গল্প পোস্ট: টাটকা প্রেম কাহিনী
হাই বন্ধুরা!
আমার গল্পের রাজ্যে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগতম। পূর্বসপ্তার ন্যায় আজকে উপস্থিত হয়ে গেলাম সুন্দর একটি গল্প নিয়ে। যে গল্পের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আমার জীবনে কোন একটা লুকিয়ে থাকা ঘটনা। একজনের জানা ঘটনা অন্য জনের মাঝে ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয় অজানা তথ্য। ঠিক তেমনি সুন্দর একটি গল্প নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আজ। আশা করি স্মৃতিচারণ মূলক এই গল্প আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। তাই চলুন আর দেরি না করে গল্পটা পড়ি এবং গল্প পড়ার আনন্দ উপভোগ করি।
Infinix Hot 11s
আমরা প্রায় সময় বিভিন্ন রকমের গল্প শুনে থাকি। কিছু কিছু গল্প খুবই আনন্দের হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ছিল এই ঘটনাটা। আমাদের ফ্রেন্ড সোহেল। তার মামা বিবাহ করেছেন। সোহেলের মামুনিরা দুই বোন। সোহেলের মামনি বড়। কিন্তু মামুনের বয়সটা সোহেলের সমবয়সী। মামুনির ছোট বোনটার বয়স সোহেলের থেকে দুই তিন বছর ছোট হবে। তখন ২০১০-১২ সাল, আমরা ইন্টারে পড়তাম। ঘটনাটা ওই সময়ের। গ্রামের মানুষের হাতে হাতে তখন বাটন আলা মোবাইল। সবে মাত্র মানুষের শুনতে শিখেছে এন্ড্রয়েড নামের মোবাইল আসবে। যার কাজ ব্যাপক ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন গ্রামে কিছু কিছু মানুষের হাতে নরমাল টাচস্ক্রিন মোবাইল দেখা যেত। অনেকে বাটন আলা মোবাইল অতিক্রম করে স্কিন টাচ মোবাইলের আসক্ত এবং কেনা ব্যবহার করা প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি হচ্ছে। যাই হোক, বড় বোনের যেহেতু বিয়েতে হয়ে গেছে। তাই সোহেলের মামুনির ছোট বোন বাড়িতে একলা প্রেম করার সুযোগ পেয়ে গেছে। বুঝতে পারছেন নাইন টেনে পড়া শিক্ষার্থী। মনের মধ্যে প্রেমের আবেগ সৃষ্টি হয়েছে। বড় বোন থাকলে ধরা বাধা, চোখের লজ্জা একটা ঝামেলা ছিল। কিন্তু এখন বড় বোন বিয়ে হয়ে বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে। ছোট বোনটা কিভাবে কোন একটা ছেলের সাথে লাইন করে বসেছে। বাড়িতে ব্যবহার করা মোবাইলটা দিয়ে প্রেমিকের সাথে কথা বলবো। এমন একটা সময় বিষয়টা জানাজানি হয়ে যায়। তাই বাড়ি থেকে পিতা-মাতা মোবাইল তার হাতে আর দিত না। এদিকে প্রেম ভালোবাসার বিষয় বলে কথা। ছেলেটা যেমন কথা না বলে থাকতে পারে না মেয়েটাও ঠিক তেমন। প্রেমিক কোনরকম কষ্ট করে ১৩০০ টাকা দিয়ে একটি নকিয়া মোবাইল কিনে দিয়েছিল। মোবাইলটার খবর বাড়ির কেউ জানে না। মোবাইলটা সাইলেন্ট করে রাখত মেয়েটা।
বাবা-মা মনে করছিল বড় মেয়েটা যেমন বিয়ে হয়ে গেছে, ছোট মেয়েটা ঠিক সেভাবে মান-সম্মানের সাথে নিজেরা বিয়ে দিয়ে দিবে। মোবাইলটা যখন নিজেদের কাছে নিয়ে নিয়েছে তখন তারা নিশ্চিত হয়ে গেছে মেয়ে আর বাইরে মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেনা, প্রেম ভালোবাসা থাকবে না। কিন্তু এদিকে প্রেমিক যে তার মোবাইল দিয়েছে, সেটা তার পিতা মাতার জানা ছিল না। সে যখন তখন প্রেমিকের সাথে মোবাইলে কথা বলত। প্রেমের চূড়ান্ত পর্যায় সৃষ্টি হয়ে গেছে। পালিয়ে যাবে এমন সাহস সেই মেয়েটা নেই। আবার ছেলেটার সাহস নেই মেয়েটাকে পালিয়ে নিয়েন বিয়ে করে ফেলবে। কিন্তু দুইজনার মনের মধ্যে সেই রকম ভালোবাসার টান আবেগ। ছেলেটার সুযোগ বুঝে ফ্লাক্সি করে দেয় আবার নিজে থেকে মোবাইলে ফোন দেয়। তারা তাদের সুবিধামতো দিনে রাতে যখন তখন কথা বলে।
