গল্প :- কিছু মানুষের ভুল সারা জীবন সবাইকে কাঁদায়।( প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। যদিও গল্পটি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছি। আমার শ্বশুরবাড়ির একজন বৃদ্ধ লোকের কষ্টের কাহিনী আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। লোকটির নাম হচ্ছে আবুল কালাম। লোকটি এখন একদম বৃদ্ধ অবস্থায় আছে। তবে তিনটি ছেলে ও দুটো মেয়ে লোকটিকে দেখাশোনা করে না। মূলত লোকটির কষ্ট দেখলে খুব খারাপ লাগে। তবে লোকটি লেখাপড়া অনেক করেছে। আর আবু কালাম মিয়ার বাবা কৃষি কাজ করে তাকে পড়ালেখা করালো। ছোট কাল থেকে সে লেখাপড়া করে ভালো একটা অবস্থান তৈরি করেছে। সবাই এলাকাতে তাকে সম্মান করে সেই শিক্ষিত লোক।তার কাছে মানুষ আছে কোন দরকার হলে। বলতে গেল ওই সময় অনেক শিক্ষিত লোক এসেছিলেন তিনি।
পড়ালেখা শেষ করলেন আবুল কালাম মিয়া। তারপর আবুল কালামিয়ার বাবা তার ছেলেকে বিয়ে করানোর জন্য মেয়ে দেখতে লাগলো। এবং আবুল কালাম মিয়া যখন পড়ালেখা করেছে তার মামা তাকে অনেক হেল্প করেছে লেখাপড়া করার জন্য। মূলত আবুল কালাম মিয়া পড়ালেখা করলে তাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। আর আবুল কালামিয়া পরিবারে একটা মাত্র ছেলে ছিল। তখন তার বাবা চিন্তা করলো বাহিরে বিয়ে না করিয়ে। তার মামাতো বোনকে বিয়ে করাবে। কারণ মামাতো বোন বিয়ে করালে তার জন্য ভালো হবে। আর আবুল কালামিয়া পড়ালেখা করা অবস্থা তার মামা অনেক হেল্প করেছে এই কথা চিন্তা করল আবুল কালামিয়ার বাবা। যদিও আবুল কালাম মিয়া প্রথম রাজি ছিল না।
তারপর বলাবলির কারনে সে সে রাজি হল তার মামাতো বোনকে বিয়ে করতে। আর মামাতো বোন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছে মোটামুটি ভালোই শিক্ষিত। তবে আবুল কালাম মিয়া একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করে। আর আবুল কালাম মিয়া বিয়ের পর থেকে তার ওয়াইফের সাথে তেমন ভালো সম্পর্ক নেই। যদি আবুল কালাম মিয়ার ওয়াইফ তার মা-বাবার কাছে থাকে। হঠাৎ করে আবুল কালাম মিয়া বলেছেন এই ওয়াইফ কে সেই রাখবে না। কারণ মা-বাবা তার মামাতো বোন বিয়ে করালো তার পছন্দ হয় নাই। তবে মা-বাবা বলতে লাগলো আমরা তাকে পছন্দ করে বিয়ে করালাম। তুমি যদি তার ওয়াইফ কে না রাখো তাহলে তোমার মামার মনে কষ্ট যাবে। তবে আবুল কালাম মিয়ার ওয়াইফ কিন্তু খুব ভালো মানুষ ছিল। হঠাৎ করে একদিন খবর আসলো আবুল কালামিয়া স্কুলের এক ছাত্রীকে বিয়ে করলেন। তার ওয়াইফ থাকা অবস্থা সে নতুন করে বিয়ে করলেন।
এদিকে আবুল কালাম মিয়ার মামা তাদের বাড়িতে আসলো এবং বলল। তার মেয়েকে এইখানে রাখবে না। কারণ আবুল কালাম মিয়ার নতুন একটি বিয়ে করেছে এ কারণে। এবং আবুল কালাম মিয়ার বাবা অনেক চেষ্টা করেছে তার বিয়ে করার নতুন ওয়াইফকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ আবুল কালাম মিয়ার পড়ালেখার পিছনে তার মামার অবদান অনেক বেশি ছিল। অনেক বলাবলির পরও আবুল কালাম মিয়া তার দ্বিতীয় ওয়াইফকে তালাক দেয় নাই। হঠাৎ করে একদিন বৈঠক বসলো সবাই এই সমস্যা সমাধান করার জন্য। আর সবার সামনে আবুল কালাম মিয়া বলল সে তার মামাতো বোনকে ডিভোর্স দেবে। দ্বিতীয় বিয়ে করা বউকে সেই রাখবে। এরপর আবুল কালাম মিয়ার মামা ওইখানে অসুস্থ হয়ে পড়ল।
কারণ ভাগিনার কাছে নিজে ইচ্ছে করে তার মেয়েটি বিয়ে দিলেন। আর আপন ভাগিনা তার মেয়েকে কষ্ট দিয়েছে তালাক দিয়ে দিল। এরপর আবুল কালাম মিয়ার মামা তার মেয়েকে নিয়ে গেলেন ভাগিনার ঘর থেকে। তবে অনেকে বলল আবুল কালাম মিয়া তাকে অভিশাপ দিয়েছে। এবং বলেছে সে কখনো সুখী হবে না। কারণ গরিব ফ্যামিলি ছেলে ছিল আবুল কালাম নিয়ে। তাকে তার মামা হেল্প করেন লেখাপড়া করালো। এবং তার মেয়েকে বিয়ে দিলেন। আর এখন তার মেয়েকেই আবুল কালাম মিয়া তালাক দিয়ে দিলেন। এরপর আবুল কালাম মিয়ার ওয়াইফ কে তার মামা অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিলেন। আর আবুল কালাম মিয়াদ তার দ্বিতীয় ওয়াইফ নিয়ে ভালোই সংসার করতে লাগলো। আজ এ পর্যন্ত পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে খুব শীঘ্রই হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।(চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1905990275954258270?t=X0Funkdl12ZKuC9b-hjFUw&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1905994838383919222?t=uVal_yr0fxH8EeFR9FEaOg&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1905995751567888687?t=NIReQgUDIzX5lvcb1w0RoA&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1905993562283769987?t=xGDJAEQQceSbFsoHZD70gw&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1905996427878433078?t=rRh-sqvZafFFhaWPpoEAmg&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1905997035045826797?t=5-qEylhfDvoalc33uT-VEg&s=19