যুদ্ধ নিয়ে কিছু কথা,১০%লাজুক শেয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম/আদাপ,

কেমন আছেন সবাই,আশা করছি ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দাবানল।অনিশ্চিত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।শান্তির বার্তা আসবে কবে?

2bP4pJr4wVimqCWjYimXJe2cnCgnKbvXf2Xf7gHjRaW.png

যুদ্ধ কখনো ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না।শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধকে ঘৃনা করে।তারা সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আলোচনায় সমস্যার সমাধান খুঁজতে চায়।তবুও কিছু কারন,অকারনে স্বার্থবাদী গোষ্ঠী তাদের কতৃর্ত্ব কায়েমে দাঙ্গা-হাঙ্গামার জন্ম দেয়।শান্তিপূর্ণ পৃথিবীকে অশান্ত,বর্বর করে তোলে।যুদ্ধ নিয়ে থাকছে আজকের পর্ব।আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

pexels-pixabay-87772.jpg

সোর্স
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায় সুবাদে,যুদ্ধ নিয়ে ভালো ধারণা জন্মেছে।ব্যক্তিপর্যায় থেকে পারিবারিক,রাষ্ট্রীয় শেষে আন্তর্জাতিক অবধি যুদ্ধচলমান।তবে সব যুদ্ধই এক না।সময়,সম্পদ,ক্ষমতাভেদে যুদ্ধ ভিন্ন হয়ে থাকে।জল,স্থল,আকাশ,কুটনৈতিকভাবে যুদ্ধ চলমান থাকে।সময়ের সাথে যুদ্ধের কৌশল ভিন্নতায় রুপ নিয়েছে।কোন এক সময় দা,ছোরা,বল্লম,টোটা ব্যবহার হতো।কিন্তু সময়ের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র,গোলাবারুদ,গুলি,রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের মধ্যদিয়ে এখন পারমাণবিক অস্ত্রে রুপান্তরিত হয়েছে।তবে অস্ত্রের এরুপ পরিবর্তন বেশকিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে চলমান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে রাসায়নিক মরন অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়।বিশ্বের শক্তিধর পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্রগুলো তাদের কর্তৃত্ববাদী চিন্তা-কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এরূপ অস্ত্রের মজুদ করে থাকে।ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বিভিন্ন সময় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো কম ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্রগুলোর উপর আঘাত হানে।ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যুদ্ধের কৌশল বেছে নেয়।

2bP4pJr4wVimqCWjYimXJe2cnCgnKbvXf2Xf7gHjRaW.png

শাসনবাদী কর্তৃত্ব কায়েমের জন্য তারা যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এক্ষেত্রে যে রাষ্ট্রগুলোর উপর আঘাত হানা হয় শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলে পাশাপাশি ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।দুটি রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী রাষ্ট্রটিকে বাফার রাষ্ট্র বলা হয়। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বাফার রাষ্ট্র গুরুত্ব অপরিসীম।কেননা দূরে থেকে যুদ্ধ করে আঘাত হানা অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।তাই যে রাষ্ট্রতে আঘাত হানা হবে তার পাশের রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে থাকে।সেখানে তারা ঘাঁটি তৈরি করে।

pexels-pixabay-417070.jpg
সোর্স
বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ভিন্ন ভিন্ন জোটে যুক্ত থাকে।জোট অধিভুক্ত রাষ্ট্রগুলো তাদের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতির মধ্যে দিয়ে চলমান থাকবে।জোট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হয়ে থাকে,বিশেষ করে সামরিকজোট,অর্থনৈতিকভাবে,পরিবেশ ভিত্তিক, রাজনৈতিক জোট,জাতিগত জোট,সামরিক জোট সংস্থাভিত্তিক জোট,সম্পদভিত্তিক জোট ইত্যাদি।জোটভিত্তিক রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজেদের ভিতরে সমতা আনার চেষ্টা করেন।বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

যুদ্ধ যে কারণেই হোক না কেন এটি কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না।কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থায় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো হয়তো নিজেদেরকে জয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকাটি কতটা নির্জীব,জনশূন্য মরণ স্তুপে পরিণত হয়ে যায় তা বলাবাহুল্য।যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র মরুভূমির মতো হয়ে যায়।

pexels-cottonbro-3825280.jpg

সোর্স
সুতরাং আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে শুরু করে সমস্ত শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর উচিৎ এমন বিধ্বংসী কার্যকলাপ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা।যুদ্ধের বিকল্প নীতি ব্যবহার করা।শান্তিপূর্ণ আলোচনাই পারে সুন্দর একটি পৃথিবী উপহার দিতে।
অচিরেই সমস্ত যুদ্ধের অবসান ঘটুক,অশান্ত পৃথিবী শান্তিতে ভরে উঠুক।
ভালো থাকুক পৃথিবীর শান্তিকামী সকল ভালো মানুষ,ভালো থাকুক প্রানের প্লাটফর্ম@amarbanglablog

বিষয়যুদ্ধ নিয়ে কিছু কথা।
বর্ণনায়@kamrul8217
লোকেশনw3w
তারিখ৩ মার্চ ২০২২

Collage 2022-02-05 20_23_25.jpg

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

এতক্ষন সাথে যুক্ত ছিলাম আমি@kamrul8217 পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্রলেখক।জ্ঞান আহরণে অবিরাম পথচলা।মানুষকে ভালবাসি,মানুষের কাছাকাছি থাকি।আমার ভালবাসাকে বহুগুনে বাড়িয়ে দিতে পাশে আছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্লাটফর্ম@amarbanglablog

Sort:  

আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি ভাইয়া। যুদ্ধ কখনোই একটি দেশের মঙ্গল বয়ে আনে না। বরং দেশের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা বাঙালি শান্তিপ্রিয় জাতি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন খুব তাড়াতাড়ি যুদ্ধ আপস হয়ে শান্তির পথে চলে সকল মানুষ।

 3 years ago 

যুদ্ধ কখনো কোন জাতির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধের শেষ ঠিকানা অস্তিত্বহীন একটি পৃথিবী। আমরাসহ সকল শান্তিকামী মানুষের চাওয়া যুদ্ধ-বিগ্রহ নিপাত যাক।

  • আপনি খুবই গঠনগত মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয় ‌
 3 years ago 

একদম যথার্থ বলেছেন আপনি।পুঁজিবাদী সম্রাজ্যের কলুষিত রাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ট আমরা সাধারণ জনগন।বলার ও কিছু নেই করার কিছু নেই বুঝেও সব কিছু মুখ বুঝে দেখে যাচ্ছি। আমাদের কথা একটাই আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই😢🙏

 3 years ago 

আপনি খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন। পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যের এমন আস্ফলন সত্যই নিন্দনীয়। সাম্রাজ্যবাদ শাসন ব্যবস্থায় এমন অস্থিরতা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করে দিয়েছে। অনুষ্ঠিত এমন হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড নিয়ে সামনের দিকে ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই চিন্তা করা যায়।

  • আন্তর্জাতিক মোড়ল-সহ সামগ্রিক ভাবে সকল শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে এখন শান্তির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো উচিত। নতুবা এ পৃথিবী অচল হতে সময় লাগবে না।
    এমন চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.25
JST 0.034
BTC 95670.34
ETH 2679.38
SBD 0.69