(ক্রিয়েটিভ রাইটিং)// জাম গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ার গল্প
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১১-০৫-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি (ক্রিয়েটিভ রাইটিং)// জাম গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ার গল্প। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে আপনাদের সাথে কিছু সময় যুক্ত হয়েছিলাম কিছু কমেন্ট করার জন্য। তারপরে বিছানা ছেড়ে উঠে হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং গিয়ে পৌঁছানোর পরে জানতে পারি আজকে স্যার একটি কাজে আটকে গিয়েছে তাই কোচিংয়ে আসতে পারবে না। তারপরে বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলাম। তাই তুহিন মামাদের বাসাতে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম। তারপরে বাড়িতে এসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেশ কিছু সময় পাড়ায় ছেলেদের সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি অনেকদিন আগের একটি ঘটনা আমার নিজের সাথে ঘটে গিয়েছিল। আসলে আমি যখন ছোট ছিলাম তখন নাকি অনেক দুষ্টু ছিলাম বাড়িতে এখন আমার আব্বু আম্মু বলে। আসলে নিজের দুষ্টামির কথাগুলো শুনলে নিজের কাছেও সত্যি বেশ ভালো লাগে। আসলে আমাদের বাড়ির পাশে একটি জাম গাছ ছিল তখন আমি নবম শ্রেণীতে পড়তাম। জাম গাছটি ছিল আমার মেজ দাদার। আসলে জাম গাছটি অনেক বড় আমার দাদার আব্বু লাগিয়ে রেখেছিল সেই জাম গাছটি। মানুষ জাম গাছে উঠতেই বেশ ভয় পায় এত বড় জাম গাছ ছিল। তখন সেই সময় আমি প্রায় প্রতিদিন সেই জাম গাছে উঠে জাম খেতাম। আমার একটি বড় বোন আছে। আমি এবং আপু দুজন মিলে জাম পাড়ার জন্য গিয়েছিলাম জাম গাছে। আপু আমাকে বলে জাম গাছে উঠতে এবং আপু নিচে দাঁড়িয়ে থাকে আমি জাম পেড়ে আপুর হাতে উপর থেকে নিচে দিতে ছিলাম। এভাবে এক সময় প্রায় আমি অনেক জাম আপুর কাছে জমা করে ফেলেছিলাম।
আসলে সেই দিন প্রায় চার পাঁচ কেজি জাম পেড়েছিলাম আমি। জাম গুলো পাড়ার পরে দেখি উপরে একটি ডালে অনেক পাকা পাকা জাম রয়েছে কিন্তু জামের ডালটি ছিল চিকন, তাও আমি সাহস করে সে ডালে উঠে পড়েছিলাম। জাম মাখিয়ে খাব বলে আমাদের বাড়ির সকল ছেলেমেয়েরা ঝাল পেঁয়াজ তেল একসাথে মাখিয়ে জামতলায় সবাই হাজির হয়েছিল তখন আমি জাম গাছের ডালে ছিলাম। হঠাৎ এক সময় আমার পায়ের নিচের জামগাছের ডাল ভেঙে গিয়েছিল আমি উপরে ডাল হাত দিয়ে ধরেছিলাম কিন্তু সেই ভালো ভেঙে যায়। আমি উপর থেকে সরাসরি মাটিতে পড়েছিলাম। আসলে আমার তেমন লেগেছিল না কিন্তু একটি সমস্যা হয়েছিল। জাম গাছের নিচে অনেক ছোট ছোট ডুমুর গাছ ছিল। ডুমুর গাছের পাতায় আমার গায়ে বেশ কিছু জায়গায় ঠেকা মাত্রই দাগড়া দাগড়া হয়ে গিয়েছিল। আসলে ছোটকাল থেকেই আমার এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাই বেশি দেখা দিয়েছিল।
আমি যখন ডাল ভেঙে নিচে পড়ে যায় তখন আমার আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে। কিন্তু আমি পড়ে যাওয়ার পরে দম আটকে এসেছিল এই দেখে আমার আপু কান্না থামিয়ে আমার বুকে হাত দিয়ে নাড়ানো শুরু করেছিল। পরবর্তীতে আমার পিঠে সবাই মিলে সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করা শুরু করেছিল যেহেতু পিঠ সব দাগড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ব্যাপারে আমার আব্বু অনেক সতর্ক ছিল আমাকে এর আগেও বেশ কয়েকবার জাম গাছে উঠতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু ছোটবেলায় তো আমি অনেক দুষ্ট ছিলাম কারো কথা শুনতাম না। তারপর দেখি হঠাৎ আমার আব্বু জানতে পারে আমি জাম গাছ থেকে পড়ে গিয়েছি। বাড়ি থেকে আমার আব্বু দৌড় দিয়ে আমার কাছে গিয়েছিল তখন আমি মনে করি আব্বু আমাকে মারবে। তাই আমি সেখান থেকে উঠে দৌড় দেওয়া শুরু করেছিলাম।
