বিদ্যুৎ বিহীন দুইটি দিন
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি বুঝতে পেরে গিয়েছেন নিশ্চয়ই এতক্ষণে বন্ধুরা।বিদ্যুৎ বিহীন দুইটি দিনের অভিজ্ঞতা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব বন্ধুরা।আসলে বর্তমান আধুনিক যুগে এসে বিদ্যুৎ,ইন্টারনেট ছাড়া যেন আমাদের দৈনন্দিন কাজ করাই সম্ভব হয়ে ওঠেনা।আপনারা সবাই অবগত আমাদের দেশে টানা দুইদিন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে বিশেষ করে বঙ্গ অঞ্চলে যারা রয়েছেন তারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন।ফরিদপুর,কুষ্টিয়া এই এলাকাগুলোতে টানা দুইদিন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে।আমরা যেখানে রয়েছি সেখানে মূলত একটু বাতাস হলেই বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।গত পরশুদিন রাত দেড়টা নাগাদ বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করা হয়েছিল।আজকে রাত ১১ টা নাগাদ চালু করেছে বিদ্যুৎ সেবা।তবে বাইরে যেহেতু এখনো ঝড় বৃষ্টি রয়েছে তাই আশা করা যাচ্ছেনা যে বিদ্যুৎ সেবা পুরোপুরি আগের মত পাব।আর মোবাইলে চার্জ আছে মাত্র ১৫ পার্সেন্ট।তো ভাবলাম পোস্টটি অন্তত শেয়ার করে নিই মধ্যরাতের আগে।
আমাদের বাসা যেহেতু তিন তলায় আর পুরোপুরি একটি দিন পানি ছিলনা আমাদের বাসায়।আর পানিবিহীন দিনগুলো খুবই কষ্টের যেগুলো আমরা পানি থাকতে বুঝতে পরিনা।এজন্য বিভিন্নভাবে পানি অপচয় করে থাকি।আমাদের অবশ্য টিউবয়েলের সুব্যবস্থা রয়েছে যেখানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়।তবে এই তিন তলায় পানি টেনে নিয়ে আসা অনেকটা কষ্টকর।যদিও সব পানি ভাই নিয়ে এসেছে আমি নামমাত্র কয়েক লিটার এনেছিলাম।আসলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের শক্তি কম থাকে এটা আমাদের মানতেই হবে।যেখানে ৭-৮ লিটার পানি নিয়ে আসতে হাঁপানি শুরু হয়ে যায় আমাদের।ছেলেরা সেখানে ৫০-৬০ লিটার নিয়ে আসলেও কিছু হয়না।আমাদের এখানে জেনারেটর এর ব্যাবস্থা থাকলে হয়তোবা এই অসুবিধাটা কেটে যেত।প্রতিবার বিদ্যুৎ গেলেও আমাদের পানি সংকট হতনা।কারণ রিজার্ভে হতো।এবার আর রাখা সম্ভব হয়নি।এজন্যই এত কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছিল।আসলে হঠাৎ করে অনেক রাত থেকে ঝড় শুরু হওয়ায় কেউ পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারেনি।তাছাড়া এবার সবচেয়ে বেশি সময় বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ ছিল এটাও অপ্রীতিকর একটি বিষয় আমাদের প্রতিটি ফ্ল্যাটগুলোর জন্য।
যাইহোক আমার ফোন গতদিন একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।বর্তমান আমার ফোন চার্জ দিতে বেশ অলসতা কাজ করে।সবসময় আমি ফোনে ১০০ পার্সেন্ট করেই আনপ্লাগ করতে চেষ্টা করি।কিন্তু ঝড়ের রাতে ৫০ পার্সেন্ট করেই রেখেছিলাম।আসলে ঐ ব্যাপার আরকি বিপদ যখন আসে সবদিক থেকেই আসে।তারপর যাইহোক সন্ধায় দুইবার বিদ্যুৎ দিল সবমিলিয়ে এক ঘণ্টার কম সময় ছিল।তখন ফোনটা চার্জ দিয়েছিলাম ৫-৬ পার্সেন্ট হতেই আবার লোডশেডিং।আমার কাছে লোডশেডিং ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর লাগে।আর যেই গ্রামে আমরা থাকি এখানে যেন একটু বেশিই লোডশেডিং দেখা যায় একটু ঝড় বৃষ্টি শুরু হলেই।