গল্প :- কিছু মানুষ আছে নিজের পায়ের নিজেই কুড়াল মারে। (প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একজন লোভী মানুষের কাহিনী। আমাদের এলাকার একটি মেয়ে আছে তার কাহিনী আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মেয়েটির নাম হচ্ছে রাবেয়া। রাবেয়া পরিবারের বড় মেয়ে। মা বাবা তাকে অনেক আদর করত। যদিও মেয়েটির বাবা একজন কৃষক। তবে মেয়েটির বাবা খুব ভালো একজন মানুষ। এলাকাতে সবাই মোটামুটি তাকে ভালো জানে। এবং লোকটি ভালোভাবে সবার সাথে চলাফেরা করে। ও সিজন ওয়ারী সব ধরনের ফসল করে এবং বাজারে দোকানে বিক্রি করে। এবং মেয়েটির বাবা সরল মানুষ তেমন ভেজাল পছন্দ করেনা। যখন মেয়েটি বড় হয়েছে তখন মেয়েটির জন্য অনেক জায়গা থেকে বিয়ে জন্য আসতে লাগল।
এবং মেয়েটির আরো দুটি ছোট বোন আছে। এই কারণে রাবেয়ার বাবা তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ভালো পাত্র খুঁজতে লাগলো। এবং ভালো পাত্র পেলে মেয়েকে বিয়ে দেবে। যদিও মেয়েটির বাবার জায়গা সম্পত্তি আছে। ওই সময় একটি ভালো পাত্র আসলো মেয়েটির বিয়ের জন্য। ছেলেটি বিদেশ থাকে এবং মোটামুটি সব দিকে ভালো। এই কারণে রাবেয়ার বাবা ওই ছেলের কাছে রাবেয়াকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। দুই ফ্যামিলির মত অনুযায়ী বিয়েটি ঠিক করলেন। এবং দিন তারিখ দেখে বিয়ের তারিখ দিলেন দুই পক্ষ মিলে। ও ওই তারিখে রাবেয়ার বিয়ে হয়েছে। বিয়ে হওয়ার ২-৩ মাস পর রাবেয়ার হাজব্যান্ড আবার বিদেশ চলে গেল। এবং স্বামীর বাড়িতে সেই ভালোই ছিল। শশুর শাশুড়ি তাকে অনেক আদর করে।
এবং রাবেয়ার হাজবেন্ড দের পরিবারে একটি মাত্র ছেলে এবং একটি মাত্র মেয়ে। রাবেয়া হাজবেন্ডের একটি বড় বোন আছে। তাকে ভালো একটি ফ্যামিলিতে বিয়ে দিয়েছেন। আর রাবেয়ার হাজবেন্ডের বড় বোন রাবেয়াকে পছন্দ করে তার ছোট ভাইকে বিয়ে করালেন। এবং বিয়ের পর হাজবেন্ডের বড় বোনের বাড়িতে রাবেয়া যেতেন এবং আসতেন। রাবেয়ার হাজবেন্ড যাওয়ার পরও বড় বোনের সাথে ভালই সম্পর্ক ছিল। এদিকে রাবেয়া তার স্বামীর বড় বোনের বাসায় যেতে যেতে হাজবেন্ডের বোনের হাজবেন্ডের সাথে সম্পর্ক করে ফেললেন। যদিও ব্যাপারটি কেউ বুঝে নাই। এইভাবে রাবেয়া তার হাজবেন্ডের বড় বোনের হাজবেন্ডের সাথে কথাবার্তা বলতেন। যদিও ওই সময় রাবেয়ার ঘরে একটি মাত্র ছেলে হয়েছে। ছেলেটি এখন একদম ছোট। এবং রাবেয়া মেয়েটি অনেক চালাক এই কারণে তার পরকীয়া কেউ ধরতে পারে নাই।
আর হাজবেন্ডের বড় বোন মাইন্ড করে নাই। কারণ দুলাভাইয়ের সাথে শালার ওয়াইফ হয়তো কথা বলে বা দুষ্টামি করে। এই কারণে কেউ তেমন কিছু খারাপ চিন্তা করে নাই। এইভাবে রাবেয়ার সম্পর্ক অনেক দিন যেতে লাগলো। এদিকে রাবিয়ার হাসবেন্ড ছেলেকে দেখার জন্য বিদেশ থেকে আবার দেশে আসলো। আসার পর তার আচার-আচরণে একটু খারাপ কিছু দেখলেন। এই কারণে রাবেয়ার হাজবেন্ড তাকে একটু সন্দেহ করলেন। যদিও তার হাজবেন্ড ক্লিয়ার কিছু বুঝতে পারে নাই। এবং তিন চার মাস থাকার পর লোকটি আবার বিদেশ চলে গেল। এদিকে রাবেয়ার ছেলের বয়সও মোটামুটি দুই বছর হয়ে গেল। হঠাৎ করে একদিন রাবেয়াকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাবেয়া কোথায় যেন হারিয়ে গেল।
