গল্প :- কিছু মানুষের ভুল সারা জীবন সবাইকে কাঁদায়।(শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


insect-4035660_1280.jpg

এর আগে আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এভাবে দেখতে দেখতে তাদের জীবন যাচ্ছিল। আস্তে আস্তে আবুল কালাম মিয়ার সংসারে তিনটি ছেলে দুটি মেয়ে হল। আর আবুল কালাম মিয়া যখন একজন শিক্ষিত লোক সে ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়া করালো ছোটকাল থেকে। তবে আবুল কালামিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করার পরও তার মা-বাবাকে কখনো দেখে নাই। কারণ মা-বাবা অনেক কষ্ট করল তার জন্য। আর পরিবারে একটিমাত্র সন্তান হচ্ছে আবুল কালাম মিয়া। আর আবুল কালামিয়ার বাবা মা অনেক কষ্ট করে পৃথিবী থেকে চলে গেল। আমার শাশুড়ি বলেছেন আবুল কালাম মিয়ার বাবা-মা বৃদ্ধ বয়সে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে নাই। কারণ আবুল কালাম মিয়া বিয়ে করা দ্বিতীয় বউকে নিয়ে অন্য জায়গায় থাকতো। আর এক বাপের এক ছেলে হিসাবে সে কোন দায়িত্ব পালন করেন নাই। অনেক কষ্টে তাদের জীবন গেল।

আর আবুল কালাম মিয়া যখন মা বাবা মারা গেল তখন বাড়িতে চলে আসলেন। এবং বাড়িতে বসবাস করতে লাগলো। যখন আবুল কালাম মিয়ার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেল। তখন সে বাড়িতে থাকতে না কোন কাজ কাম করতেন না। আবুল কালাম মিয়ার ছেলেগুলো বড় হয়ে গেল এবং মেয়েগুলো বিয়ে দিয়ে দিলেন। আর মেয়েগুলো ভালো জায়গায় বিয়ে দিয়েছে এবং স্বামীর বাড়িতে থাকে। আর আবুল কালাম মিয়ার ছেলেগুলো এখন বিয়ে করে সবাই বাড়ির বাইরে থাকে। তারা তার মা বাবার কোন খোঁজ খবর রাখে না। আর মূলত আবুল কালাম মিয়ার দ্বিতীয় ওয়াইফ ও আবুল কালাম মিয়াকে কোন দাম দেয় না। সারাক্ষণ আবুল কালাম মিয়াঁকে গালাগালি করে।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে আবুল কালামিয়ার ছেলেগুলো যখন বাড়িতে আসে তখন আবুল কালাম মিয়া কিছু বললে। ছেলেগুলো আবুল কালাম মিয়াকে মারধর করে। এবং সারাক্ষণ পাগল বলে থাকে। আর আবুল কালামিয়াকে কোন দামে দেয় না ছেলেগুলো। এখন আবুল কালামিয়া অন্যের হেল্প নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এবং অনেকে এখন বলে আবুল কালাম মিয়া আগে তার বাবা এবং মা ও মামার সাথে অনেক বেয়াদপি করেছে। এই কারণে আজকে তার এই অবস্থা। কারণ তার মা-বাবা ও মামা অনেক কষ্ট করে তাকে লেখাপড়া করালো। আর যখন শিক্ষিত হলেন তখন তাদেরকে সে চিনতে পারল না। কখনো সে তার মা-বাবাকে একটা টাকাও দেয় নাই খাওয়া দাওয়া করার জন্য।

এবং বাড়িতে তার ওয়াইফকে নিয়ে আসলে তার বাবা নিজে তাকে খাওয়াতেন বাজার করে। আর মা-বাবা কখনো মুখ দিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্য বদদোয়া দেয় না। আর আবুল কালাম মিয়া যখন শিক্ষকতা করতেন তখন মানুষতো মানুষ মনে করতেন না। একটা সময় আবুল কালাম মিয়া বাড়ির লোকদের কখনো দাম দিতেন না। এখন বাড়িতে অনেক লোকে বলে এটি তার কর্মের ফল। আবুল কালাম মিয়া বিয়ে করার পর ও সে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। আর দ্বিতীয় বউয়ের কারণে তার প্রথম ওয়াইফ কে ডিভোর্স দিয়েছে। আর এটি তার মা-বাবা মেনে নিতে পারে নাই। আর কিছু কিছু কষ্ট আছে মা-বাবা মুখ বন্ধ করে কষ্টগুলো মেনে নেই।

এবং আবুল কালামিয়া সেরকম একটি কষ্ট দিয়েছে তার মা-বাবাকে। এখন বৃদ্ধ বয়সে এসে আবুল কালাম মিয়া সে কষ্টগুলো ভোগ করছেন। আবুল কালাম মিয়ার বাবার একমাত্র সন্তান ছিল আবুল কালাম মিয়া। সেই তার মা-বাবাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আর এখন আবুল কালাম মিয়ার তিনটি মাত্র ছেলে আর দুটো মাত্র মেয়ে। পাঁচজন ছেলে মেয়ের মধ্যে একজনও তাকে দেখাশোনা করে না। আর এখন আবুল কালাম মিয়া সবাইকে বলে সেই তার ছেলেমেয়েদেরকে মানুষ করতে পারে নাই। এখন তার কষ্ট দেখলে মানুষ তাকে উপহাস করে। কারণ সেই যেরকম তার মা বাবার সাথে করেছে। এখন তার ছেলে মেয়েগুলো তার সাথে এক রকম করতে লাগলো। এতে করে বুঝা যায় নিজের ভুলের কারণে সারা জীবন নিজেকে কষ্ট করতে হয়। এই কারণে মা-বাবাকে সবাই সম্মান করা দরকার। তাহলে বৃদ্ধ বয়সে সেও সম্মান পাবে। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাকে অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.24
JST 0.030
BTC 79499.98
ETH 1518.65
USDT 1.00
SBD 0.82