হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে যখন ঘুম থেকে উঠলাম তখন দেখতে পেলাম আবহাওয়া অনেক ভালো ।চারিদিকে কুয়াশা নেই অনেক সুন্দর সূর্য উঠেছে ।তখন অনেক ভালো লাগলো ,হঠাৎ ফোন এলো আম্মু আমাদের বাসায় বেড়াতে আসবে। এ কথা শুনে আমি তো অনেক খুশি অনেকদিন পর আম্মু আমাদের বাসায় বেড়াতে আসবে ।আম্মু বলল তোমাকে একটা বাক্স কিনে দিবো ।সেজন্য তোমাদের বাসায় যাব। আমাদের রুমে যেই বাক্সটা আছে সেই বাক্সটা কাঠের সেজন্য তেমন আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা হয় না। বাক্সটা পোকায় খেয়ে প্রায় ভেঙ্গে গিয়েছে। অনেকদিন আগে আম্মু আমাদের বাসায় এসে বাক্সটা দেখেছিল সেজন্য হয়তো মা ভেবেছে আমাকে একটা বাক্স কিনে দিবে ।শীত প্রায় চলে যাচ্ছে গরম আসার আগেই বাক্স কিনে দিলে শীতের প্রয়োজনীয় জিনিস বাক্সের ভিতর রাখা হবে সেজন্য আম্মুও হয়তো একটু তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাক্স কেনার জন্য। যখন জানতে পারলাম আম্মু আমাদের বাসায় আসবে তখন ভাবলাম কি রান্না করা যায়। ফ্রিজে দেখলাম মাংস আছে তখন আমি ভাবলাম আমি মাংস ,ডাল ,মাছ ও মাছের ডিম ভাজবো এগুলো রান্না করলেই হবে।

Source
এগুলো রান্না করতে একটু সময়ের প্রয়োজন তাই ভাবলাম আমি আমার ছেলে মাহাদিকে সকাল সকাল ঘুম পাড়িয়ে দিব। ঘুমিয়ে থাকলে রান্না করতে অনেক সুবিধা হবে। তা না হলে রান্না করতে গেলে অনেক জ্বালাতন করে রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে খেলা করতে শুরু করে দেয় ।সেজন্য অনেক ঝামেলা হয় আম্মু আসবে বলে কথা রান্নাটা একটু স্পেশাল ভাবে রান্না করতে হবে ।এসব কথা ভেবে আমি ফ্রিজ থেকে মাংস ও মাছ বের করে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিলাম ।আর মাহাদিকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম মাহাতি যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন আমি প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে রান্না করতে চলে গেলাম ।রান্না করতে গেলে সাথে আরেকজন থাকলে ভালো হয় রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিস একটু গুছিয়ে দিলে রান্নাটা খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ হয়ে যায় ।কিছু করার নেই আমি ছাড়া আর কেউ নেই আমাকে সাহায্য করার জন্য ।তাই একাই রান্না করতে বসে পড়লাম ।মাহাদি অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল বলে রান্না করতে তেমন একটা সমস্যা হয়নি ।আম্মু বাক্স কিনে আনছিল বলে আম্মুর অনেক দেরি হয়েছিল ।আম্মু বাক্স কিনার আগে পিঠা বানিয়ে ছিল আম্মু আমাদের বাসায় শীত মৌসুমে আসলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে নিয়ে আসে। আম্মু দুধে ভেজানো চিতই পিঠা বানিয়ে আনছিল। চিত্রই পিঠা বানানোর পর বাজারে যে বাক্স কিনে আনতে গিয়ে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল ।আমাদের বাসায় প্রায় দুইটার দিক এসে পৌঁছেছিল ।এসে আম্মু খাওয়া দাওয়া করার পর সিদ্ধান্ত নিল বাসায় চলে যাবে ।আসছিল দুইটার দিকে সেজন্য আমি আম্মুকে আর বাসায় যেতে দিলাম না। বললাম আজকে রাতটা আমাদের বাসায় থাকো সকালে উঠে যেও। আম্মু আম্মু থাকতে চাচ্ছিল না খুব জোর করার পর থাকতে চাইলো ।তখন আমার অনেক ভালো লাগছিল কেননা নিজের কাছের লোক যদি এসে বাসায় থাকে তাহলে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়।

