আল্লাহ তুই জান নিয়ে নে কিন্তু টাকা দিয়া দে এক বস্তা।বাস্তবিক গল্প| শেষ পর্ব।
আসসালামুআলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
পোষ্টের ভেরিয়েশন ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
আল্লাহ তুই জান নিয়ে নে কিন্তু টাকা দিয়া দে এক বস্তা। |
---|
এই কথাটার অর্থ অনেকে হয়তো বুঝেছেন। তারপরও আমি সহজে একটু বলি এ কথার মানে সে বুঝাতে চেয়েছে তার জানের চাইতে টাকার বেশি প্রয়োজন। সেজন্যই সে এই কথাটা ভরা মজলিসেও বলত।জীবন থেকে তার কাছে টাকা বড় সেটা এই কথার মাধ্যমেই উদাহরণ দিত।
যাইহোক জসিম ভাইয়ের কাছ থেকে ডায়লগটা শুনে পুরো গ্রাম জুড়ে এই রকম একটি ডায়লগ এর প্রচলন হয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে পুরো গ্রামে যে কেউ দুষ্টামি করে ডায়লগটি বলতো। এক কথায় পুরো গ্রামে এ ডায়ালগটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
যাক তারপর জসিম ভাইয়ের ছুটি শেষ হয়ে গেল তখন তিনি আবার পুনরায় চলে গেল বিদেশে। একদিন হঠাৎ যখন দোকানের দিকে গেলাম নাস্তা করার জন্য। তখন শুনতে পাই জসিম ভাই নাকি মারা গেছে। তখন প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছি না যে উনি তো বিদেশ কিভাবে মারা গেল। পরে বিস্তারিত জানতে পারি তিনি বিদেশে রোড এক্সিডেন্টে মারা যান এবং খুব শীঘ্রই তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।
যাক সাতদিন পরে তার মরা দেহ আমাদের বাড়ির সামনে দিয়েই নিয়ে গেছে। তার মরা দেহ দাফন করা শেষে শুনতে পাই সে নাকি বিদেশ থেকে খুব বড় অ্যামাউন্ট এর টাকা পাবে। কারণ যে কোম্পানির আন্ডারে ছিল সে কোম্পানির থেকে এবং তার ইন্সুরেন্স করা ছিল সেখান থেকে এবং যে গাড়িটি এক্সিডেন্ট করে মেরেছিল সেই গাড়ির কোম্পানির থেকে।
পরে সব মিলিয়ে ২৭ লক্ষ টাকা পেল। তখন সবাই বলাবলি করছিল সে সব সময় একটি কথা বলতো বিধাতার কাছে, হোক সেটা মজা করে। আর সেটি হল আল্লাহ তুই জান নিয়ে নে কিন্তু টাকা দিয়ে দে এক বস্তা।কিন্তু বিধাতা যে তার কথা একসেপ্ট করে নিয়েছে সেটাইতো কেউ জানতো না।
জসিম ভাইয়ের পুরো ফ্যামিলি ঠিকই এক বস্তা টাকা পেয়েছে। কিন্তু তার জানটা তো আর ফিরে পেল না।তো বন্ধুরা এই ছিল ছোট্ট পরিবেশে জসিম ভাইয়ের গল্প। আর সেটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। তবে একটা বিষয় হলো সে যে কথা বলেছে বিধাতা হয়তো তার কথাটা কবুল করে ফেলেছে। সেজন্য এমন কোন কথা বলা উচিত না, যেটা ঘটে গেলে অন্য সময় ভাবতেও কষ্ট লাগবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের বাস্তবমুখী একটি গল্প। আশা করছি আপনারা পুরো গল্পটি পড়ে উপভোগ করেছেন। আজকে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানে বিদায় নিচ্ছি।আর যারা কষ্ট করে এই গল্পটি পড়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | গল্প |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভালো লাগে যখন দেখি আমার পোস্টটি সাপোর্ট করেছেন। ধন্যবাদ সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1626403674015817728?s=20