অবশেষে আব্বু আমাকে বলে আমি তোমাকে মারবোনা এমনিতেই দেখার জন্য আসলাম কিছু হয়েছে কিনা। তখন আমার আপু বলে কিছু হয়নি আমার আব্বু আপুকে একটা ধমক দিয়েছিল। আসলে আমরা ছোটবেলা থেকেই আম্মুকে তেমন একটা ভয় পেতাম না তবে আব্বুকে আমরা দুই ভাই বোন অনেক ভয় পেতাম। তারপর আমি আব্বুকে বললাম আমার কিছু হয়নি আব্বু। তারপরে আব্বু আমাকে হাত ধরে বাড়িতে নিয়ে এসে বলছে আর যদি কখনো দেখি জাম গাছে উঠতে তখনই সেখানেই তোমাকে মায়ের দেওয়া শুরু হবে। এরপর থেকে আমি আর জাম খেতে গাছে উঠি না তবে জাম গাছের নিচে থেকে জাম খেয়েছি। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোটবেলায় আপনি অনেক দুষ্টু ছিলেন হা হা হা । আপনার আব্বু মানা করার সাথেও আপনি জাম গাছে উঠেছিলেন আর তারপরে পড়ে গেলেন তখন আপনার আপু আপনাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলেন। এমনিতেই আপনজনের কিছু হলেই সত্যি অনেক কান্না পাই এবং কেমন জানি একটা লাগে। যাইহোক তারপরে আপনার আব্বু শুনে যখন ধরে আপনাকে দেখতে আসে আপনি ভেবেছিলেন মারবে দৌড়াতে শুরু করে দিয়েছিলেন। আসলে আমাদের এখন এমন হয় কোন একটা ভুল হয়ে গেলে আব্বু দেখে ফেলে মনে হয় বকবে ভয়ে চুপ থাকি না হলে সেখান থেকে চলে যাই। যাইহোক আপনার আব্বু কিছু বলেনি এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো সুন্দর একটি গল্প করে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
তিন চার কেজি জাম পাড়ার পরেও পাকা জাম দেখে লোভ সামলাতে পারেননি এজন্যই তো এরকম দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিলো। ভাগ্য ভালো যে এত উপর থেকে পড়ার পরও তেমন কিছু হয়েছিল না। এরকম জাম গাছ থেকে ছোটবেলায় আমরা বেশ জাম পেরে খেয়েছি। আপনার ছোটবেলার কাহিনী পড়ে সেই ঘটনা মনে পড়ে গেল।
ঠিক বলেছেন আপু আসলে ওই পাকা জামটি দেখে লোভ সামলাতে পেরেছিলাম না, তারপরে এত বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল।
মামা তোমার পোস্টের টাইটেল পড়ে বেশ হাসি পেল। আসলে জাম গাছের ডাল অনেক হালকা হয়ে থাকে। এই ডালে উঠে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এটা জানা সত্ত্বেও তুমি জাম গাছে ডালে উঠেছিলে।ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ার পর তোমার আপু তোমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছিল এবং যখন সে বুঝতে পারলো যে তোমার দম আটকে আসছে তখন সে তোমার বুক এবং পিঠে মালিশ করছিল। পড়ে যাওয়ার পর তোমার আব্বুকে দেখিয়ে তুমি বেশ ভয় পেয়েছিলে। যাইহোক মামা ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মামা আপনি হাসি পেয়েছেন, কিন্তু পোস্ট যখন আমি লিখেছিলাম সেই কল্পনাগুলো আবারও মনের মাঝে ভেসে আসছিল।
বেশ দারুণ একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার আজকের এই গল্প পড়ার মধ্য দিয়ে জানতে পারলাম না জাম গাছের ডাল ভেঙে পড়ে গেছিলেন। আমিও একটু সময় আমের ডাল ভেঙে পড়েছিলাম। সেটা সম্ভবত ২০১৩ সালে। চেষ্টা করব আমার ঘটনাটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার।
মামা আপনি কি জানতে পারলেন না। আমি তো সবকিছুই বেশ ভালোভাবে বুঝিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি।
জাম গাছ থেকে জামপাড়া মুহূর্তের গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। আমিও ছোটবেলায় আমাদের জাম গাছে উঠে জাম পারতাম। তবে জাম গাছের ডালে ডালে জাম ধরে থাকে। তাই উপরে উঠতে হয়। আপনি তিন চার কেজি পাড়ার পরেও আরো লোভ সামলাতে পারেননি। যার কারণে আরো পারতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন এবং দম আটকে গিয়েছিলেন। আপনার বোন কান্না করেছিল এই গল্পটি সত্যি অনেক ভয়াবহ ছিল। যাই হোক বড় কিছু হয়নি জেনে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাই আসলে আমি যখন গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিলাম সত্যিই সবাই অনেক ভয় পেয়েছিল। পরবর্তীতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে মতামত দেওয়ার জন্য।
https://x.com/GKibreay/status/1789453187151540543