থতা কামনা করছি।আজ পথশিশুদের সংগ্রামী জীবন নিয়ে একটি সত্য আলাপচারিতা তুলে ধরব আজ।
সারাবিশ্বে অবহেলিত, নিপীড়িত, অসহায় বলা হয় পপথশিশুদের। যাদের জীবন হলো সংগ্রামে গাঁথা। জীবনের প্রতি মূহুর্তে যাদের যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। যারা নূন্যতম মৌলিক অধিকার গুলো থেকেও বঞ্চিত। আমাদের এই সমাজে খুব কম মানুষই আছে যারা তাদের নিয়ে ভাবে। এই শিশুদেত চোখে মুখে থাকে এই অসহায়ত্বের এক ছাপ যা আমাকে প্রচন্ড নাড়া দেয়। আমি সরাসরি পথশিশুদের সাথে মিশেছি তার কথা শুনেছি। তাদের মাঝে একজনের কথায় আজ তুলে ধরব আপনাদের সাথে।
Image source pixabay
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকাল বেলায় এক শিশু ফুল বিক্রি করার জন্য আমাদের কাছে আসল আপা একটা ফুল নেন আপা! মেয়েটির নাম ছিল তমা।
আমি - এই মেয়ে তোর নাম কি?
তমা- আপা আমার নাম তমা।
আমি- কি মিস্টি নাম তোর। তুই কিন্তু অনেক কিউট তমা!
তমা- আপা কিউট দিয়ে কি করুম দুই বেলা খাইতে পারি না।
আমি - এইভাবে বলিস না। শোন তোর বাসায় কে কে আছে? তুই কাজ করিস কেন? তুই তো অনেক ছোট।
তমা -আপা মা আছে বাসায় অসুস্থ
আমি-আর তোর বাবা কি করে?
তমা - একটু চুপ করে বলল আপা আমার বাবা কেডা জানিনা বলেই চোখে ছলছল করেছে।
আমি- আমরা সবাই চুপ হয়ে গেলাম। কি বলব ভেবে না পাচ্ছিনা। কারণ এর মা হয়তো এর মতো পথশিশু ছিল। রাস্তার হায়নারা তাকে ছিড়ে খেয়েছে বা জীবনের তাগিদে.......। তারপর বললাম তমা তুই পড়াশোনা করিস?
তমা-জ্বী আপা আমি পড়ি। হাইকোর্টের সামনে আমরা অনেক জন পড়ি। কয়ডা ভাইয়া আপা আমাগো পড়ায়।
আমি- বাহ! অনেক ভালো। তুই একদিন অনেক বড় হবি। বলতেই তমা বলে
তমা- হয় আপা আমি অনেক বড় হইবার চাই। আপনাগো মতো এখানটায় পড়বার চাই। আমার আম্মাকে ডাক্তার দেখাতে চাই।
আমি - কথা গুলো বলছে আর মুখে উচ্ছ্বাসের ছাপ, তার ইচ্ছাশক্তি দেখে আমরা বললাম তুই পারবি তমা পারবি। একদিন অনেক বড় হবি।
তমা- আপা ফুল নিবেন! দুপুর থেকে কিছু খাইনি।
আমি- দে সব কয়টা ফুল দে আমাকে। দাম শুনে ফুলের দাম দিলাম। বললাম চল আজ তোকে খাওয়াবো। তমা খুব খুশি।
তমা - আপা আম্মাও না খেয়ে আছে আমি গেলে রান্না করবে।
আমি - আজ রান্না করা লাগবেনা। তোর আম্মার জন্য ও খাবার নিয়ে যা।
তমা- আপা আপনারা অনেক ভালো। কিন্তু অনেকে আমাগো সাথে খারাপ ব্যবহার করে। রাগ দেখায়। বলে যা যা। আপা সত্যি তখন খুব কষ্ট পাই। এতো বড় যায়গায় পইড়া আমাগো সাথে এমন করে কেন?
আমি - আমি মনে মনে বলছি সবাই মানুষ হয়না, গরিবের দুঃখ সবাই বোঝেনা পারলে গরিবকে চুষে খাবে এরা। মন খারাপ করিস না তমা। সবাই এক না
তমা - হয় আপা আমাগো মন খারাপের কি দাম আছে তয় কিছু মনে করিনা।
আমি - আচ্ছা আজ যা অন্যদিন দেখা হবে সেদিন ও ফুল দিস আমায়। আচ্ছা শোন তুই কখন পড়তে যাস?