মেয়েটার বাবা মা জানে না তার হাতে মোবাইল আছে কিনা। কিন্তু মেয়েটার বান্ধবী ভাবি জাতিও কিছু মানুষ ইতোমধ্যে জেনে গেছে। মেয়েটা কোনরকম সকলের নজর কাটিয়ে প্রেমিকের সাথে কথা বলে। প্রেমিকা ছাড়া থাকতে পারে না। এদিকে দুলাভাই টা অর্থাৎ সোহেলের মামা ছোট শালীকে অনেকটা স্নেহের দৃষ্টিতে দেখে এবং আবদার রাখে। তাই সে ভেবেছিল দুলাভাইয়ের মাধ্যমে কিভাবে বিয়ে করা যায় অথবা তাদের সম্পর্ক ভালো পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। বেশ কয়েকবার সোহেলের নানী বাড়িতে মেয়েটা এসেছে থেকেছে এবং প্রেমিকের সাথে কথা বলেছে। একটা সময় বিষয়টা সোহেল জানতে পারে। সম্পর্কে সোহেল তার ভাগনা হচ্ছে। কিছু কিছু কথা সোহেলের সাথে মেয়েটা শেয়ার করত। এমনকি মাঝেমধ্যে মেয়েটা সোহেলকে আশ্বাস দিয়েছিল সে যদি তাদের ভালোবাসায় সহযোগিতা করে তাহলে তাদের বান্ধবীদের মধ্যে মানান মেয়ের সাথে সোহেলের প্রেমের ব্যবস্থা করে দিবে। সোহেল দেখল এমন খালা যদি সহযোগিতা করে সেও ভালো একটা মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারবে। হাই স্কুল ছেড়ে যেহেতু কলেজে চলে এসেছে সোহেল, কিন্তু নজর হয়ে গেছে হাই স্কুলের কম বয়সী মেয়েদের দিকে। আর এটাই তার অন্যতম সুযোগ।
বাড়ি থেকে সোহেলের নানিবাড়ি বেশি দূরে নয়। মেয়েটা যখন দুলাভাইদের বাড়িতে বেড়াতে আসতো তখন সোহেলদের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানা তো মামা আমি তোমার নানির বাড়িতে বেড়াতে আসছি। মেয়েটা চাইতো সহযোগিতা পাওয়ার। সোহেল চিন্তা করত মামুনির বোন অর্থাৎ খালা যদি আসে তাহলে মানান কোন মেয়ের সাথে প্রেমের সন্ধান করতে পারবে। যাইহোক মেয়েটার প্রেম এতটা ফুটে উঠেছিল যে বাবার বাড়ি বসে প্রেমিকের সাথে কথা বলার চেয়ে বোনের বাড়িতে এসে কথা বলাটা সুবিধা হতো বেশি। প্রেমিক নাকি সুযোগ করে এই গ্রামে এসে দেখা করার সুযোগ পেত। যাইহোক এমন একটা দিন মেয়েটা তার প্রেমিকের সাথে কথা বলছে। প্রেম করলে এত কথা কোথা থেকে আসে সোহেল নিজেও জানত না। সোহেল নানি বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মেয়েটা কোন একটা বিষয় সোহেলকে জানাবে। এদিকে সে ভাবতে থাকলো হয়তো খালাটা তার প্রেম ভালোবাসার কোন কিছু বলতে পারে। ওদিকে মামুনির বোন অর্থাৎ খালাটা শুইতে বসতে উঠতে টয়লেটে যেতে মোবাইলে শুধু কথাই বলে। বিষয়টা তার বোন দেখলেও আর ধরা বাধা করে না। কারণ সে পরের ঘরে এসেছে বোনকে শাসন করলে লোকে উল্টাপাল্টা ভেবে বসবে। এদিকে দুলাভাই শালিকার সহযোগী। তাই শালিকার জন্য উপযুক্ত একটা স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুলাভাইয়ের বাড়ি।
সোহেল বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মেয়েটা তার প্রেমিকার সাথে কথা বলতে বলতে বদনা হাতে টয়লেটে ঢুকে পড়ল। কিন্তু মোবাইল কান থেকে নামানো কোন চিন্তা নেই। কি এত কথা জেনো টয়লেটে গিয়েও বলতে হবে। সোহেলকে আশ্বাস দিয়েছিল টয়লেট থেকে ফিরে এসে একটি মেয়ের সাথে ওই মোবাইলে কথা বলিয়ে দিবে। সেই আশায় সোহেলও আশায় রয়ে গেছে। কিন্তু মেয়েটা টয়লেটে গিয়ে যেন বের হয়ে আসছে না। আগেকার টয়লেট। বুঝতে পারছেন উপরে সিমেন্টের তৈরি করা স্লাব, আর তার নিচে সরাসরি রিং। গ্রামীণ টয়লেট গুলো যে রকম হয়। কিন্তু মেয়েটা টয়লেটে গিয়ে কি গল্পে মেতে উঠেছে নাকি ঘুমিয়ে গেছে প্রায় আধা ঘন্টা হয়ে গেল। এদিকে সোহেল অপেক্ষা করছে কখন খালা টয়লেট থেকে বের হয়ে এসে অচেনা একটি মেয়ের সাথে কথা বলিয়ে দিবে।(বাকি অংশ আগামী পর্বে)
গল্পটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি | ফ্রেন্ডস |
---|---|
বিষয় | রোমান্টিক প্রেমের গল্প |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
ঘটনার লোকেশন | জুগীরগোফা |
ব্লগার | Sumon |
ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
02-03-25