নানা ভাইকে খুব সুন্দর করে বোঝালো আজকে রাত থেকে কালকে বিকেলে রেখে আসবো। কিন্তু কিছুতেই ভাই সেই কথা শুনল না। অতঃপর সিদ্ধান্ত হলো বিকেলে নানা আমাদের রেখে আসবে। খাওয়া দাওয়া করে আবার বের হলাম। নানা মাঠের মধ্যে কচুর খেত, পাটের খেত এভাবে অতিক্রম করতে করতে এক এক মাঠ দিয়ে আসা শুরু করল। আমার নানাদের গ্রামের নাম সিন্দুর কোটা, এরপর কামারখালী
@kibreay001 এদের বাসা। এরপর আমাদের পাশের গ্রাম শহরবাড়িয়া। ঠিক এই গ্রামের মাঠ, যেখানে আপনাদের প্রিয়
@fatema001 এদের বাড়ি। ফাতেমাদের বাড়ির কাছে এসে নানা আমাদের দুই ভাইকে ছেড়ে দিল। আর দেখিয়ে দিল ওই যে তালতলা দেখা যাচ্ছে সোজা হাঁটতে হাঁটতে চলে যা। আর ওখান থেকেই বটগাছ সোজা চলে যাবি। আর বট গাছের পরে কিন্তু আমাদের পরিচিত জায়গা। ভাই কিন্তু সব চিনতে পারছে, আমি কিছুই চিনতে পারছি না। কারণ আমি ছোট, এদিকে পাটের জমিতে পাট থাকায় গাছের মধ্যে থেকে বেশি একটা দেখতে পাচ্ছি না। আমি বেশ ভয় পেলাম। নানাকে বললাম নানা আপনি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন, যতক্ষণ না তাল গাছে পর্যন্ত যাব। নানা খুবই রেগে গেল। বলল এতটা পথ নিয়ে আসছি আবার এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। অর্থাৎ নানা রাগ হয়েছে আমাদের নিয়ে গেছে হাঁটাতে হাঁটাতে আবার যদি কিছুক্ষণ পর এভাবে দীর্ঘ পথ আসতে হয়। তখন ভাই বলল আমি দেখতে পেরেছি। তখন আমি আর কি করার ভাইয়ের পিছু পিছু হাঁটা শুরু করলাম। চলে আসলাম রাস্তার তালতলায়। কিন্তু তালতলা তো আমার পরিচিত নয়। রাস্তা থেকে তাকিয়ে দেখলাম দূরে যেখানে নানা ছিল, সেখানে নানার কোন চিহ্ন নাই। আমার বেশ ভয় করতে লাগলো। এরপর ভায়ের পিছনে পিছনে হাঁটতে হাঁটতে এ বট গাছের কাছে এসে পৌছালাম। এই বটগাছের কাছে এর আগে এসেছি কয়েকবার,মাছ ধরার জন্য। তাই এই বটগাছ আমার পরিচিত ছিল। বট গাছের কাছে উপস্থিত হয়ে নিশ্চিত হলাম। কারণ বট গাছ থেকে আমাদের গ্রামের হাই স্কুল দেখা যাচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমার আব্বা সাইকেলে চড়ে বাদিয়াপাড়া দরবার শরীফে যাচ্ছে। আব্বাকে দেখার পর জানে আমার শান্তি আসলো। আর এভাবেই বাড়ি পৌঁছে গেলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে। যেখানে আপনাদের দুই ভাইয়ের অতীতের ঘটনা জানতে পারলাম। আজকে হয়তো এ ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার না করলে আমি জানতে পারতাম না। যাইহোক আপনাদের জীবনের একটি ঘটনা তো জানতে পারলাম।
জানানোর জন্যই তো পোস্ট করেছি
আপনার নানার পাশে যে সিন্দুর কোটা গ্রামে এটা আমি আগে জানতাম না। তবে আপনার বড় ভাই সত্যিই ভীষণ জেদি আপনার গল্প করে বুঝলাম। উনি জেদ না করলে হয়তো বা যাওয়া হতো না আর এরকম একটি ঘটনা ঘটতো না। যাইহোক আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আপনার নানা বাড়ি থেকে আপনাদের বাড়ির রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে আবার আমাদের বাড়ির পাশের নামটাও বলেছেন দেখছি।
হ্যাঁ তোমাদের বাড়ির ঐ স্থানে এসে আমরা মাঠের নামলাম, এরপর সোজাসুজি তালতলা।
আজকে তোমার এই পোস্টটি পড়ে সেই ছোটবেলায় নানি বাড়িতে যাওয়ার মধুর স্মৃতিগুলো চোখের সামনে পরিষ্কারভাবে ভেসে উঠলো। আসলে আমরা আজও আমাদের সেই অতি আপনজন নানা ও নানীকে অত্যন্ত মিস করি। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের প্রিয় নানা ও নানীকে যেন সম্মানের সাথে জান্নাত নসিব দান করেন, আমিন।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
কৃষি পরিবারের সবসময়ই কাজ থাকে। আপনার নানা আপনাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে আপনার বড় ভাই তার সাথে যার জন্য জিদ ধরে। আর তাই আপনিসহ আপনার নানা বাড়িতে যান। আবার বিকেল না হতে হতেই আপনার বড় ভাই বাড়িতে আসার জন্য কান্না করে। তবে আপনার নানা ফাতেমা দের বাড়ি পর্যন্ত আপনাদেরকে পৌঁছে দিয়ে পথ দেখিয়ে দিয়েছিল ।আর আপনারা ঠিকঠাক ভাবে বাড়ি চলে আসতে পেরেছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ছোটবেলার এরকম সুন্দর একটি স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ টানে টানে পৌঁছে গেছিলাম
ভাইয়া, আপনার পোষ্টে ভেটুল গাছের নাম নতুন জানলাম হয়তো আমরা অন্য নামে চিনি।আর ছোটবেলায় মামাবাড়ি যাওয়ার মজাই আলাদা।আপনার নানা কাঁধে কাঁঠাল দেখে আপনারা চলে গিয়েছিলেন পিছু পিছু এটা আসলেই অনেক ঝুঁকি ছিল।যাইহোক আবার বাড়িও ফিরে এসেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
কোন একদিন সামনে পেলে আপনাকে সেই গাছ আর তার ফল দেখাবো
হি হি,সেটা কখনো সম্ভব নয়।
আপনার পোস্ট টি পড়ে খুব ভালো লাগলো হাসি পেলো এটা জেনে যে আপনার বড়ো ভাই নানা বাড়িতে জেদ করে গেলো এবং তখনি আবার বাড়িতে আসার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।আসলে এটাই ছোটবেলা যখন যা মনে পড়ে তাই করতে হবে।নানার তো রাগ হওয়ারি কথা মাত্র এতোটা পথ হেটে এসেছে আবার যেতে হবে। শেষমেশ বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ মাঝে মাঝে এসে এমনটাই হয়ে যেত