তমা - আপা সন্ধ্যায়। এখন ওইখানেই যামু।দেরি হইল আপা। থাকেন।
আমি- বুঝলাম আজ ও খুব খুশি। পরের দিন সন্ধ্যা আমি হাইকোর্টের সামনে গেলাম ও আমাকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বলছে আপা আপনে আইছেন।
তারপর থেক সময় পেলেই ওদের পড়াতে যাই।
এই জায়গাটি সবচেয়ে বেদনাদায়ক ছিল।
বর্তমানে এই রকম কিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রাণ পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করতেছেন। আমাদের উচিত সকলে একত্রিত হয়ে এইসব স্বেচ্ছাসেবীদেরকে সাহায্য করা। তাহলে তারা এই রকম আরো অনেক পথ শিশুদের কে নিয়ে কাজ করতে পারবেন
হা ভাইয়া
আপনি ঠিক বলছেন। আমাদের এগিয়ে আসা উচিত
আমাদের সকলের পথ শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।তাদের জন্য কিছু এক্সট্রা জাতীয় সাপোর্ট প্রয়োজন।আমরা বুঝতে পারিনা পথশিশুরা কত কষ্ট থাকে।শীত কালে যদি একদিন কম্বল ছাড়া ঘুমাতাম তাহলে পথ শিশুদের কষ্ট বুঝতে পারতাম😭
শীত কালের দূর্ভোগের চরম পর্যায়ে পৌঁছে। আমাদের সামান্য সহযোগিতায় তারা সুন্দর জীবন পেতে পারে।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য
😍🥰
পথশিশুদের নিয়ে চরম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। আমাদের সুশীল সমাজের লোকজন তাদের মানুষ হিসেবে গণ্য করতে চায় না।ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
শুধু সুশীল সমাজ না এর বাহিরেও আমাদের মতো অনেক আছে যারা তাদের নর্দমার কীট মনে করে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যর জন্য।
{জ্বী আপা আমি পড়ি। হাইকোর্টের সামনে আমরা অনেক জন পড়ি। কয়ডা ভাইয়া আপা আমাগো পড়ায়}
খুব ইচ্ছে করে এই সকল মানুষের পাশে গিয়ে দশ মিনিট বসি, তাদের দুঃখ যাদের রিদয়ে গিয়ে হানে তারাই মানুষ
চাইলে আপনার আশে পাশে যারা আছে পড়াতে পারেন ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
এই গল্পটি শুধুমাত্র একা তমার না। আমাদের সমাজে এরকম হাজার হাজার তমা রয়েছে, যারা এরকম চরম বাস্তবতার শিকার। যখন সুযোগ পাবেন একটু পাশে দাঁড়াবেন। দেখুন এই সহযোগিতাগুলো কখনও বিফলে যায় না, উপর ওয়ালা অনেক গুন ফিরিয়ে দেন।
আপনার পোস্টটি ভালো লাগলে।
শুভ কামনা অবিরাম 💚
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার অনূভুতি প্রকাশ করার জন্য। আসলেই অনেক ভালো লাগে।
বর্তমানে হাজার হাজার বাচ্চারা এখন ও অবহেলিত।যেটি খুবই বেদনা ও দুঃখজনক।কিন্তু আপসোস আমরা সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারি না, কিন্তু যাদের ক্ষমতা আছে তারা দেখে ও দেখতে চায় না।ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ আপু।
আমাদের সকলের উচিত পথ শিশুর প্রতি সদয় হওয়া, তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করা, আপনার পোষ্ট টা পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ আপনাকে।পোস্টটি পড়ার জন্য
আপনার এই কাজটির জন্য আপনার প্রশংসা করে আপনাকে ছোট করতে চাই না। আমাদের সবার উচিত আমাদের সাধ্যমত তাদের জন্য কিছু করা। পুরো কথোপকথনটি পড়ছিলাম আর খুব কষ্ট লাগছিল। কিছু হৃদয়ের মানুষ রয়েছে তারা এসব পথশিশুদেরকে পড়ায়। তাদের মঙ্গল হোক।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে