গল্প।। আতা খাওয়ার এক মজার গল্প।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ১৩/০৩/২০২৪) রোজ: বুধবার
💞 রামাদান মোবারক 🌸
আপনার উপর টাইটেল থেকে বুঝতে পেরেছেন যে আমি আজকে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার পোষ্টের বিষয় হচ্ছে গল্প। আজকে হঠাৎ আতা খাওয়ার কথাটি মনে পড়ে গেল তাই দিয়ে কুষ্টিয়া আমি লিখতে যাচ্ছি। আশা করছি আবার গল্পটি জানতে পেরে আপনাদের ভালো লাগবে।
সম্ভবত এক বছর আগে। একদিন হঠাৎ আতা খাওয়ার খুব ইচ্ছে জাগলো। আমাদের বাসার পাশে রয়েছে বিশাল বড় এক বাগান। এইতো গতবছরে যে লোড সিডিং হয়েছিল তার মধ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি আজ আপনি আপনাদের গল্প আকারে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে গরমের সময় মানুষ এমনিতেই অতিষ্ঠ হয়ে থাকে তার মধ্যে যদি বিদ্যুতের সমস্যা দেখা যায় তাহলে মানুষ আরো বেশি বিরক্তকর হয়ে যায়। আমার মনে আছে গতবার এই সময় অনেক সমস্যা হয়েছিল এই বিদ্যুতের। যে কারণে মানুষজন খুব একটা আরামের সাথে দিন বা রাত কাটাতে পারে নি। কারণ এমনিতেই গরম তার উপরে আবার বিদ্যুতের আরাম সমস্যা মানুষ একটু ফ্যানের বাতাসের নিচে ঘুমাতে যাচ্ছে এই সময় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে খুবই বিরক্তিকর একটা মুহূর্ত ছিল। তাই এই বিদ্যুতের সমস্যার কারণে আমাদের মহল্লার অনেক মানুষ এই বাগানের নিচে গিয়ে প্রকৃতির বাতাস উপভোগ করতো। তাই আমি সহ আরো দুইজন গেলাম। যেতে যেতে দেখতে পাই বাগানের একপাশে আতা গাছে আতা পেকেছে এবং সেই আতা পাখিতে খাচ্ছে। এই পাকা তা দেখে লোভ আর সামলাতে পারলাম না। তাই কিসের আর গরম এক লাফে উঠে পড়লাম গাছে। তবে গাছে উঠে দেখতে পেলাম যে আতা গুলো পেকেছিল সেগুলো সব কয়টাতে পাখি মুখ দিয়েছে যে কারণে সে পাকা আতা গুলো আমরা আর খেতে পারলাম না। তবে দেখতে পেলাম গাছে বেশ ভালোই আতা ধরেছে তাই সেখান থেকে পাকবে এমন তিনটা আতা পারলাম।
আমার ছোটবেলার একটা টেকনিক আছে। যে আতা খুব গরমের খড়ের পালায় অথবা গুড়োর মধ্যে দিলে খুব দ্রুত পেকে যায়। তাই আর দেরি না করে আতা, পেড়ে দেই ঘরের পালার মধ্যে একদম হাত যত দূরে যায় তত দূরে ঢুকিয়ে দিলাম। এবং খুব সুন্দর ভাবে ওই স্থানটুকু খড় দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিলাম। আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়লে খুব হাসি পায়। আরো ছোটবেলায় এভাবেই বেশ কয়েকজন পাতা বেড়ে খরের মধ্যে পাকাতে দেওয়ার জন্য রেখে আসতাম। এবং পরক্ষণে আমি নিজে একা গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সে আতা গুলো নিয়ে এসে একাই খেয়ে নিতাম এবং বলতাম আতাগুলো ইদুরে খেয়ে নিয়েছে। হা হা হা।
তবে ঐদিন আমি তিনটি আতা পেরেছিলাম কারণ আমরা সংখ্যায় ছিলাম তিনজন। এরপরে আতা সেখান থেকে নিয়ে এসে খরের মধ্যে পাকাতে দিলাম। এরপর আতা ঠিক একদিন পরেই পেকে গেল। তারপরে আমরা তিনজন মিলে আতা ভাগ করে খেয়ে নিলাম কারণ তিনটা আতা ছোট বড় ছিল তাই সবাই সমান ভাগ করে খুব মজা করে খেয়েছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
অনেক বছর হলো এই আতা ফল খাওয়া হয় না। আমার কাছে ভালই লাগে খেতে। যেটা আমাদের দিকে নেই বললেই চলে। আপনার গত বছরের আতা ফল পেরে খাওয়ার গল্প ভালই লেগেছে। আমরাও ছোট্ট বেলায় এভাবে বিভিন্ন কাঁচা ফল ে খরের গাদায় রেখে দিতাম। গরমের সময় যে কোন জিনিস খরের মধ্যে রেখে দিলে পেকে যায়। ভালো লাগলো গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এলাকায় নেই এটা শুনে অবাক হলাম ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকদিন আতা ফল খাওয়া হয়নি। আজ আপনার আতা ফল খাওয়ার গল্পটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। পাকা আতাফল আমার কাছে মনে হয় বেশি পাখি খেয়ে ফেলে। আমার খালামণিদের একটি গাছ আছে ঐ গাছের ফলগুলো বেশিরভাগ পাখি খায়। আপনারা তিনজনে তিনটি আতা ফল খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দারুন একটি গল্প কিন্তু পড়তে পারলাম আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। আতা নিয়ে চমৎকার একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে আমরা গ্রামের বেড়ে উঠেছি তাই আমাদের এমন অনেক রকমের ঘটনা রয়েছে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।