(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // ছোট্টবেলায় বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরার গল্প
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২২-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গল্প // ছোট্টবেলায় বিলে জ্বাল দিয়ে মাছ ধরার গল্প। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে প্রথমেই কোচিং এর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে কোচিং শেষ করে আজকে আবারো কলেজে গিয়েছিলাম ফরম ফিলাপের জন্য। কিন্তু ফরম ফিলাপ আজকেও হয়নি আসলে স্যারদের ঝামেলার কারণে ফরম ফিলাপ এর টাকা জমা নিচ্ছে না। তাই কলেজ থেকে বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে বেশ কিছু সময় যুক্ত হয়েছিলাম। তারপরে ভাবলাম আজকে যেহেতু এখন সময় আছে তাই পোস্ট শেয়ার করে রাখি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার ছোটবেলার কিছু দারুন ঘটনা। আসলে ছোটবেলার এই স্মৃতিময় ঘটনাগুলো যখন মনে আসে তখন বেশ ভালই লাগে। তবে চলুন আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। আসলে বিগত কয়েক বছর আগে আমাদের এলাকাতে হালকা একটু বর্ষা নেমে এসেছিল। বৃষ্টির পানিতে আমাদের গ্রামে অঞ্চলের মাঠে ও বিলে বেশ পানি জমেছিল। আসলে যেই দিন আমাদের এলাকায় বর্ষা হয়েছিল সেদিন আমরা গ্রামের ছেলেরা পানিতে ভিজতে ভিজতে বিলের ধারে গিয়েছিলাম বিলে কেমন পানি হয়েছে দেখার জন্য। বিলেতে গিয়ে আমরা সকলেই দেখতে পারি বিলেতে প্রায় আমাদের মাজা পরিমাণ পানি হয়েছিল। তখনই আমরা ভেবেছিলাম কয়েকদিন পরে আমাদের বিলে অনেক মাছ হবে সেখান থেকে আমরা মাছ ধরবো। আসলে ছোটবেলায় এমন বেশ মজার ঘটনা রয়েছে।
বিগত কয়েক বছর আগেও আমাদের বিলে আবারো অনেক পানি জমে ছিল তখন আমার বেশ ভালো বয়স এবং বেশ ভালই বুদ্ধি এটা আমার বেশ ভালই মনে আছে। বিলাতে যেহেতু পানি জমেছে তাই গ্রামের অনেক মানুষ জাল কিনেছিল মাছ ধরার জন্য। আমি তখন বাড়িতে থাকতাম না, আমি তখন বাইরে মেসে থেকে লেখাপড়া করতাম। তখন আমাদের স্কুল ঈদের বেশ কয়েকদিন ছুটি পেয়েছিলাম তাই গ্রামে বেড়াতে এসেছিলাম। আসলে গ্রামে বেড়াতে আসার পরে অনেক পানি যখন বিলে দেখতে পেয়েছিলাম তখনই ভেবেছিলাম গ্রামের ছেলেদের সাথে আমিও জাল কিনে মাছ ধরবো। আমি যখন বাড়িতে জাল কেনার কথা বলেছিলাম বাড়ি থেকে অনেক বকাবকি শুরু করেছিল। বাড়ি থেকে তখন শুধু অন্যের সাথে আমার তুলনা করতো বলতো সবাই যদি বিলেতে মাছ ধরে তুমিও কি মাছ ধরবা নাকি। তারপরেও আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে একটি জাল কিনেছিলাম অন্য জনের সাথে ভাগে। জাল কিনে নিয়ে আসার পরে জাল আবার অনেক সুন্দরভাবে সুতা দিয়ে বাঁধতে হয়। এই সবকিছুই অনেক সুন্দর ভাবে পরিচর্যা করেছিলাম আমরা দুজন।
এভাবে যখন আমরা দুজন মিলে জাল কিনে বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম তখনও আমার বাড়ি থেকে জানে না যে আমি জাল কিনেছি অন্যজনের সাথে ভাগে। একদিন যখন মাছ ধরতে গিয়েছিলাম সেইদিন প্রায় দুইজন মিলে আমরা তিন থেকে সাড়ে তিন কেজির উপরে মাছ পেয়েছিলাম। মাছগুলো যখন আমরা দুইজন ভাগ করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম আমার আম্মু দেখে অনেক বকাবকি শুরু করল। বলছে তোমাকে ভালো পড়াশোনা করতে হবে তোমাকে কি মাছ ধরার কোন কথা বলা আছে বাড়ি থেকে। বলছে তুমি বাড়িতে না বলে মাছ ধরতে গিয়েছো কেন। আমি