একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষ্যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি বেশ ভাল আছি। আমি মাকসুদা আক্তার। তবে আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আর আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ায় আমি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। কারন আমি আমার মাতৃভাষা বাংলাতে আমার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে আন্তরিক ভালবাসা এবং ধন্যবাদ জানাই।
আচ্ছা ভাবুন তো একবার, আমরা যদি বাংলা ভাষা না পেতাম তাহলে আমরা কিভাবে আমদের মনের ভাবগুলো এত সুন্দর আর সাবলীল করে তুলে ধরতে পারতাম? বেশ কঠিন হতো বিষয়টা তাই না? আর এই কঠিন কাজটিকে সহজ করে তুলার জন্য ঝড়ে গেছে কত তরতাজা প্রাণ। খালি হয়েছে কত শত মায়ের বুক। তাই তো আমি ধন্যবাদ জানাই সেই সমস্ত শহীদের যারা আমার মায়ের ভাষাকে মাতৃ ভাষা করার জন্য বিলিয়ে দিয়েছে হাসি মুখে তাদের তরতাজা প্রাণ। আমি শ্রদ্ধা জানাই সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার সহ অজস্র ভাষা সৈনিক কে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
৫২ ভাষা আন্দোলন আমি দেখিনি। দেখিনি সালাম বরকত রফিক জাব্বার আর অজস্র ভাষা শহীদদের। যারা মায়ের ভাষাকে বাংলা হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেদের তাজা প্রাণগুলো। তবে সেই ছেলেবেলা হতে ভাষা শহীদদের কথা শুনে শুনে বড় হয়েছি। আর শুনেছি তাদের জন্য সোনার বাংলায় শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি করা গান কবিতা আরও কত কি? সেই থেকে যেন শহীদদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ অনেক বেড়ে গেছে।
ছেলেবেলায় স্কুলে ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনার বানিয়ে তাতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো। হতো ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ছেলেবেলার সেই সব দিন গুলি কে অনেক মিস করি। মিস করি ছেলে বেলার স্কুল জীবনের সেই শহীদ মিনার কে। যেখানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো।
বহু বছর পর এবার নিজ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের এক অনুষ্ঠানের ইনভাইটেশন পেলাম। কারন এবার ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেশ বড় একটি শহীদ মিনার গড়ে তোলা হয়েছে। আর সেই শহীদ মিনারের শুভ উদ্ভোধন করা হয়েছে এবার আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে। নিজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এত বড় একটি শহীদ মিনার গড়ে তুলা হয়েছে জেনে বেশ আনন্দিত হয়েছি। তবে পারিবারিক সমস্যার কারনে আমার সেই শহীদ মিনার দেখতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সকালে হয়ে উঠেনি। তাই সন্ধ্যার পর বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গেলাম এবং শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো কাজটিও করে নিলাম।
নিজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে এত সুন্দর একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে যে দেখে মনটা তো খুশিতে ভরে গেল। কি যে ভাল লাগা কাজ করেছে তখন তা বলে বুঝানো যাবে না। আমি প্রথমেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিলাম। তার পর কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে শহীদ দিবসের রক্ত ঝড়ানো কয়েকটি গান শুনে নিলাম। তখন পুরানো অনেকের সাথে দেখা হয়েছে। বেশ ভাল লাগছিল।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সবার সাথে দেখা সাক্ষাত শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। কিন্তু সেই স্কুল জীবনের শিমুল ফুল গাছটির ছবি তুলতে আমি ভুলিনি। কত স্মৃতি যে জড়িয়ে আছে এই শিমুল গাছকে নিয়ে। তবে আমার কেন জানি মনে হয় শহীদ আর শিমুল গাছের সাথে কোথায় যেন মিল খঁজে পাই।
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু প্রথমে শহীদ দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। অনেক দিন পর নিজের বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যেয়ে শহীদদের সম্মান প্রদর্শন করেছেন শুনে তো অনেক ভাল লাগলো। ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারী আসলে ছোটকালের কথা অনেক মনে পড়ে আপু ঠিক বলছেন। সন্ধ্যাবেলায় যেয়ে তো বেশ সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পেয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে দেখতে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্ত টি আমাদের শেয়ার করার জন্য।
জি আপু সত্যি কথা বলেছেন একুশে ফেব্রুয়ারি আসলে ছেলেবেলার কথা খুব বেশি মনে পড়ে।
আজ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা,আজ আমরা বাংলা বলতে পারি শুধুমাত্র ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে, তাই আমরা তাদের কখনো ভুলবো না। তাঁদের অপরাজেয় শক্তিকে প্রণাম জানাই🙏🙏🙏এখনো মনে পড়ে ছোটবেলায় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে খালি পায়ে ফুল হাতে করে নিয়ে স্কুলে যেতাম সবাই মিলে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তারপর ছোট ছোট সুপার বিস্কুট দিতো সেগুলো খেতে খেতে বাড়িতে ফিরতাম সেই দিনগুলো খৃব মিস করি।আপু আপনি অনেক দিন পর নিজের স্কুলে যেতে পেরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো এরকম সুযোগ আসলে মন সত্যি অনেক আনন্দে ভরে উঠে।স্কুল প্রাঙ্গণ অনেক সুন্দর কর সাজানো হয়েছে দেখতে খুবই ভালো লাগছে বিশেষ করে শহীদ মিনার টি। অসাধারণ মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার মত আমরাও ছেলেবেলায় স্কুলে যেতাম। কিন্তু আপনাদের মত বিস্কুট আর েপতাম না।
হুম সত্য বলেছেন ভাইয়া। এখনতো ইংলিশ না জানা সমাজে দামি থাকে না।
ভোরবেলা শহীদ মিনারে ফুল দিতে আমার অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় ভোরবেলা উঠে স্কুলে চলে যেতাম শহীদ মিনারে ফুল দিতে। সবাই মিলে বাসায় শহীদ মিনার তৈরি করতাম। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অসাধারণ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।