Source
আম্মু রাত্রে আমাদের বাসায় ছিল বলে আম্মুর সাথে অনেক গল্প করা হলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নেওয়ার পর ভাবলাম একটু সকালে মিষ্টি খাবার করি। আম্মু আমাকে মিষ্টি খাবার করতে দিতে চাইছিল না ।আমি বললাম না আম্মু অল্প একটু করব ।তখন আমি সেমাই রান্না করার পর অল্প পরিমাণ কিছু পরোটা বানানোর জন্য ময়দার প্রস্তুত করে নিলাম ।সেমাইয়ের সঙ্গে গরম গরম পরোটা খেতে আমার আম্মু অনেক পছন্দ করে ।সেজন্য আমি সকালে উঠেই সিদ্ধান্ত নিলাম মিষ্টি খাবার করব। যখন পরোটা ভাজছিলাম তখন আমার ছেলে মাহাদি অনেক বিরক্ত করছিল। তাই মাহাদীর সাথে কথা বলতে গিয়ে কখন যে জামায় আগুন লেগে গিয়েছে এটা আমি খেয়াল করতে পারিনি । আমি মাটির চুলায় রান্না করছিলাম সেজন্য একটু আগুনের তাপ বেশি ছিল ।অনেকক্ষণ রান্না করার পর আগুনের তাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে জামা হালকা একটু আগুনের কাছে যেতেই হয়তো জামাই আগুন লেগে গিয়েছিল। মাহাদির সাথে কথা বলার পর দেখতে পেলাম আগুন লেগে গিয়েছে ।তখন আমার মুখে আর কোন কথা নেই তখন আমি চিল্লাতে শুরু করে দিয়েছি। তখন মাহাদীর আব্বু এসে খুব তাড়াতাড়ি হাত দিয়ে জামা চেপে ধরে এবং আগুন নেভাতে শুরু করে দেয়। আগুন নেভাতে গিয়ে মহাদির আব্বু হাত অনেকটাই পড়ে গিয়েছিল ।আমি নিজেও বুঝতে পারছিলাম না যে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে আগুন নেভানো সম্ভব হলো।মাহাদির আব্বু পাশে না থাকলে হয়তো আমার সব জামায় পড়ে যেত। সেজন্য রান্না করতে গেলে একটু খেয়াল করে রান্না করাই ভালো। বিপদ মানুষের কখনো বলে কয়ে আসেনা ।কখন যে বিপদ আসে সেটা কেউ কল্পনাই করতে পারে না ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | গল্প |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।


আপু সত্যি বিপদ কারো বলে কয়ে আসে না। আপনার আম্মুর সাথে সুন্দর কিছু অনুভূতি কথাগুলো পড়ছিলাম। আর যখন শেষের দিকে আসলাম তখন চমকে গেলাম। আল্লাহর রহমতে ভাইয়া বাসায় থাকাতে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। ভাইয়ার হাত পুড়ে গেছে শুনে খারাপ লাগছে। যদিও বিপদ কারো বলে কয়ে আসেনা তারপরও সাবধানে থাকবেন আপু।
আসলে রান্নাবান্না করতে গেলে একটু সাবধানে রান্নাবান্না করতে হয়।বিশেষ করে মাটির চুলায় এগুলো বেশি হয়,সামান্য ভুলের জন্য কিন্তু অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।তবে এখানে আপনার মাহাদির বাবা থাকার কারণে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করছে।যাইহোক সামনের বার যখন রান্না করবেন একটু খেয়াল করে রান্নাবান্না করবেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
প্রতিটি মেয়েই চাই তার বাবা মাকে হাসি খুশি দেখতে, তাদের পছন্দের খাবার খাওয়াতে। আপনার মা আপনাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। উনি মিষ্টি পছন্দ করে তাই সকাল সকাল উনার জন্য নাস্তা বানাতে গিয়ে আপনার জামাই আগুন লেগে যায়। হয়তো বাবুর সাথে কথা বলতে বলতে একটু বেখেয়ালি হয়ে গিয়েছিলেন আর তখনই এমনটা ঘটেছে। তবে ভাইয়া এসে তাড়াতাড়ি আগুন নিভিয়ে দিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনি এখন সুস্থ আছেন এটা জেনে আরও বেশি ভালো লাগছে। আমাদের সব সময় সাবধানে থাকতে হবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।