তখন কোন কথা না বলে আম্মুর সামনে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আম্মু বলছে তোমার আব্বু যেন এসব কথা না জানে তুমি গোসলে যাও তাড়াতাড়ি তারপরে ঘরে যাবা। যাইহোক পরে এই কথাটি আব্বু যেভাবেই হোক জানতে পেরেছিল। পরে আব্বু বাড়িতে এসে আমাকে অনেক বকাবকি করল তারপরে বলছে তুমি কালকে মেসে চলে যাবা তোমার ছুটি কাটানো লাগবে না। তারপরে যাই হোক বেশ কয়েকদিন মাছ ধরতে যাওয়া হয়েছিল না। যেহেতু ছোট ছিলাম তারপরেও একদিন বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। সেদিন অনেক মাছ পেয়েছিলাম কিন্তু সেই মাছ আর বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম না। সেই মাছ দিয়ে আমরা বন্ধুরা মিলে সকলেই সেদিন রাতে পিকনিক করেছিলাম।
যাইহোক আব্বু সেদিনও জানতে পারে আমি বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম এবং রাতে পিকনিক করতেছি। পিকনিক শেষ করে আমি যখন সন্ধ্যা রাতে বাড়ি ফিরেছিলাম তখন আব্বা অনেক বকাবকি শুরু করছে। এমনকি ছোটবেলায় গায়ে পর্যন্ত হাত তুলেছিল আমার আব্বু। আসলে ছোট্টবেলায় পরিবার থেকে বেশ শাসনের উপরে রাখত আমাকে। তাও চেষ্টা করতাম বন্ধুদের সাথে যে কোন সময় আড্ডা দেওয়ার জন্য এত বকাবকির মাঝেও। বিলের পানি যখন শুকিয়ে আসতো তখন ছ্যাকনা দিয়ে বিলের পানি ছ্যাকে মাছ ধরেছিলাম অনেক সেই স্মৃতিগুলো বেশ মনে পড়ে। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
আপনার এই পোস্টটা দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে হল। আমিও ছোটবেলায় মাছ ধরতে অনেক পটুছিলাম। একবার তো ছোটবেলায় ঠেলা জাল দিয়ে মাছ ধরতে ধরতে চোখ মুখ একদম লাল করে ফেলেছিলাম।আমি তখন দেখতে কালো ছিলাম কিন্তু এত পরিমাণে শেওলা পড়েছিল যে আমি একদম সাদা ধবধব হয়ে গিয়েছিলাম। আমি অবশ্য আপনার মত এত শাসনের বেড়াজালে ছিলাম না। আমাদের বাপ চাচারা তখন যৌথ ফ্যামিলিতে ছিল তখন। তখন যৌথভাবেই ফাসি জাল এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার হতো । আমি তখন আমার ছোট চাচার সাথে এগুলো মাছ ধরতে যাইতাম। আমার ছোট চাচা যদি আমার বয়সের মাত্র তিন থেকে চার বছরে ব্যবধান ছিল। যাইহোক আপনার পোষ্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। এত সুন্দর একটা ছোটবেলার স্মৃতি জড়ানো পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনারা ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ভাইয়া ছোট বেলা সবারই অনেক শাসনের মধ্যেই থাকতে হয়। যাইহোক আপনি অনেক গুলো মাছ নিয়ে গিয়েছেন তাও বকা খেয়েছেন।আসলে মাছ ধরা রিক্স এর কাজ। তারপর আবার মাছ ধরে বন্ধুদের সাথে পিকনিক করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া শৈশব সব সময় মধুর হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলায় আসলে প্রত্যেক ছেলে মেয়ে বাবা-মায়ের শাসনে থাকে।
আমারও ছোটবেলায় অনেক মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আছে । যখন মাছ ধরে বাড়ি নিয়ে আসতাম তখন বাবা বলতো যে তোকে তো মাছ ধরতে বড় করছি না, লেখাপড়া করার জন্য পাঠিয়েছি, সেটা ভালো করে কর। এই ধরনের কথা আমি নিজেও অনেকবার শুনেছি ভাই। তবে বন্ধুরা মিলে মাছ ধরে কখনো পিকনিক আমরা করিনি। তবে বাবার হাতে মার খেয়েছি অনেক এই নিয়ে। হিহি..🤭🤭
আমিও কিন্তু ভাই বাবার হাতে অনেক মার খেয়েছি।
বাবার হাতে মার খাওয়ার গল্প সব ছেলেদের জীবনেই থাকে ভাই। হিহি..🤭🤭