রাবেয়ার বাবা মা এবং শশুর শাশুড়ি সবাই অনেক খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো। কিছুদিন পর খোঁজ পাওয়া গেল রাবেয়া অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক করে পালিয়ে গেলেন। তবে রাবেয়া অনেক চালাক মানুষ। স্বামীর বড় বোনের হাজবেন্ডের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। এদিকে রাবেয়াকে একটি ভাষায় বাসাতে রাখলেন। আর লোকটি সবসময় বাড়িতে এসে থাকতেন নিজের। এই কারণে সন্দেহ করতে পারল না কেউ লোকটিকে। কিছুদিন পর রাবেয়ার হাজবেন্ডের বড় বোন একটু সন্দেহ করেছেন। তার স্বামী কোথায় যাই কি করে। যদিও লোকটির দোকান ছিল বাজারে। পরে আস্তে আস্তে জানতে পারে শালার ওয়াইফকে সেই পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। এরপর রাবেয়া শশুর শাশুড়ি এবং হাজবেন্ডের বড় বোন মিলে রাবেয়াকে অনেক মারধর করলো। যাইহোক আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে বড় পর্ব শেয়ার করলো আপনাদের মাঝে। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।(চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1900526400660267135?t=5XCYBWOHemh2EsvDMGn1Dw&s=19
সুন্দর একটি গল্পের প্রথম পর্ব পড়লাম। আসলে রাবেয়ার গল্পটা সত্যিই অবাক করার মতো। ভালো পরিবার আর সংসার পেয়েও সে ভুল পথে গেল। তার কাজে সবাই কষ্ট পেল, বিশেষ করে স্বামী ও পরিবার মূলত এভাবেই মানুষ নিজের পায়ে কুড়াল মারে ।যাইহোক শেষ পর্যন্ত সত্যি ঘটনা সবাই জানতে পারল।দেখা যাক আগামী পর্বে কি হয়,আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাদের স্বভাব খারাপ থাকে তাদের যেভাবেই রাখা হোক না কেন খারাপই থাকবে। রাবেয়া যেমন খারাপ মেয়ে তেমনি যার সাথে পরকীয়া করেছে সেও খুব খারাপ। তারা দু'জনের একজনও সম্পর্কের মর্যাদা দিতে পারেনি। এসব মানুষ জীবনে কখনও সুখী হতে পারে না। পরবর্তীতে কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
এটি ঠিক বলেছেন রাবেয়ার সাথে যে পরকীয়া করেছে সেও খারাপ লোক। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শুনে।
আসলেই কিছু মানুষ নিজেই নিজের ক্ষতি করে,
ভুল পথে গিয়ে কষ্টই শুধু পায়। তারা মুলত সঠিক পরামর্শ শুনতে চায় না, সব হারিয়ে শেষে বুঝে, কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকে না।ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয়ে শেয়ার করার জন্য। আমাকে পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
এরকম মানুষ অনেক আছে ভুল পথে গিয়ে কষ্ট শুধু পায়। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।
আজকে আপনি বাস্তবিক একটি গল্প পোস্ট করেছেন। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে নিজের ভুলের কারণে নিজের ক্ষতি করে। তবে আমার মনে হয় রাবেয়া অতিরিক্ত কিছু করে ফেলেছে। আর স্বামীর বড় বোনের হাজবেন্ডের সাথে মেলামেশা তার ঠিক হয় নাই। তবে আপনার প্রথম পর্বে সন্দেহজনক কিছু মনে হচ্ছে। দেখি আপনার পরের পর্বে কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম। ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
কিছু মানুষ আছে নিজের ভুলের কারণে লাস্ট পর্যন্ত নিতে পস্তায়। ভালো লাগলো সুন্দর মন্তব্য শুনে।