প্রতিবার ঝড়ের একটা নাম দেওয়া হয় এখন পর্যন্ত জানতেও পারিনি কি নাম সেটি।কারণ খবর দেখার কোনো সুযোগ ছিলনা।সবাই সাবধানে থাকবেন বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার লোকজন যারা রয়েছেন।সর্বশেষ খবরে জানতে পেরেছিলাম কক্সবাজার পাহাড় ধসে ছয়জন মারা গেছেন।আর সেখানে ভারি বৃষ্টিপাত আর দমকা হওয়া ছিল।সর্বশেষ একটাই কথা যে যেখানে আছেন নিরাপদে থাকার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হলেও যাবেন কেননা একটি প্রাণের মূল্য অনেকটা বেশি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -15th September,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

ঝড় বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটা সত্যি অনেক বিরক্তিকর ব্যাপার। আর যদি ফোনের চার্জ না থাকে তাহলে তো অবস্থা আরো খারাপ। আপু আপনি অনেক সমস্যার মধ্যে সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি।
যেহেতু ঝড় বৃষ্টির আগে প্রতিটা দেশের সরকার আমাদের সতর্ক করে দেয় আগে থেকে। যাইহোক আপনারা যদি আগে থেকে সতর্কগুলো মেনে চলতেন তাহলে কিন্তু এত কষ্ট কখনো পেতে হতো না। বিশেষ করে এই বর্ষাকালে পাহাড়গুলো সব থেকে ভয়ানক রূপ ধারণ করে। জয় হোক সবার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
জি ভাইয়া আগে থেকেই সতর্ক নেওয়া উচিত,ধন্যবাদ।
বিদ্যুৎ বিহীন দুটি দিন কাটানো তো আসলেই অনেক কষ্টকর হয়েছে । বিশেষ করে পানির কষ্ট হলে সেটা কিছুতেই মানা যায় না । সব কিছু যেমন তেমন আর পানি না থাকলে কি করে । তার তিন তালার উপরে পানি ওঠানো আসলেএ অনেক কষ্টের কাজ । তারপরও তো আপনি কিছু এনেছেন । আপনি তো আপনার ভাইয়ের থেকে কম পানি এনেছেন তাহলে মেয়েদের শক্তি বেশি হলো কেমনে আপু ।
জি আপু মিসটেক ছিল ওখানে বেশি লিখে ফেলেছিলাম,ধন্যবাদ।
বিদ্যুৎ এবং পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। বিশেষ করে পানি টা। এতো টা সময় পানি এবং বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিলেন এটা খুবই কষ্টকর। আসলে আপু ঝড় বৃষ্টির সময় ঝুকি এড়ানোর জন্যই বিদ্যুৎ সেবা কখনও কখনও বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু সেটা এতো দীর্ঘ হওয়ার কথা না। যাইহোক খারাপ সময় কেটে গেছে আশাকরি এমন পরিস্থিতি আর আসবে না।
জি বিদ্যুৎ আর পানির বিকল্প নেই আসলেই,ধন্যবাদ।
আসলে আপু বিদ্যুৎ বিহীন দুটি দিন আমিও যে কিভাবে পার করলাম তা বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে বিদ্যুৎ না থাকলে ভালোই লাগে না। তাছাড়া বিদ্যুৎ ছাড়া অন্ধকার রাত্রি যাপন করা কতটা কষ্টের সেটা এই দুইদিনে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যা কষ্টের ছিল বিষয়টা,ধন্যবাদ ।
মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের শক্তি বেশি থাকাটা স্বাভাবিক। দুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন দেখছি। তবে ভালো মানের একটা পাওয়ার ব্যাংক কিনবেন। যাতে করে মোবাইল অন্তত ৪/৫ বার ফুল চার্জ দেওয়া যায়। পাওয়ার ব্যাংক বিপদের সময় বেশ কাজে লাগে। কারণ আমরা তো অনলাইন ভিত্তিক কাজ করি। পাওয়ার ব্যাংক থাকলে মোবাইল ডাটা অন করে কাজ করা যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া, একদম ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।