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় আমার পোস্টটি সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
গল্পটা যদিও মুখে শুনেছিলাম কিন্তু আজকে পুরো লেখাটা পড়ে বুঝতে পারলাম। গল্পটা আমি অনেক আগেই শুনেছি। আর এটা সত্যিই এভাবে কখনো কোন কথা বলতে হয় না। কারণ কখন আল্লাহ তা'আলা কথাগুলো কবুল করে নেয় সেটা কেউই জানে না। খুব সুন্দর করে বাস্তবিক গল্পটি উপস্থাপন করেছেন।
তুমি তো এই গল্পটি শুনেছো সেই হিসেবে চমৎকার একটি মন্তব্য করেছ।
একদম ঠিক আগে গল্পটি শুনেছি সে কারণে ভালো লাগলো ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনার আগের পর্ব যেহেতু পড়া হয়নি তাই সেখানে কি লিখেছিলেন কোন আইডিয়া করতে পারছি না। তবে এই পর্বে যতটা বুঝতে পারলাম যে জসিম নামে একজন ব্যক্তি ফাজলামো করে বলেছিল যে জান নিয়ে নে তবে তার বদলে এক বস্তা টাকা দিয়ে দে। তবে এই ঘটনাটা বাস্তবে ঘটে গেলেও আসলেই কি কোন লাভ হয়েছে.. জসিমের মা-বাবা তার সন্তানকে হারালো, জসিমও তার জীবন হারিয়ে ফেলল কিন্তু তার বদলে পেলো ২৭ লক্ষ টাকা। টাকা সারভাইভ করার জন্য খুবই প্রয়োজন, তবে সেটা মানুষের জীবনের বিনিময়ে অবশ্যই না।
একদম ঠিক ভাই জসিমের মা-বাবা তার সন্তানকে হারালো, জসিমও তার জীবন হারিয়ে ফেলল কিন্তু তার বদলে পেলো ২৭ লক্ষ টাকা। টাকা সারভাইভ করার জন্য খুবই প্রয়োজন, তবে সেটা মানুষের জীবনের বিনিময়ে অবশ্যই না।
প্রথমে একটুও হেসে নিলাম কারণ গ্রামে কিছু একটা কেউ একজন বললে সেটা খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যায়। পরে যখন পুরো পড়া পড়লাম তখন বুকের মধ্যে একটা চিনচিন ব্যাথা অনুভব করেছি। কারণ আল্লাহ এমন মানুষকে খুব সহজে নিয়ে যায় যারা খুব বেশি কষ্টে থাকেন। আপনি ঠিক বলছেন জসিম ভাইয়ের পরিবার এক বস্তা টাকা পেয়েছেন ঠিক আছে কিন্তু তিনি বেঁচে নেই তার শূন্যতা কিন্তু সব সময় রয়ে যাবে। হয়তো তার এই ডাইলগ সৃষ্টি কর্তা এক্সেপ্ট করেছিলেন তাই তার মৃত্যুর বদলে ২৭ লক্ষ টাকা পেয়ে গেল পরিবার। আল্লাহ জসিম ভাইকে পরপারে ভাল রাখুক আমিন।
জি আপু আল্লাহ এমন মানুষকে খুব সহজে নিয়ে যায় যারা খুব বেশি কষ্টে থাকেন।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আসলে কত রকমের ঘটনা আমাদের চারিপাশে মানুষের জানা রয়েছে। হয়তো আপনি যেটা জানেন সেটা আমি জানিনা আবার আমি যেই ঘটনা বা কাহিনী জানে সেটা আপনি জানেন না। আর এভাবে আপনার জানা ঘটনাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন তাই আমিও নতুন কিছু জানতে পারলাম। হয়তো কিছুটা হাসি আনন্দের মনে হয়েছিল পরে যখন জানতে পারলাম জসিম নেই তখন যেন কিছু একটা মনে কষ্ট অনুভব করলাম। আর ঘটনা এমনই হয়ে থাকে। গল্পটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সব সময় আমার পোস্ট সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।।